আজ মঙ্গলবার সকাল হতেই সম্রাট তপাদার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে।
কখনও রাস্তার পাশের ছোটো দোকান আবার কখনও চায়ের দোকানে বসে মানুষের হাতে তুলে দেন দিদিকে বলো কর্মসূচির কার্ড।
যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই সোমবার তারা পৌঁছে গেছিলেন বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকায়।
Published on: সেপ্টে ১৭, ২০১৯ @ ১৮:০০
এসপিটি নিউজ, বারাকপুর, ১৭ আগস্ট: শুধু এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলেই চলবে না, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। প্রয়োজনে সেই এলাকায় রাত্রিনিবাস করতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীতথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে কার্যকর করতে রাজ্যজুড়ে দলের নেতা-নেত্রীরা এখন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করছেন। উদ্দেশ্য- মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদার বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকায় গিয়ে সেখানে দাদাজি মাজারে রাত্রিনিবাস করে মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। সম্রাটের সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা-কর্মী।
পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচি
গত পরশু রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই গতকাল সোমবার তারা পৌঁছে গেছিলেন বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ, স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ মজুমদার, নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাশীনাথ সাহু সহ অন্যান্যরা। তারা দাদাজি মাজারে রাত্রিনিবাস করেন। যেখানে তাদের সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট ইমাম ইমামুল হোসেনও।
সকাল হতেই মানুষের কাছে পৌছে যান তারা
আজ মঙ্গলবার সকাল হতেই সম্রাট তপাদার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে। পায়ে হেঁটে এক গলি থেকে আর এক গলিতে পঊঁছে যান তারা। কখনও রাস্তার পাশের ছোটো দোকান আবার কখনও চায়ের দোকানে বসে মানুষের হাতে তুলে দেন দিদিকে বলো কর্মসূচির কার্ড। যেখানে লেখা আছে ফোন নম্বর। তারা মানুষদের জানান- আপনারা এই কার্ড সঙ্গে রাখুন। আর আপনাদের সমস্যার কথা এখানে ফোন করে জানান। তৃণমূল কংগ্রেস সব সময় আপনাদের পাশে আছে।
মণিরামপুরের মানুষ খুশি
মণিরামপুরের মানুষ এই কর্মসূচিতে খুব খুশি। তারা বলছেন- ‘দিদি এই কাজটা খুব ভালো করেছে। এতদিন আমাদের সমস্যার কথা বলার জন্য ছুটে বেড়াতে হতো। আজ তো দেখছি তৃণমূলের কর্মীরা দিদির ভাইরাই আমাদের ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তারাই তো সব কিছু বলে দিচ্ছে। না পারলে সাহায্য করছে। এমনটা চলতে থাকলে আমাদের তো আর অসুবিধাই হবে না। এটাই তো হওয়া উচিত।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি কি
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি একটি সামাজিক কর্মসূচি। যার মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুমও। যার অফিস হয়েছে রাজারাহাটের কাছে। সেখানে রয়েছে ২৫০জন ছেলে-মেয়ে। খোলা হয়েছে একটি দিদিকে বলো নাম দিয়ে একটি ওয়েবসাইট। যেখানে ঢুকে আপনি পাবেন একটি ফর্ম। সেখানে আপনি আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ আপনার সমস্যার কথা লিখবেন। এরপর ‘দিদিকে বলো’ টিমের থেকে আপনার কাছে 48 ঘণ্টার মধ্যেই আসবে কল। তখন তিনি আপনার কাছে ফের আপনার নাম, ঠিকানা শুনে তা মিলিয়ে নেবেন। এরপরই আপনার সমস্যার সমাধানের উপায় শুরু হবে। ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবিও করা হয়েছে।
Published on: সেপ্টে ১৭, ২০১৯ @ ১৮:০০