
Published on: মে ১০, ২০১৮ @ ১৯:৫৯
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ হাইকোর্টের ই-মনোনয়ন গ্রাহ্য করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইন মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া হওয়া উচিত।সেই আইনে ই-মনোনয়নের উল্ল্যেখ নেই। তাহলে কি ই-মনোনয়ন গ্রাহ্য করা যায়? এমন প্রশ্ন তোলেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।একই সঙ্গে যে ৩৪ শতাংশ আসনে শাসক দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছে তাদের জয়ী ঘোষণা ও শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করল।একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট হলে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। এর ফলে নির্ধারিত দিনে পঞ্চায়েত ভোট হতে আর বাঁধা রইল না।
এদিন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়মে কোথাও ই-মনোনয়নের উল্লেখ নেই। তা হলে, ই-মনোনয়ন কি গ্রাহ্য হওয়া উচিত, প্রশ্ন তোলেন মহামান্য প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন শুনে বিজেপির আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের ৩৪ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থীরা। বিষয়টি শীর্ষ আদালতে বিবেচনা করে দেখা উচিত। এরপরই মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনকে জানিয়ে দেয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ীদের যেন জয়ী ঘোষণা না করা হয় এবং তাদের যেন শংসাপত্র না দেওয়া হয়। এই নির্দেশের ফলে শাসক দল যেভাবে ৩৪ শতাংশ আসনে জিতে গেছে বলে লাফাচ্ছিল সেটা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। বলা যেতে পারে এটাই একমাত্র বিরোধীদের প্রাপ্তি।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয়ক মামলার রায় ঘোষণা হয়। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নিরাপত্তার ব্যবস্থার উপর আদালতের আস্থা আছে.১৪ মে নির্বাচন হলে আদালতের কোনও আপত্তি নেই। তবে, নির্বাচনের দিন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, নির্বাচনে অশান্তি হলে, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলে, প্রাণহানি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।আদালতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষে যে আধিকারিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন আদালত জানিয়েছেন প্রয়োজনে তাঁর বেতন থেকে টাকা কেটে অথবা তাঁর সম্পত্তি থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা হবে। আর সেটা সম্ভব না হলে রাজ্য সরকারকে তা দিতে হবে।
Published on: মে ১০, ২০১৮ @ ১৯:৫৯