Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১২:৩৫
এসপিটি নিউজ, শ্রীনগর, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ “তোমরা যতদিন নিজেদের না শোধরাবে এভাবেই বারে বারে তোমাদের আমরা উচিত শিক্ষা দিয়ে আসব।” এটাই বলছে ভারত। সবাই যখন ধরে নিতে শুরু করেছিল ভারত চুপ করে গেল। কেউ আবার এই বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মদি টিপ্পনি কেটে পাকিস্তান প্রেম প্রদর্শন করতে চাইছিল তারাই এখন অন্য সুর গাইতে শুরু করেছে। তবে যে তড়িৎ গতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযান সফল করে এল বিনা প্রাণ হানির বিনিময়ে তাতে বলতেই হয় চিৎকার করে- “মা তুঝে সেলাম”।
ভারতীয় বায়ুসেনার হয়ে যারা এই অভিযানে গিয়েছিলেন সেইসমস্ত বীর জওয়ান ভাইদের সেলাম, স্যালুট আর অভিবাদন।তারা কিভাবে এমনটা করে এল দেখে নেওয়া যাক।
এই অভিযানে পাকিস্তানের ভিতর ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানরা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এতে ৩০০রও বেশি জঙ্গি খতম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভিযানকে ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলা হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে উড়ি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত পাকিস্তানের উপর প্রথম আঘাত এনেছিল। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই অভিযানের হালহকিকত।
২১ মিনিটের অপারেশন
ভারতীয় বায়ুসেনা মাত্র ২১ মিনিটেই শেষ করে আসে এই অপারেশন। তাদের এই অভিযানে ১২টি মিরাজ ফাইটার পাকিস্তানের আলাদা আলাদা স্থানে হামলা চালায়। এই হামলায় পাকিস্তানের ভিতরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৩০০ জঙ্গি খতম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।সূত্রের খবর অনুযায়ী, মজফফর সেক্টর থেকে এই অভিযান চালিয়েছে বায়ুসেনা। এই অভিযানে বায়ুসেনা ১০০০ কেজি শক্তিশালী বোমা ব্যবহার করেছে।
এর আগেই পাকিস্তানে সেনার মিডিয়া শাখা অন্তর সেবা-যান সম্পর্ক (আইএসপিআর)-এর ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক ট্যুইট করে ভারতের এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে দেন। যদিও তিনি পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছেন- “ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান মুজফফরাবাদ সেক্টর দিয়ে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানি বায়ুসেনা সেসময় পাল্টা জবাব দিতেই ভারতীয় বায়ুসেনা বোমা ফেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি বালাকোট দিয়ে বেরিয়ে যায়।”
এই হামলার পর সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। BSF ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের সমস্ত এলাকায় স্তর্কতা জারি করেছে। ভারত এই অভিযানের পর PoK -এর লাগোয়া সীমান্তে অ্যালার্ট জারি করেছে।গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে চাপান-উতোর চলছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারেবারেই কিন্তু বলে আসছিলেন পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য বড় মাশুল দিতে হবে।
ইতিমধ্যে ভারত পাকিস্তানের উপর নানাভাবে চাপ তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছিল। পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারত মোস্ট ফেবার্ড নেশন-এর সুবিধা ছিনিয়ে নেয়। কাস্টমস ডিউটি ২০০ শতংশ বাড়িয়ে দেয়। ভারত থেকে যাওয়া নদীর জল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বায়ুসেনার এই ২১ মিনিটের অপারেশন পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিয়ে এল।
Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১২:৩৫