মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু চন্দনযাত্রা উৎসব

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ২২, ২০২৩ @ ২০:৪৩

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২২ এপ্রিল: রবিবার থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দির চত্বরে শুরু হচ্ছে চন্দনযাত্রা উৎসব।বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, এই বৎসর ২৩ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার থেকে শুরু হবে চন্দনযাত্রা উৎসব।বিশ্বব্যাপী ইসকনের প্রতিটি শাখা-কেন্দ্রে একযোগে এই উৎসব পালন করা হবে। ইসকন, মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস এই খবর দিয়েছেন।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হয় চন্দনযাত্রা

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়াকে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।এই শুভদিনে জন্ম নিয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন। এদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। এই দিনটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। এই দিন থেকে শুরু হয় চন্দনযাত্রা। ভক্তবৎসল ভগবান তাঁর ভক্তের সেবা গ্রহণ করে বড়ই আনন্দ উপভোগ করেন। সেইজন্য পরমেশ্বর ভগবানের সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করা হয়।

প্রায় পাঁচশো বছর আগে চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল

প্রায় পাঁচশত বছর আগে, পুরীধামের নরেন্দ্র সরোবরে শ্রীশ্রীরাধামদন মোহনকে নিয়ে যে চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিলঃ স্বয়ং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রভূত আনন্দ লাভ করেছিলেন। সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে মায়াপুর ইসকনের প্রভুপাদ সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে এই উৎসব মহাসমারোহে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার সঙ্গে প্রতি বছর পালন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য দেশি-বিদেশি ভক্তের সমাগম হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠর করা হয়। রাধামাধবের চন্দন যাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের মানুষের ভিড়ে মিলন মেলায় পরিণয় হয় মায়াপুর ইসকন। একযোগে সামিল হন দেশ-বিদেশ, ধনী-দরিদ্র সহ সমাজের সমস্ত স্তরের জনসাধারণ।

প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই উৎসব চলে

শ্রীশ্রী রাধামাধবকে চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য সংকীর্তন শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে আসা হয় সমাধি মন্দির পুষ্করিণীতে। সুসজ্জিত নৌকায় করে চলে সলিল বিহার, চলে প্রদক্ষিণ, চলে আরতি কীর্তন, ভজন ও নৃত্যগীতগ এবং সেই সঙ্গে চলে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ। সমাধি মন্দির এবং পুষ্করিণীর চারিদিক ফুল ও আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই উৎসব চলে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদহ থেক মুক্ত আকাশে, মুক্ত বাতাসে শান্তি, স্বস্তি এনে দেয় এই উৎসব সকলের মনে প্রাণে।

Published on: এপ্রি ২২, ২০২৩ @ ২০:৪৩


শেয়ার করুন