বিজেপিকে হঠালেই তৃণমূলকে ফেলে দিতে সময় লাগবে না- ব্রিগেডে বলল বামেরা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৩, ২০১৯ @ ২০:৪৭

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারিঃ বহুদিন পর ব্রিগেডে বামেরা এতবড় সভা করল। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে যেভাবে রাজ্যে তাদের অস্তিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সেই দিক থেকে দেখলে এদিনের ব্রিগেড সমাবেশ কিন্তু বামেদের কাছে রাজনীতিতে ‘কাম ব্যাক’ করার সভা। আর সেই সভায় দাঁড়িয়ে এদিন বাম নেতারা এক যোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যারের তুলোধোনা করলেন।

সাম্প্রতিককালে এতবড় বামপন্থী সমাবেশ কিন্তু কলকাতায় দেখা যায়নি। এদিন অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কিন্তু ব্রিগেডে বামেদের যে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।এরই মধ্যে ব্রিগেডে কিছু সময়ের জন্য হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও তাঁকে মঞ্চে তোলার চেষ্টা করা হলেও অসুস্থ থাকার কারণে তিনি উঠতে পারেননি। গাড়িতে বসেই কিছু সময় বক্তৃতা শুনে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।

তবে উপস্থিত বাম নেতৃত্বের গলাতে শোনা গেছে মোদি-মমতা বিরুদ্ধে ক্ষোভ। এক সুরে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, দেবব্রত বিশ্বাস, ক্ষিতি গোস্বামী, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, দেবলীনা হেমব্রম প্রমুখ বাম নেতৃত্ব। একে কে তুলে ধরা হল বাম নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের এক ঝলক।

মহম্মদ সেলিম

  • ইয়ে বিজেপি-টিএমসি তুমে জিনে নেহি দেগা। অর লাল ঝান্ডা তুমে মরনে নেহি দেগা।
  • বিজেপির বি-টিম তৃণমূলকে না তাড়ালে বাংলা বাঁচবে না।
  • বাংলা বাঁচাতে হলে তৃণমূলকে তাড়াতে হবে।
  • লাল ঝান্ডা নিয়ে নতুন করে বাংলা গড়ব তার শপথ নিতে এসেছি।
  • এটা কাউকে স্বপ্নপূরণের জন্য না, কাউকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য না, দেশকে বাঁচানর জন্য।
  • পাঁচ বছর ধরে দেশের মানুষকে ভাওতাবাজি করা হয়েছে।
  • এখন তো শুধু মোদিভাই আর দিদিভাই।
  • শূরির সাক্ষী মাতাল আর মোদির সাক্ষী দিদি।
  • দাদার সঙ্গে সেটিং করে টিকে আছে দিদি।
  • ধর্মের নামে বিভাজন করছে মোদি-মমতা।
  • বাম আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হত না।
  • টালিগঞ্জ থেকে আমাদের নায়িকা আনতে হয় না। পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার লাল মাটি থেকে লাল ঝান্ডা নিয়ে আমাদের নায়িকা তৈরি হয় দেবলীনা হেমব্রম।
  • লুটের রাজত্বের মতো দাঙ্গার রাজত্ব করতে চাইছে আমরা সেটা হতে দিতে পারি না।
  • রক্ত দেখে বলে দিচ্ছে এটা গরু আর শূয়োরের। আসলে ব্যাপারটা গরু আর শূয়োরের না। বিজেপি আর তৃণমূল মিলে বাংলার মানুষকে গরু আর শূয়োর বানাতে চাইছে।
  • মানুষের মর্যাদাকে রক্ষা করতে হবে।

সূর্যকান্ত মিশ্র

  • বাংলা লালে লাল না হলে সারা দেশে বাম আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
  • ধ্বংসের পথে পশ্চিমবঙ্গ।
  • নেতাদের নয় এটা জনগণের ব্রিগেড।
  • বিজেপিকে আগে হঠাতে হবে।
  • বিজেপিকে হঠাতে পারলেই তৃণমূলকে ফেলে দিতে সময় লাগবে না।
  • চৌকিদার, পাহারাদার কাউকে চাই না।
  • কিছুদিন আগে এখানে ব্রিগেড হয়েছিল। ২৩ জন বক্তা ছিল। আর আমাদের ৯জন। কিন্তু লোক হয়েছে ওদের চেয়ে দ্বিগুন।
  • তৃণমূলের লকেট বিজেপি চুরি করেছিল। আর বিজেপির লকেট বিজেপি থেকে বেরিয়ে এসছিল, না বেরিয়ে কোথায় গেছে জানি না।

দেবলীনা হেমব্রম

  • অধিকার আদায়ের যুদ্ধে নামার শপথ নিন।
  • আমরা ধামসা-মাদল চাইনা- শিক্ষা চাই, চাকরি চাই।
  • রাজ্যে এখন ঢপবাজি চলছে।
  • আমাদের প্রতিরোধ প্রতিবাদ করতে হবে।

সীতারাম ইয়েচুরি

  • ৫ বছরে রেকরড বেকারত্ব মোদির আমলে।
  • চৌকিদারের ছুটির সময় এসেছে।
  • দেশে আমরা চুরি করা চৌকিদার চাই না।
  • পকেটমার প্রধানমন্ত্রীকে তাড়াতে হবে।
  • বাংলাতেও বিদ্বেষের কারণ।

ক্ষিতি গোস্বামী

  • কারও ঘরে যে সন্তান জন্মাচ্ছে, সেও বোধহয় এ বার থেকে দিদির অনুপ্রেরণায় জন্মাবে।
  • ব্রিগেড ভরাতে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস।
  • যারা আমাদের ব্যঙ্গ করেছিল তারা দেখুন ব্রিগেড লালে লাল হয়ে গেছে।
  • নিন্দার রাজনীতি করছে তৃণমূল।

বিমান বসু

  • বিজেপি-তৃণমূল একই বৃন্তে দুটো ফুল।
  • তৃণমূল আগে বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছে।
  • গণতন্ত্রকে হরণ করা হচ্ছে।
  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতেই হবে।

Published on: ফেব্রু ৩, ২০১৯ @ ২০:৪৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

46 − 36 =