এই সিজনে রাজস্থান হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, বললেন হিংলাজ দন রত্নু

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

অতিথি দেবো ভব-র উদাহরণ দেখতে হলে আপনাকে রাজস্থান আসতেই হবে। বলেন হিংলাজ দন রত্নু

Published on: জুন ১, ২০২৩ @ ২১:২৬

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১ জুন: পর্যটন আর রাজস্থান এখন সমার্থক হয়ে গেছে। পর্যটকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে রাজস্থান সরকার সদা তৎপর। আর এটাই পর্যটকদের কাছে বড় ভরসা হয়ে উঠেছে। সে কারণে বাঙালি পর্যটকদের ভ্রমণের সেরা ঠিকানা হয়ে উঠেছে মরুভূমি আর প্রাসাদ নির্ভর রাজস্থান। গতবার শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই চার কোটী রুপির ব্যবসা দিয়েছিল রাজস্থা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর কলকাতা অফিস। এবার সেই মাইলস্টোন ছাপিয়ে বলে মনে করছে তারা। কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জংসংযোগ বিভচাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এবং আরটিডিসি-র কলকাতার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিংলাজ দন রত্নু সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে এই সিজনে রাজস্থান হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, ছাপিয়ে যাবে গতবারের ব্যবসা, যা এক নয়া কীর্তি স্থাপন করবে। আর এটা সম্ভব হতে চলেছে আমাদের রাজস্থানের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সুযোগ্য নেতৃত্ব আর রাজস্থান পর্যটন এবং আরটিডিসি-র অসাধারণ বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে।

এসপিটি-র মুখোমুখি রাজস্থানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিংলাজ দন রত্নু

  • সম্প্রতি সংবাদ প্রভাকর টাইমস কলকাতায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিংলাজ দন রত্নুর মুখোমুখি হয়েছিল। রাজস্থান পর্যটন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।কিভাবে আজ রাজস্থান পর্যটনে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেছে সেই কথাই জানিয়েছেন তিনি। হিংলাজ বলেন- রাজস্থানের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটজির নেতৃত্বে রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র সিং রাঠোর, ট্যুরিজম সেক্রেটারি গায়ত্রী রাঠোর, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর , এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (ফিনান্স) সহ একটা টিম হিসাবে কাজ করে চলেছে। আজ তারই ফল মিলছে।
  • “আশা করছি এই মরশুম শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠবে। আমরা আশা করছি, কয়েক কোটি টাকার বুকিং হবে। গত বছরের চেয়েও এবার আরও ভালো হবে। আমরা আরও ভালো করব। গত বছর শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই চার কোটি রুপির বিজনেস হয়েছে। এবার তা ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছি।” যোগ করেন হিংলাজ দন রত্নু।
  • “এবার আমাদের কিছু হোটেল নয়া পরিসরে সেজে উঠেছে। নয়া আকর্ষণ আছে। আমাদের সমস্ত কর্মী সকলেই খুব ভালো কাজ করছেন। যে সমস্ত বিল্ডিং গত কয়েক বছর ধরে পুনঃসংস্করণ হয়নি তা এবার নয়া কলেবরে নতুন রূপে সেজে উঠেছে। এগুলি হল- সোয়াই মাধোপুরে ক্যাসল ঝুমর বাওরি, উদয়পুরে আনন্দ ভবন সহ বেশ কয়েকটি।”

বাঙালি পর্যটকদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজস্থান

রাজস্থান ভ্রমণে বাঙালি পর্যটকের বিশেষ স্থান রয়েছে বলে মনে করেন হিংলাজ দন রত্নু। তিনি বলেন- বাঙালি অতিথি খুবই ভালো। ডোমেস্টিকে সবচেয়ে বেশি ঘোরে বাঙালিরা। বাঙালি পর্যটকদের একটা বিশেষত্ব হল- যে দৃষ্টিতে তারা রাজস্থানকে দেখে তা তারা মনের ভিতর গেঁথে ফেলে। কারণ, বাঙালি তিন প্রজন্মের পর্যটকদের তৈরি করে দেয়। কিরকম জানেন, বাঙালি পর্যটক রাজস্থানে মনুমেন্ট দেখার পর তারা ডায়েরিতে নোট করে রাখে। একই সঙ্গে তারা ফটো তুলে রেখে দেয়। এসব তারা খুব যত্ন সহকারে রাখে। একদিক থেকে দেখলে তো পর্যটকের সংজ্ঞা তারা তৈরি করে। আমি মনে করি যে বাঙালি পর্যটকরা রাজস্থানে ঘুরতে গিয়ে খুব আনন্দ লাভ করে।

