স্কুল প্রাঙ্গনে কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের

এসপিটি এক্সক্লুসিভ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মে ১০, ২০১৮ @ ১৭:২৮

এসপিটি নিউজ, ঘাটাল, ১০ মেঃ ঘোলসাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঘাটালের আর পাঁচটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতোও এটাও আর একটি। কিন্তু একটা বিশেষত্ব আছে এই স্কুলে। তা হল এই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রভারঞ্জন জানা আজও নিজের কাজের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার বন্ধনে এই স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। আপদে-বিপদে। স্কুলের জন্য আজও তিনি নিজের সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করে যান। আর সেই তাগিদেই স্কুল প্রাঙ্গনে কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন এই প্রবীণ শিক্ষক। যা দেখে আপ্লুত স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক থেকে গ্রামের মানুষজন।

মূর্তি স্থাপনের পর প্রাক্তন এই প্রধান শিক্ষক প্রভারঞ্জনবাবু বলেন, এই স্কুলের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক।একে আমি নিজের প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি। অনেকদিন ধরেই আমার মনে একটা প্রশ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছিল যে কবিগুরুর একটি মূর্তি কি আমরা স্কুলের প্রাঙ্গনে স্থাপন করতে পারি না। যে মূর্তিকে ছাত্র-ছাত্রীরা সামনে থেকে দেখবে, কবিগুরুর সম্পর্কে অনেক কিছু জানবে, শিখবে। দেরী না করেই আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রস্তাবটা দিয়ে ফেলি। উনি সেটা অনুমোদনও দিয়ে দেন। আমি ওনার কাছে আজ সত্যিই বড় কৃতজ্ঞ।

আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহামানবদের কথা আমাদের বর্তমান প্রজন্ম ভুলে যেতে বসেছে। কবিগুরুর বোধহয় এ কথা তাঁর অনেক আগেই মনে হয়েছিল। তাই তো তিনি নিজের কলমে তাঁর পঁচিশে বৈশাখ কবিতায় লিখে গেছেন-“সেই বালক না আছে আপন স্বরূপে,/না আছে কারও স্মৃতিতে।/সে গেছে চলে তার ছোটো সংসারটাকে নিয়ে;/তার সেদিনকার কান্নাহাসির/প্রতিধ্বনির আসে না কোনো হাওয়ায়।……”

বুধবার কবিগুরুর জন্মদিনে স্কুলের প্রাঙ্গনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তির আবরন উন্মোচন করেন। প্রভারঞ্জনবাবু তাঁর প্রয়াত সহধর্মিনী প্রতিভা জানার স্মৃতি রক্ষার্থে মূর্তিটি স্থাপন করেন। যেখানে হাজির ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ সাঁতরা, সমাজসেবী মন্টু বাইরি সহ গ্রামের মানুষজন। উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রায় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর পূর্বজ প্রধানের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন এমন প্রস্তাব না মানার কোনও কারন নেই। কবিগুরুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে প্রভারঞ্জনবাবু তো এক মহৎ কাজ করলেন।এটা আমাদের সকলের পক্ষে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল।কবিগুরুর ভাষায়-“বীর্য দেহো তোমার চরণে পাতি শির/অহর্নিশি আপনারে রাখিবারে স্থির।।”

Published on: মে ১০, ২০১৮ @ ১৭:২৮

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 36 = 46