মৈত্রী দিবসঃ ১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল

Main দেশ প্রতিরক্ষা বাংলাদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ৭, ২০২১ @ ০০:৫৭

এসপিটি নিউজ, নয়াদিল্লি ও ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর: আজ থেকে ৫০ বছর আগে আজকের দিনে অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে ভারত স্বাধীন ও সাবভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী দিনটিকে দুই দেশ মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করছে। এই উপলক্ষ্যে এক ভিডিও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক কাজের প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, তা সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধায় বিস্তৃত।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে, এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যাত্রায় একটি মাইলফলক। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

আজ, আমি প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তার সরকারের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশ থেকে আসা এক কোটি শরণার্থীকে আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। মার্চে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে মৈত্রী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলেও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ নির্যাতিতা মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও দেশের জনগনের আত্মত্যাগের কথাও।

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের ভাষণ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন-” ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, যা সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। মৈত্রীর এ বন্ধন সুদৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।” তিনি আরও বলেন- “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মনিরপেক্ষতার সাধারণ মূল্যবোধ এবং আরও আগণিত সামঞ্জস্যের মধ্যে প্রোথিত। উচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত রাজনৈতিক মিথস্ক্রিয়া ও বিনিময়ের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমাদের মৈত্রীর বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী এবং সম্প্রসারিত হয়েছে।”

ভারতের পররাষ্ট্রস সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন- “পূর্ব বাংলার এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল (১৯৭১ সালে)। আজ, একই রকম মানবিক ভঙ্গিতে, বাংলাদেশ সীমান্তের ওপার থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে আতিথ্য করছে। ভারত এই শক্তিশালী বক্তব্যের প্রশংসা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে যোগ দেয়।”

ভারত, বাংলাদেশ অস্থিতিশীল শক্তির মোকাবিলায় একটি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি শেয়ার করে যারা সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদকে সহায়তা করে এবং দমন করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তির মতো নতুন ও উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা জোরদার করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

Published on: ডিসে ৭, ২০২১ @ ০০:৫৭


শেয়ার করুন