কেউ যাচ্ছিলেন স্নানে, কেউ বেরিয়েছিলেন প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে- দু’জনেই হলেন একই হাতির শিকার

Main বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার আগরবনী ও রামপুরা গ্রামে দলছুট একটি হাতি পিষে মারল দু’জনকে।
  • নয়াগ্রামের পাতিনার জঙ্গল থেকে কয়েকটি দাঁতাল সোমবার ভোরে ঢুকে পড়ে গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লকের দু’টি গ্রামে।
  • এই ঘটনায় মৃত দুইজনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।

সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল

ছবি-বাপন ঘোষ

 Published on: সেপ্টে ১৬, ২০১৯ @ ২৩:৫৮

এসপিটি নিউজ, গোপীবল্লভপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: সাম্প্রতিককালে পশ্চিম মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির উপদ্রবের পরিসংখ্যান যদি হিসেব করা যায় তাহলে সেই সংখ্যাটা বেশ উদ্বেগজনক। একই সঙ্গে এই এলাকার বন দফতর যে হাতি রুখতে কিংবা এইসব এলাকার মানুষজনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তা কিন্তু আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আবারও এখানে হাতির হানায় মৃত্যু হল দু’জনের।

দলছুট একটি হাতি পিষে মারল দু’জনকে

সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার আগরবনী ও রামপুরা গ্রামে দলছুট একটি হাতি পিষে মারল দু’জনকে। যার মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছর এবং অপরজনের ৩১ বছর বয়স।প্রথমজন অরবিন্দ দন্ডপাট (৬০)এদিন দুপুরে বাড়ির সামনে পুকুরে স্নানে যাচ্ছিলেন। দলছুট হাতিটি তার সামনে পড়ে যায়। ছুটে পালাতে না পারায় অরবিন্দবাবু পড়ে যান একেবারে উন্মত্ত দলছুট হাতির সামনে। হাতিটি তখন অরবিন্দবাবুকে শুঁড়ে তুলে নিয়ে মারে এক আছাড়। ছুঁড়ে ফেলে দেয় সামনের পুকুরে। সেখানেই মৃত্যু হয় অরবিন্দবাবুর।

অপর একটি ঘটনা ঘটে গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লকের কুলিয়ানা অঞ্চলের আগরবনী গ্রামে। সেখানে কল্যাণী ঘোষ (৩০) নামে এক গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটছিলেন। আর সেইসময় সামনে চলে আসে সেই উন্মত্ত দলছুট হাতিটি। পালানোর আগেই হাতিটি কল্যাণীকে শুঁড়ে তুলে নিয়ে মারে আছাড়। পরে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে।

যেখান থেকে এসেছিল হাতিগুলি

স্থানীয় সূত্রের খবর, নয়াগ্রামের পাতিনার জঙ্গল থেকে কয়েকটি দাঁতাল ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী পিড়াশিমূল গ্রামে সোমবার ভোরে চলে আসে। এর ভিতর থেকে একটি হাতি দলছুট হয়ে গিয়ে হানা দেয় ওই দুটি গ্রামে।

হাতির হানায় যে ক্ষতি হয়েছে

আগরবনী গ্রামে হাতিটি শুধু ওই গৃহবধূকেই হত্যা করেনি সেইসঙ্গে সে এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। নষ্ট করেছে অনেক কিছু। সে গ্রামের ভিতর ঢুকে উন্মাদের মতো পাঁচটি সাইকেল ও একটি ট্রাকটর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। সে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানে তান্ডব চালিয়েছে। এরপর হাতিটি রামপুরা গ্রামেও হানা দেয়।

ক্ষতিপূরনের আশ্বাস বন দফতরের

এই ঘটনায় মৃত দুইজনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর। পাশাপাশি তারা দলছুট হাতিটিকে সুবর্ণরেখা নদী পার করে নয়াগ্রামের জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে গ্রামবাসীদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক আছে।

Published on: সেপ্টে ১৬, ২০১৯ @ ২৩:৫৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

70 − = 67