চিল্কীগড়ে পর্যটনমন্ত্রী, কণকদুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে জানালেন পরিকল্পনার কথা

দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                                  ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: সেপ্টে ১৬, ২০১৮ @ ২০:২২

এসপিটি নিউজ, চিল্কীগড়(জামবনী), ১৬সেপ্টেম্বরঃ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তার মধ্যে অবশ্যই আছে রাজ্যের পর্যটন। আর এই পর্যটন যে দুটি জায়গাজুড়ে বেশি আছে তা হল পাহাড় আর জঙ্গলমহল। এই দুটি জায়গার উন্নয়নে তাই তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশও দিয়েছেন পাহাড় ও জঙ্গলমহলের পর্যটন নির্ভর এলাকগুলিকে চিহ্নিত করে তার বাস্তবায়নে জোর দেওয়ার জন্য। রবিবার সেই কাজেই তিনদিনের ঝাড়গ্রাম সফরে এলেন পর্যটনমন্ত্রী।

প্রথম দিন তিনি সোজা চলে আসেন জামবনী ব্লকের চিল্কীগড়ের কণকদুর্গা মন্দিরে। সেখানে এসে তিনি মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুজোও দেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে। মন্দিরের সেবাইত থেকে লোকজনের কাছ থেকেও শোনেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার নানা কথা। এই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানী। ছিলেন পর্যটন দফতরের আধিকারিকরাও।

এরপর তিনি আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন। সেখানে মন্দিরের কিভাবে আরও উন্নয়ন ঘটানো যায়, কিভাবে প্রাচীন এই কণক দুর্গা মন্দিরটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীর করে তোলা যায়, কিভাবে পর্যটকরা এখানে সহজে চলে আসতে পারেন, এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা করা যায়- এ সমস্ত কিছুই এদিনের আলোচনায় উঠে আসে।মন্দির চত্বরে থাকা বিষ্ণু মন্দিরটির সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি সেই মন্দিরটিও ঘুরে দেখেন।

মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, “চিল্কীগড়ে ডুলুং নদীর উপর একটি ভাসমান সেতু নির্মাণের জন্য পর্যটন দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সেই সঙ্গে প্রাচীন এই মন্দিরটিকে ঘিরে কিভাবে এখানকার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় পর্যটন দফতর এবার সেটা নিয়ে কাজ শুরু করবে।” তিনদিনের এই সফরে তিনি ঝাড়গ্রামের পর্যটন নির্ভর স্থানগুলি ঘুরে দেখবেন।আশা করা যাচ্ছে-পর্যটনমন্ত্রীর এই সফরের পরেই হয়তো ঝাড়গ্রামের পর্যটনের উন্নয়নের কাজে আরও গতি আসবে।

Published on: সেপ্টে ১৬, ২০১৮ @ ২০:২২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

44 − = 38