পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতে পারদ চড়লঃ ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৩, ২০১৯ @ ২৩:৫৮

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারিঃ সারদা কান্ডের তদন্ত নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে এসে পুলিশের হাতেই আটক হতে হল সিবিআই-এর তদন্তকারী টিমকে। এই নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে পারদ চড়ল।

এদিন সন্ধ্যায় সিবিআই-এর এক বিশেষ টিম কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের ল্যান্সডাউনের বাড়িতে আসেন। সেই সময় তাদের বাধা দেওয় কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) প্রবীন ত্রিপাঠী। তিনি বলেন,”সিবিআই-এর যারা এসেছিলেন তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় আপনাদের আসার কারণ কি? তারা জানায় সিক্রেট অপারেশনে এসেছেন। এরপর তাদের কাছে যথাযথ কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। এমনকি জবাব পরিষ্কারভাবে দিতে পারেননি।”

এরই মধ্যে তারা জানিয়ে দেয় যে তারা যে কাজে এসেছেন সেই কাজ সম্পূর্ণ না করে তারা ফিরে যাবেন না। তখন শুরু হয় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সেইসময় সিবিআই-এর আধিকারিক সহ অন্য কর্মীদের টেনে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। সেখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন- “দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। উনি পাগল হয়ে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন- তোমার কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে নিশ্চয়ই তদন্ত করতে আসতে পারো। তোমার কি এমন হল কতগুলি গদ্দার যারা তোমার পার্টিতে গিয়ে যোগ দিয়েছে। আর একটা চম্বলের ডাকাত। মধ্যপ্রদেশে কিছু নেই। বসে বসে ইনস্ট্রাকশন দেয় সিবিআইকে। সেই চম্বলের ডাকায় আর গদ্দারের কথায় নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ বাবু যারা দাঙ্গা করে আজ ক্ষমতায় এসেছে। এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা লাগে। রাজীব কুমার চিট ফান্ডের সঙ্গে জড়িত-প্রমাণ করুন। আমি খুব দুঃখিত। সংবিধান আজ বিপন্ন। এমারজেন্সির থেকেও খারাপ শুরু হয়ে গেছে। ইলেকশনের আগে সবাইকে জব্দ করবার জন্য সবাইকে স্তব্ধ করবার জন্য এই চক্রান্ত মানা যায় না। সবাই ভয় পেয়ে গেলেও আমি বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভয় পাই না। সারা দেশের মানুষে আমাদের সমর্থন দেবে। সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করবার দাবিতে সংবিধানকে রক্ষা করবার দাবিতে আমি ধর নায় বসছি।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন রাতেই ফোন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ওমর আবদুল্লা, আহমেদ প্যাটেল, তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু। পাশে দাঁড়িয়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও।

সিবিআই-এর ভারপ্রাপ্ত প্রদাহ্ন নাগেশ্বর রাও জানান, “সিবিআই-এর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই তাদের তদন্তকারী দল রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেছিল। তিনি যদি সহযোগিতানা করেন তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Published on: ফেব্রু ৩, ২০১৯ @ ২৩:৫৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 4 =