দেশের কোটি কোটি মানুষ এই ফকিরের ঝোলা পূর্ণ করেছে, তারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো জবাব দিয়েছে-মোদি

Main দেশ লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

এই জয় মোদির জয় নয়, এই জয় হিন্দুস্থানের জয়। এই জয় গণতন্ত্রের জয়। এই জয় জনতা-জনার্দনের জয়।

২ থেকে দুইবার এলাম ক্ষমতায়।

“আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি- আমি কোনও ভয়ানক ও খারাপ কাজ করব না। । কাজ করতে করতে ভুল হয়ে যায়।সেদিকে নজর রেখে কাজ করে যাব আপনাদের স্বার্থে।”

Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ২৩:৫৩

এসপিটি নিউজ, নিউ দিল্লি, ২৩মে:  এই প্রথম স্বাধীনতার পর কোন একটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই শুধু নয় বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। এই প্রথম দেশের প্রধান শাসক দলের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে একাধিক সভা করে গিয়েছেন। যার ফল স্বরূপ অপ্র্যাশিত ফল হয়েছে এ রাজ্যে। সেই সঙ্গে বিজেপি এককভাবে ৩০০ আসন পার করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই জয়কে দেশের মানুষের জয় বলে অভিহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে তিনি জানয়েছেন- দেশের কোটি কোটি মানুষ এই ফকিরের ঝোলা পূর্ণ করেছে। একই সঙ্গে দেশবাসীকে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা

মোদি বলেন- ‘দেশের ১৩০ কোটি নাগরিক এই ফকিরের ঝোলা পূর্ণ করেছে।আমি তাদের সকলকে মাথা নত করে প্রণাম জানাই। গণতান্ত্রিক বিশ্বে সবচেয়ে এটাই বড় ঘটনা। স্বাধীনতার পর এতগুলি ভোট হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি দিন ধরে  ভোট হয়েছে এই নির্বাচনে।৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ভোট হয়েছে।

“আর এজন্য ভারতের মানুষের জাগ্রতা, এই দেশের মানুষের দৃঢ়তা, ভারতের গণতন্ত্রকে স্বীকার করতে হবে গোটা বিশ্বকে। ১৩০ কোটি জনতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো জবাব দিয়েছেন।মহাভারতের যুদ্ধের পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কার পক্ষে ছিলেন। জবাবে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন- ‘আমি হস্তিনাপুরের পক্ষে।’ এই ১৩০ কোটি জনতা আজ শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাই পালন করেছে। তারা এই নির্বাচনে ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। এজন্য ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি দিচ্ছি।” বলেন মোদি।

তিনি বলেছেন- এই জয় মোদির জয় নয়, এই জয় হিন্দুস্থানের জয়। এই জয় গণতন্ত্রের জয়। এই জয় জনতা-জনার্দনের জয়।

‘নম্রতা, সংস্কার আর আদর্শ-এর উপর দাঁড়িয়ে কাজ করে যাব’

‘আমরা ছিলাম ২। আর এলাম ফের দ্বিতীয়বার। তাই ২ থেকে দুইবার এলাম ক্ষমতায়।ক্ষমতায় এসেও আমরা নিজেদের পথ থেকে সরে যাব না। আমরা নম্রতা, সংস্কার আর আদর্শ-এর উপর দাঁড়িয়ে কাজ করে যাব। এগুলিকে অবহেলা করব না। এই নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা জিতেছে। দেশের যুব শক্তি জিতেছে। যে মানুষটি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বাঁচার লড়াই চালাচ্ছে সে জিতেছে। দেশের অসংগঠিত শ্রমিকরা জিতেছে।’

দায়িত্ব বেড়েছে

“আমাদের সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল। কেউ কিন্তু ভ্রষ্টাচারের আরোপ লাগাতে পারেনি। আগামী পাঁচ বছর অনেক দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। সামনেই আছে গান্ধীজীর ১৫০ বছর পূর্তি। এবং দুই বছর পর আছে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। এই দুটি আমাদের পালন করার সৌভাগ্য মিলেছে।”

“দেশে সকলের মত নিয়ে চলে। আমাকে নির্বাচনের সময় কে কি বলেছে তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। ওসব ভোট যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিটে গিয়েছে। আমি সামনের দিকে এগিয়ে চলতে চাই। দেশকে নয়া ভারত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেদিকেই আমাদের নজর দিতে হবে। আমি চাই দেশের বিরোধী দল যারা আমাকে গাল দিয়েছে তাদেরও সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ব্রতী হতে ।” বলেন মোদি।

“২০১৪ সালে যখন প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলাম সেদিন আমাকে কেউ জানতেন না। আজ ২০১৯ সালে আমি যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন সকলেই আমাকে জেনেছেন। তারা আমার উপর ভরসা করেছেন। সেক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে।”

“আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি- আমি কোনও ভয়ানক ও খারাপ কাজ করব না। কাজ করতে করতে ভুল হয়ে যায়।সেদিকে নজর রেখে কাজ করে যাব আপনাদের স্বার্থে।”

Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ২৩:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + = 29