কলকাতায় মিজো নৃত্য নিয়ে এল মিজোরামের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুভূতি

Main দেশ প্রতিরক্ষা ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ৭, ২০২২ @ ২২:০১
Reporter:Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৭ এপ্রিল: সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিসটিক্যাল মিজোরাম রোড-শো। আর সেখানে তারা উপস্থাপন করল নানা কর্মসুচী।ভারতের পর্যটন মানচিত্রে মিজোরাম যে ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে তারই  ইঙ্গিত  রেখে গেল এই রোড-শো। এই অনুষ্ঠানেই তারা পরিবেশন করল মিজোরামের প্রাচীন লোকনৃত্য, যা কলকাতায় নিয়ে এল মিজোরামের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুভূতি।

প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য

কলকাতা মিজোরাম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই লোকনৃত্য উপস্থাপন করে। এই অনুষ্ঠানে মিজো ছেলে-মেয়েরা তাদের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশন করে সকলের মন জয় করে নেয়।আসলে এর পিছনে কাজ করেছে এক উদ্দেশ্য, তা হল- মিজোরাম সম্পর্কে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আর সেই কাজে মিজোরাম পর্যটন বিভাগ একশো শতাংশ সফল।

কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করে চলেছে। পিছিয়ে নেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য মিজোরাম। প্রকৃতি-জঙ্গল-পাহাড়ে ঘেরা এক অসাধারণ রাজ্য এখন পর্যটকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। তাই মিজোরামে ঘুরতে যাওয়া মানুষ অবশ্যই সেখানকার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে। সেক্ষেত্রে তারা দেখবেন মিজোরামের লোকনৃত্য।

বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পরিবেশিত হয় লোকনৃত্য

কলকাতায় অনুষ্ঠিত মিজোরামের রোড-শো-এ বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পরিবেশিত হয় লোকনৃত্য। মিজো পোশাকে সজ্জিত ছেলে ও মেয়েরা পরিবেশন করেন তাদের ঐতিহ্যের নৃত্য। যা আপনি মিজোরাম ঘুরতে গেলে দেখতেই পাবেন। কিছু সময়ের মিজো নৃত্যে কলকাতার ঐ স্থান হয়ে উঠেছিল অসাধারণ। মিজো মিউজিকের সুরে মিজো ছেলে-মেয়েরা কোমর-গলা-ঘাড়-মাথা দুলিয়ে যে নৃত্য পরিবেশন করল তা এককথায় অনবদ্য।

টাফি’র অনিল পাঞ্জাবিও শামিল হলেন মিজো লোকনৃত্যে

ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেন- মিজোরাম পর্যটনে একেবারে নয়া উদ্যমে নিজেদের প্রসারিত করছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি আগামিদিনে পর্যটনে বেশ ভালো জায়গা করে নেবে। এদের এই লোকনৃত্য পর্যটকদের সুখের আনন্দে নয়া পালক যোগ করবে নিঃসন্দেহে। তিনি যে এই কথা কতটা সত্যি বলেছেন তার প্রমাণ মিলল ওইদিন। যেখানে অনিল পাঞ্জাবি নিজেই মিজো নৃত্যে অংশ নেন। তবে শুধু অনিল পাঞ্জাবিই নয়, মিজোরাম পর্যটন বিভাগের অধিকর্তা ভানতাওয়াল ল্যালেঙ্গমাওইয়া নিজেই উঠে গিয়ে উপস্থিত প্রায় সকলকেই শামিল করেন।

মিজো লোকনৃত্য

অধিকর্তা নিজেই হাত ধরে একে কে প্রায় সকলকেই কোমর দোলাতে উৎসাহিত করেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে আমাদের বাংলায় যেমন একাধিক লোকনৃত্য আছে ঠিক তেমনই য়াছে মিজোরামেও।মিজোরামের লোকনৃত্যের মধ্যে রয়েছে খাল্লাম, চাইলাম, চাউনগ্লাইজাউন, চেইহলাম, থাংলাম, জাংতালাম এবং চেরাও। এই নৃত্যগুলি মিজোদের উদাসীন মনোভাব প্রকাশ করে। এই নৃত্যগুলি উৎসবের সময় পরিবেশিত হয়। ঢোল এবং গং প্রধান যন্ত্র যা তাদের নাচের সময় ব্যবহৃত হয়।মিজোরামের লোকনৃত্যগুলি এখানকার সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততা প্রকাশ করে। পার্বত্য ভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে উৎসাহ প্রাপ্ত, মিজোরামের লোকনৃত্যগুলি মিজোরামের বহু-সাংস্কৃতিক পরিবেশের সাথে অভিন্ন।

Published on: এপ্রি ৭, ২০২২ @ ২২:০১


শেয়ার করুন