সার্চ কমিটি না থাকা, পশুপালনে কেন্দ্রের প্রকল্পে রাজ্যের অংশগ্রহণ কম থাকা নিয়ে আক্ষেপ কেন্দ্রের কমিশনারের

Main দেশ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১১, ২০২৩ @ ২৩:৪০

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১১ জানুয়ারি: বেঙ্গল ভেটেরিনারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী পুনর্মিলন উৎসবে এসে কয়েকটি বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন পকেন্দ্রের পশুপালন কমিশনার ডা. অভিজিৎ মিত্র। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠন না হওয়া নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন।পাশাপাশি, পশুপালন নিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে এ রাজ্যের উদ্যোমীদের অংশগ্রহণ অনেক কম বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।

সার্চ কমিটি গঠিত না হওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রমী এবং ভীষণ লজ্জারও

পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠন না হওয়া নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন ডা. অভিজিৎ মিত্র। এদিন তিনি প্রকাশ্য সভায় আক্ষেপের সুরে বলেন- সার্চ কমিটি গঠিত না হওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রমী এবং ভীষণ লজ্জারও। যদিও উপাচার্য চঞ্চল গুহ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন- সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব অনেকদিন আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পশুপালন নিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প

“পশুপালন নিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প আছে। তেমনই একটা প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে  উদ্যোমী ভালো কাজ করতে পারবে। পশু পালনের ব্যাপারে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি আছে, সেগুলি হল- ভালো একটা ব্রিডের ফার্ম তৈরি করা, একটা পশুপোষনের নিউট্রিশনের ব্যপারে ফিড প্ল্যান বানানো বা একটা ডেয়ারি প্রসেসিং ইউনিট বানানো – এই ব্যাপারে ভারত সরকারের প্রকল্প আছে এবং আমরা অনলাইনে প্রকল্পের জন্য লোকজনদের অনুরোধ করছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উদ্যোমীদের অংশগ্রহণ কম। আমরা অনুরোধ করবো- পশ্চিমবঙ্গের লোকজন আরও বেশি করে এই ব্যাপারে এগিয়ে আসুক। এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করবো। দরকার হলে আমরা এখানে এসে তাদের সহযোগিতা করবো।” বলেন অভিজিৎবাবু।

‘ওয়ান হেলথ পলিসি’

এই কলজের প্রাক্তনী বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের এই আধিকারিক একই সঙ্গে ‘ওয়ান হেলথ পলিসি’ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। অভিজিৎবাবু মনে করিয়ে দেন, করোনার মতো ব্যাধিও প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এসেছে। তাই পাখি বা প্রাণীদের রোগ, মানুষের রোগ, পরিবেশ রক্ষা প্রভৃতি বিষয়গুলিকে এক ছাতার নীচে নিয়ে এসে দেখতে হবে। সেটাই ওয়ান হেলথ পলিসি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেকথাই বলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যকে আমরা স্বাবলম্বীও করে ফেলবো

কমিশনার বলেন- মাছ উৎপাদনে আমরা(পশ্চিমবঙ্গ) গুজরাটের থেকে পিছিয়ে আছি। পিছিয়ে থাকার পিছনে দুটো কারণ কাজ করছে। এক, আজকে বাঙালিদের মধ্যে যেটা লক্ষ্য করা যায়, তা হল বাঙালিরা একটু কর্মবিমুখ। দুই, আমরা জানি যে সরকারি চাকরি নেই, তাও আমরা সরকারি চাকরির পিছনে ছুটি। আমাদের এক্ষেত্রে যেটা করা দরকার, তা হল আপনারা সাংবাদিকরা সমাজের আরও ভিতরে থাকেন। আপনাদের আমি অনুরোধ করবো- উদ্যম অর্থাৎ উদ্যমিতা হিসাবে পশুপালন এবং মৎস্য পালন এটা যদি নেওয়া যায়, তাহলে আমাদের আয়ই হবে না তার সঙ্গে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যকে আমরা স্বাবলম্বীও করে ফেলবো। আজ যে বাইরে থেকে জিনিস আসছে তা থেকেও আয় হচ্ছে। এই আয়টা যদি আমাদের রাজ্য সরকারই করতে পারে আমাদের কোনও বাঙালিই করতে পারে তাহলে সেটা আরও বেশি ভালো হবে।

দুধ উৎপাদন ক্ষমতা পশু প্রতি বিশ্ব স্তরের চেয়ে একখনও অনেক নীচে

দেখুন আজ দুধ উৎপাদনে ভারতবর্ষ এক নম্বরে। ডিম উৎপাদনে আমরা তিন নম্বরে। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে – আমাদের যে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা পশু প্রতি পরিমাণ সে্টা কিন্তু বিশ্ব স্তরের চেয়ে একখনও অনেক নীচে আছে। বিশ্বে যদি পাঁচ থেকে ছয় হাজার লিটার দুধ দেয় সেটা আমরা এক থেকে দুই হাজার লিটার পশু প্রতি দুধ দিয়ে থাকি।  এই পশু পালনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যে ৬৫ শতাংশ খরচা সেটা শুধু পশুপোষন থেকে হয়।পশুর পিছনে খরচা হয়। এখন আমরা যদি কোনওভাবে পশুপোষনের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে কিন্তু এই ৬৫ শতাংশ খরচা সাশ্রয় হবে। এবং এটা আরও বেশি লাভদায়ক হবে। যোগ করেন অভিজিৎবাবু।

Published on: জানু ১১, ২০২৩ @ ২৩:৪০


শেয়ার করুন