স্বাধীনতা দিবসে কলম ধরলেন সম্রাট

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: আগ ১৫, ২০১৮ @ ১০:৩৩

এসপিটি নিউজ, বারাকপুর, ১৫ আগস্টঃ তাঁর পরিচয় সে একজন অতি সাধারণ মানুষ। সাধারণের মধ্যে থেকেই সে সাধারণের জন্য সারা বছর ধরেই কিছু করে চলে। বছরভর তাঁর এই প্রয়াস বহু দীন-অসহায়-অনাথদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। সমাজসেবী এই মানুষটি বারাকপুরের বাসিন্দা সম্রাট তপাদার। এর পাশাপাশি তাঁর আরও এক পরিচয় আছে-তিনি একজন বিশিষ্ট আইনজীবীও। জাতীয় কংগ্রেসে থাকার সময় থেকেই তাঁর মধ্যে মানুষের সেবা করার নেশা চেপে বসে। এরপর ছাত্র রাজনীতি ছাড়িয়ে যুব রাজনীতিতেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন সম্রাট। বর্তমানে তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক (সাধারণ সম্পাদক) হয়ে সাধারণের মানুষের থাকার ব্রত নিয়েছেন। মাথায় রেখেছে মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ-মানুষের পাশে থাকা, মানুষের জন্য ভাবা, মানুষের উপকার করা।এরই মধ্যে আজ ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে সম্রাট তপাদার আরও এক বড় কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা নিয়ে লিখে ফেলেছেন এক কবিতা। যদিও এটি তিনি লিখেছেন তাঁর নিজের মতো করেই। সংবাদ প্রভাকর টাইমস তাঁর এই প্রয়াসকে সকল পাঠকের সামনে তুলে ধরল।

 স্বাধীনতা

সম্রাট তপাদার

শত সহস্র বলিদান সয়ে

আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,

খুশির মাঝেও কখনও সখনও

থাকে হৃদয় জুড়ানো ব্যাথা।

পেয়েছি আমরা আশ্চর্য্য প্রদীপ

তবুও পারি না জ্বালিয়ে রাখিতে,

ভাইয়ের রক্তে আজ ভাই রঞ্জিত

চাইছি স্বদেশ টুকরো করিতে!

হতভাগা সব সাধারণ মানুষ

পাইনা দু’বেলা দুটো রুটি,

তবু কেন আজ সুযোগ পেলেই

হিংসা-হানাহানি করিতে ছুটি?

ব্রিটিশরাজের নাগপাশ থেকে

আমরা মুক্ত হতে পেরেছি,

তবুও কি আজও আমরা

নিজেদের ক্ষমতা চিনেছি?

যদি চিনতাম তবে রাস্তার ধারে

পড়ে থাকতো না অভুক্ত ভাই,

অশ্রুসিক্ত বৃদ্ধ পিতা-মাতার

হতো না বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই।

খুন-ধর্ষণ, চুরি – ছিনতাইয়ের

দেখতাম না নগ্ন তান্ডব,

জাত-পাত আর ধর্ম ভুলে সব

রুখে দাঁড়াত হয়ে পঞ্চপাণ্ডব।

নিজেদেরকে না চিনে, না জেনে

আজ নিজেরা হয়েছি উন্মত্ত,

ন্যায়-নীতি, বিবেক দূরে সরিয়ে

যে যার স্বার্থপূরণে ব্যস্ত!

এমন স্বাধীনতা আসুক দেশে

সবার মুখেতে থাকুক হাসি,

আমরা সকলে মিলে সমস্বরে বলি

ভারতবর্ষ-আমি তোমায় ভালোবাসি।

Published on: আগ ১৫, ২০১৮ @ ১০:৩৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 64 = 67