“রাজস্থানে যে হেরিটেজ আছে যা আর কোথাও নেই। হসপিটালিটিতেও আমরা এক নম্বর। দেখে নেবেন এই সিজন খুব ভালো যাবে। এক নয়া কীর্তি স্থাপন করবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সাহেব এবং ধর্মেন্দ্র সিং রাঠর সাহেব সহ পুরো টিমের প্রচেষ্টার জন্য আমরা ফের শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করব।” বলেন হিংলাজ।

বাঙালি পর্যটকদের সবেচেয়ে বেশি পছন্দের জায়গা হল জয়শলমীর। এরপর জয়পুর এবং উদয়পুর। রণথম্বোর, ভরতপুর আর যোধপুর। মাউন্ট আবু। এই জায়গাগুলি বাঙালি পর্যটকরা বেশি পছন্দ অরে।

পর্যটকদের নিত্রাপত্তায় আছে টিএএফ

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও সদা সচেতন রাজস্থান সরকার। সেই বিষয়ে রাজস্থানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বলেন- আমাদের পর্যটকদের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ তো আছেই। যারা ট্যুরিস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ফোর্স নামে পরিচিত। সরকার এদের বহাল রেখেছে শুধু মাত্র পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। প্রতিটি মনুমেন্টেই টিএএফ জওয়ানরা প্রহরায় আছে। সব জায়গায় হেল্প ডেস্ক আছে। আপনি যেখানে যাবেন সেখানেই হেল্প ডেস্ক দেখতে পাবেন।

জিএম-ডিএম যোগসূত্র ঘটিয়েছে পর্যটকদের ভ্রমণ সুরক্ষা

আরটিডিসি-র যত হোটেল আছে তাদের জিএম – যেমন হোটেল গাঙ্গুরের জিএম তেজ সিং রাঠোর, হোটেল লিভ প্যালেস সিলি সেটের জিএম কেশর সিং শেখাওয়াত, হোটেল কাজরি উদয়পুরের জিএম সুনীল মাথুর, বিকানীর ঘোলামাল হোটেলের জিএম বাসুদেব সিং তাওয়ার, জয়শলমীরে মুমল হোটেলের জিএম, হোটেল ঘুমর যোধপুরের জিএম মানবেন্দ্র সিং রাঠোর, হোটেল শিখর মাউন্ট আবুর জিএম বিক্রম সিং বালো। এরা সেই অফিসার যারা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলে।এতে একটাই সুবিধা যে পর্যটকদের কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হয় না। বলেন হিংলাজ।

আরটিডিসি-র বিশেষত্ব

বিদেশ থেকে কোনও ভিআইপি আসুক কিংবা দেশের ভিতরে কোনও ভিআইপি এলে আরটিডিস ই-র কর্মীরাই তার দেখভালের দায়িত্বে থাকে। পাশাপাশি ট্রান্সপোর্ট টিমও খুব ভালো কাজ করে। জয়পুরে ট্রান্সপোর্টের জিএম সঞ্জয় মাত্থুর খুবই দায়িত্বশীল একজন আধিকারিক। এখান থেকে আরটিডিসি-র হোটেল এবং ট্রান্সপোর্ট বুকিং হয়।

রাজস্থানে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে এক ঘন্টার মধ্যে সেখানে বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা হয়। এটা আরটিডিসি-র বিশেষত্ব। পর্যটক খুবই সুরক্ষিত মনে করে। নিশ্চিত হয়।

রাজস্থান থেকে বাংলার দূরত্ব অনেক । জয়শলমীরের দূরত্ব তো হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। কিন্তু পর্যটকরা এত সুন্দর অনুভব করে যে তাদের মনে হয়ে যে তারা যেন নিজের ঘরেই আছে। এটাই আরটিডিসি-র বিশেষত্ব। অতিথি দেবো ভব-র উদাহরণ দেখতে হলে আপনাকে রাজস্থান আসতেই হবে। বলেন হিংলাজ দন রত্নু।

Published on: জুন ১, ২০২৩ @ ২১:২৬


শেয়ার করুন