রাজস্থানের মেয়ে হতে চলেছে হিমাচল প্রদেশের রাজ পরিবারের বধূ

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: অক্টো ২৬, ২০১৮ @ ২৩:৫২

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুশহরের রাজা বীরভদ্র সিং-এর ছেলে বিধায়ক বিক্রমাদিত্য সিং্যের সঙ্গে রাজস্থানের উদয়পুরের রাজপরিবারের কন্যা সুদর্শনা সিংহের বিয়ে হতে চলেছে।এটা অবশ্য নতুন ঘটনা নয়। এমনটা এর আগেও হয়েছে- যেখানে হিমাচলের রাজপরিবারের কন্যা অন্য রাজ্যের রাজপরিবারের বউ হয়েছে আবার অন্য রাজ্যের রাজপরিবারের কন্যা এই রাজ পরিবারের বউ হয়ে এসেছে। এবার তাহলে সেইসব রাজ পরিবারের সম্পর্কের দিকে এক চোখ ফেরানো যাক।

ইতিমধ্যে হিমাচলপ্রদেশের বুশহরের রাজা বীরভদ্র সিংহের ছেলে বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে রাজস্থানের উদয়পুরের রাজপরিবারের কন্যা সুদর্শনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আশীর্বাদও হয়ে গেছে। আগামী মার্চ মাসে বিয়ে।

এর আগে রাজা বীরভদ্রের কন্যা অপরাজিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মহারাজা পাতিয়ালা রাজপরিবারের যুবরাজ অঙ্গদ সিং-এর। হিমাচল প্রদেশের ইতিহাসে যা প্রথম- যেখানে পাতিয়ালা রাজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়েছে। এর আগে হন্ডুরের নালাগড়ের রাজ পরিবারের সঙ্গে পাতিয়ালা রাজ পরিবারের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।নালাগড়ের রাজা সুরেন্দ্র সিং-এর পুত্র বিজেন্দ্র সিং দু’দশক পর্যন্ত হিমাচলের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি বীরভদ্র সিং-এর মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন।

হিমাচল প্রদেশের কটোচ রাজ পরিবারের সঙ্গে যোধপুরের মারয়াড় রাজ পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়। মারয়াড় রাজ পরিবারের কন্যা কটোচ রাজ পরিবারের বধূ। কটোচ রাজ পরিবারের বর্তমান মুখিয়া আদিত্য দেবের সঙ্গে ১৯৬৮ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল চন্দ্রেশ কুমারীর। আদিত্য দেব কটোচ বংশের ৪৮৮তম রাজা এবং কাংরা রাজ পরিবারের মুখিয়া লম্বাগাওয়ের জাগীরদার। তাঁর কন্যা ঐশ্বর্যা ছিলেন কটোচ।মারয়াড় রাজ পরিবারের কন্যা চন্দ্রেশ কুমারীর জন্ম হয় হনবন্ত সিং এবং কৃষ্ণা কুমারীর গৃহে। চন্দ্রেশ কুমারীর ভাই গজ সিংহ। চন্দ্রেশ কুমারীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন আছে। তিনি হিমাচলের মন্ত্রী যেমন ছিলেন ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন।

কাংরা রাজ পরিবারের ইতিহাসে ১৮০০ সালের আশপাশে ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ লড়ার কাহিনি আছে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে সেই সময় কাংরা রাজ পরিবারকে অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ১৮৯০ সালে দুই পক্ষের মধ্যে সন্ধি হয় সেই মতো কাংরা রাজ পরিবারকে লম্বাগাঁও-এর জমি দেওয়া হয়।সেই মতো কাটোচ রাজপুত এবং কাংরা রাজ পরিবারের রাজ সম্পত্তি লম্বাগাঁও-এর বলে মানা হয়। চন্দ্রেশ কুমারীর মা কৃষ্ণা কুমারী গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের ধ্রাংধ্রা রাজ পরিবারের রাজকুমারী ছিলেন। ১৯৪৩ সালে মারয়াড়ের রাজা হনবন্তের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁর তিন সন্তান হলেন- চন্দ্রেশ কুমারী, শৈলেশ কুমারী ও গজ সিংহ।চন্দ্রেশ কুমারী যোধপুরে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি এখন নিজের পরিবারের সঙ্গে ধর্মশালায় আছেন।সূত্র ও ছবি- জাগরণ অনলাইন সংস্করণ

Published on: অক্টো ২৬, ২০১৮ @ ২৩:৫২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 1