বঙ্গবন্ধু’র “জুলিও কুরি শান্তি পদক” প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

Main দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মে ২৬, ২০২৩ @ ১৫:৪৩

এসপিটি নিউজ,কলকাতা, ২৬ মে: বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর “জুলিও কুরি শান্তি পদক” প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী।
তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা
বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে সেদেশের রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বানী পাঠ করে শোনান যাথক্রমে কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর “জুলিও কুরি শান্তি পদক” প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করেন কাউন্সেলর (রাজনৈতিক), তুষিতা চাকমা এবং মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান, সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান।
‘বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্বশান্তির জন্য স্বপ্ন দেখেছেন’
অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্বশান্তির জন্য স্বপ্ন দেখেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে ব্রতী হয়ে সকল ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সামাজিক অন্তর্ভূক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করেছেন, যা বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মচারীকে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়
সভার প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, এম.পি বলেন- বঙ্গবন্ধু শান্তিপূর্ণভাবে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা আজীবন লড়াই করে গেছেন।
যারা এই সম্মান পেয়ে থাকেন
বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি বিজ্ঞানী দম্পতির মহান অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে।
শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় উন্মুক্ত চত্বরে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও বটে।’
বঙ্গবন্ধু ছাড়া যারা ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক লাভ করেন
বঙ্গবন্ধু ছাড়া যারা ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক লাভ করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ফিদেল ক্যাস্ত্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আলেন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার টেরেসা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, জওহরলাল নেহেরু, মার্টিন লুথার কিং, নিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ,শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।

Published on: মে ২৬, ২০২৩ @ ১৫:৪৩


শেয়ার করুন