পানিহাটির চিড়াদধি দন্ড মহোৎসব ২ জুন, জানেন কি এর মাহাত্ম্য

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুন ১, ২০২৩ @ ১২:৫৮

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১ জুন: প্রতি বছরের মতো এবারও পানিহাটির চিড়াদধি দন্ড মহোৎসব পালিত হতে চলেছে। এবার এই মহোৎসব আয়োজিত হচ্ছে আগামিকাল ২ জুন। তবে এটি শুধু পানিহাটি নয় ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুর সহ বিশ্বের সমস্ত শাখাকেন্দ্রে এই মহোৎসব পালিত হবে। তবে সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য চিড়াদধি দন্ড মহোৎসব পালিত হয় আমেরিকার আটলান্টা শাখাকেন্দ্রে। ইসকন পানিহাটির শ্রীশ্রী গৌরনিতাই মন্দিরে পাঁচ দিন ধরে এই মহোৎসব বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হবে।

ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, দেশ বিদেশের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লক্ষ লক্ষ মানবের মিলন ক্ষেত্র, মিলন মেলায় পরিণত হয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পদরজ বিজরিত এই তীর্থক্ষেত্র পানিহাটি। সমগ্র বিশ্বে ইসকনের প্রতিটি কেন্দ্রে এই “পানিহাটি মহোৎসব” মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। শ্রীধাম মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরেও পানিহাটি দন্ড মহোৎসব মহাসমারোহে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার সাথে পালন করা হবে।

এই উৎসবের মাহাত্ম্য কি?

এই প্রশ্নের জবাবে ইসকন মায়াপুর প্রেস বিগপ্তিতে বিশদে জানিয়েছে। এই দন্ড (শাস্তি) দিয়েছিলেন শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভু ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দ তথা ৯২১ বঙ্গাব্দে বিশ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্রা মাসিক আয় সমন্বিত হুগলি জেলার অন্তর্গত শ্রীকৃষ্ণপুরের জমিদার গোবর্ধন মজুমদারের একমাত্র পুত্র শ্রীচৈতন্যপার্ষদ রগুনাথ দাস গোস্বামীকে। দন্দটি ছিল শ্রীশ্রী নিত্যানন্দ-গৌরাঙ্গের ভক্তদের চিড়াদধি ভোজন করানো।

কোন অপরাধে, কেন এই দন্ড দিয়েছিলেন?

অপরাধটি ছিল শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর আশীর্বাদ না নিয়ে রঘুনাথ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভ করার প্রয়াস লাভ করেছিলেন। অত্যনবত আনন্দের সাথে তিনি এই দন্ড গ্রহণ করেছিলেন। আজ থেকে ৫০৭ বছর আগে বিশাল সমারোহে রঘুনাথ “বচিড়া-দধি” মহোৎসবের আয়োজন করেছিলেন। তখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাসীবেশে পুরীধামে থাকলেও নিত্যানন্দ প্রভুর আহ্বানে এই অপ্রাকৃত মহোৎসবে তাঁর দিব্য স্বরূপে যোগদান করে নিত্যানন্দ প্রভুর শ্রীহস্ত থেকে ভোগ গ্রহণ করেছিলেন।রঘুনাথ দাস লক্ষ লক্ষ ভক্তদের “চিড়া-দধি” প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন। কয়েকজন পার্ষদ ছাড়া শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর এই দিব্যলীলা অন্যরা দর্শনের সোউভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

জনসংযোগ আধিকারিক বলেন- সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে প্রতি বছর জৈষ্ঠ শুক্লা ত্রয়োদশীতে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদহে গঙ্গাতটে বিশাল বটবৃক্ষের স্নিগ্ধ সুশীতল ছায়ায় আজও এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসব স্তিমিত করে দেয় হিংসা-দ্বেষ এর বাতাবরণকে, আবধ করে দেয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেম-শৃঙ্খলে।

Published on: জুন ১, ২০২৩ @ ১২:৫৮


শেয়ার করুন