” উন্নয়নের দেবতা ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিঃ বিহারের এই গ্রামে মূর্তি গড়ে চলছে নিয়মিত পুজোপাঠ

দেশ ধর্ম
শেয়ার করুন

আজ জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দিন ধরে চলে ‘দেবতা’রূপে মোদির বিশেষ পুজোপাঠ।

মোদি প্রধানমন্ত্রী হতেই বিহারের এই গ্রাম থেকে দূর হয় অনুন্নয়ন।

এরপর থেকেই গ্রামবাসীদের কাছে নরেন্দ্র মোদি হয়ে ওঠেন তাদের কাছে “উন্নয়নের ঈশ্বর”।

এখন বজরঙ্গবলীর পাশেই মূর্তি রেখে হচ্ছে মোদির পুজো।

গ্রামবাসীরা নিজেরাই অর্থ ব্যয় করে স্থায়ী মোদি মন্দির গড়ার কাজ শুরু করেছেন।

 Published on: সেপ্টে ১৭, ২০১৯ @ ২১:১৭

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  নিঃসন্দেহে এই ঘটনা দেশের বিরোধী দলগুলির মনে জ্বালা ধরানো কিংবা তাদের কাছে নতুন করে রাজনৈতিক ইস্যু তুলে দেওয়া যাই বলুন না কেন- আসল ঘটনা দেশের প্রধানমন্ত্রী এই মানুষগুলির কাছে আজ দেবতা হয়ে গেছেন। তাদের কাছে তিনি পূজিত হচ্ছেন। হ্যাঁ, কোনো সন্দেহ নেই আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এটা বড় খবর। বিরোধীরা যতই লম্ফজম্ফ করুক না কেন বিহারের এই গ্রামের মানুষগুলি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদিকে আজ ‘উন্নয়নের দেবতা’ বানিয়ে ফেলেছেন। রীতিমতো মূর্তি গড়ে তাকে প্রতিষ্ঠা করে ছোটখাটো একটি মন্দির গড়ে সেখানে পুজোও করছেন নিয়মিত। ভাবুন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছেই হয়ে গেছেন ‘উন্নয়নের দেবতা’। আজ তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দিন ধরে চলেছে বিশেষ পুজোপাঠ।

প্রধানমন্ত্রী মোদি গ্রামের মানুষের কাছে হয়েছেন “উন্নয়নের ঈশ্বর”

বিহারের কাটিহারে অবস্থিত আজমনগর ব্লকের একটি গ্রাম সিঙ্ঘারল। স্বাধীনতার পরে প্রায় 67 বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বাস এই গ্রামটি মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। কেন্দ্রে যখন নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন এখানে উন্নয়নের আলো ফুটতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় রাস্তা তৈরি করা হয়। পৌঁছয় বিদ্যুৎও। ধীরে ধীরে গ্রা্ম উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে। গ্রামবাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর প্রতি নীতিমালাকে এর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।

মন্দিরে মোদির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে

গ্রামের উন্নয়নে উৎসাহিত হয়ে একটি জায়গার নামকরণ করা হয় ‘মোদি চক’। তারপরে সেখানে ‘মোদি মন্দির’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা নরেন্দ্র মোদির একটি মূর্তি তৈরি করেন এবং এটি গ্রামের হনুমান মন্দিরে স্থাপন করা হয়। এর পরে  শুরু হয় পুজোপাঠ।

জন্মদিনে কেক কেটে, মন্দিরে বিশেষ পূজা

গ্রামের প্রধান ললন বিশ্বাস বলেছেন- “গ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিশেষ বিশ্বাস রাখে। মঙ্গলবার, এখানকার লোকেরা নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করেছেন। মন্দিরে বেলুন দিয়ে সাজানো হয় এবং শাঁখ বাজিয়ে পুজো করা হয়। একই সাথে কেকও কাটা হয়। গ্রামের মানুষ নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে অভিনন্দন জানান। গ্রামের প্রধান ললন বিশ্বাস বলেন যে এটি গ্রামবাসীদের নিজস্ব বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত।

নিজস্ব অর্থ দিয়ে একটি স্থায়ী মন্দির নির্মাণ

গ্রামবাসী পালো দেবী এবং মনোজ কুমার সাহ জানান যে জনগণের সহযোগিতায় স্থায়ী মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা কারও কাছ থেকে অনুদান না নিয়ে রাজনীতি থেকে সরে এসে তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে ‘মোদি মন্দির’ নির্মাণ করছেন। আরও এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন যে একদিন না একদিন নরেন্দ্র মো্দি তাদের গ্রামে এসে এই মন্দিরটি দেখবেন।  সূত্রঃ জাগরণ

Published on: সেপ্টে ১৭, ২০১৯ @ ২১:১৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

42 − 38 =