‘বোদ্ধা’ দলদের ‘অকাল মৃ্ত্যু’

Main উত্তর সম্পাদকীয় দেশ লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

লেখক– অরুণাভ গুপ্ত

Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ২২:৪৬

লোকসভা ফলাফল যাদের দিকে ঢলার ঢল ছিল তাই তাথৈ ছন্দে সার্কিট কমপ্লিট করেছে। এরজন্য চ্যানেলে-চ্যানেলে বিশাল আসর বসানোর কোন প্রয়োজন ছিল না।সাধারণজন যা ভাবছেন তা কিন্তু তাঁরা কখনই ফিসফিস করে ভাবেননি, বরং এ-ওকে রাস্তাঘাটে, বাজারে, চায়ের মজলিশে হেঁকে ডেকে প্রশস্তি এবং সামালোচনা দুই করেছেন। চোখ-কান সজাগ থাকলে ট্রেন্ড কোন দিক পানে ছুটছে নির্ভুল বলা যায়। দেখুন পাঠক একটা কথা মেজে-ঘষে বলা দরকার প্রতিটি নাগরিক নিজেকে যদি প্রশ্ন করেন আমি একজন ভোটার সে বেলায় করণীয় কি! উত্তর মিলবে নিরুচ্চারে যা বাস্তব এবং সত্য সেই কিউ-তে সামিল হও। এবার ভেঙে দেখা যাক- বাস্তব এটাই দল বিজেপি নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে ভোটারদের বা নাগরিকবৃন্দের কাছে। কিভাবে, সমস্টিগতভাবে এবং ঐক্যবদ্ধ চেহারায়, অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে। তাদেরও শরিক আছে, কিন্তু সেইসব শরিকরা খুব ভাল জানেন বিজেপিকে তাঁদের পক্ষে চাপে রাখা সম্ভবপর নয়, বা খুব বেশি বার্গেনের রাস্তায় হাঁটাও মুশকিল। কারণ, আঞ্চলিক সাংগঠনিক এলেম থাকলেও জাতীয় লেভেলে শূন্য, সেক্ষেত্রে গোয়ার্তুমি করলে রাজ্য ভিত্তিকেও যে দ-এ ভাসতে হতে পারে সেই অঙ্ক শরিক দলগুলির মগজে আছে। সুতরাং আপনি বাঁচলে বাপের নাম অতি পাগলেও বোঝে।

আর সত্য কোনটা– নিজের মানে দলের ‘ইজম’ ধরে রাখা। পেটে-মুখে এক থাকা। তাতে জয়-পরাজয় যাই আসুক। বিপক্ষ শিবির বলছে পোলারাইজেশন বা মেরুকরণ। বুঝলাম, কিন্তু কোন দল না করে পাঠক! ছুকছুক মানসিকতা মানুষ ভাল চোখে দেখে না। তুমি যা তাই ঢেলে প্রকাশ কর, নাগরিক মানে দেশবাসী নিজস্ব বিচারে বুঝে নেবে। কিন্তু কোন দল যদি হালে পানি না পেয়ে সুর ভাজেন- ওরা জানে না কি ভুল করছে, এই গান বাজারে হিট করতে পারে না, মানুষ অপমানিত বোধ করেন- তুমি কোন মাতব্বর হে যে আমার ভুল শোধরাতে এসেছ। আমার ডাক্তার আমি, আমার ডায়েট চার্ট আমি করব, আপনি বা আপনার দল নিজের চরকায় তেল দিন। দেশ চালাতে গেলে একটা সঠিক প্ল্যান মগজে রাখতে হয় এবং সেটা তখনো শেয়ার করা সম্ভব নয় তখন ওটা হয়ে যায় না বস।আরে বাবা লাবড়া, ছ্যাচড়া, ছক্কা এসব দিয়ে জাতে ওঠা যায় না- বাদশাহী খানার দরকার। বিজেপি দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ার মতন রেসিপিতে খুশবু নেই ঢেকুর তুললে ফয়দা হবে, আওয়াজই সার।

প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর মাস্টারস্ট্রোক ওয়াচ করুন, ধ্যান লাগান, ফলের পর বললেন- ভারত জিতল। অর্থাৎ বাকি সব করে রব নিজেদের স্বার্থে। দেশকে ভালবাসলে দেশের সেবক হওয়া যায়, নইলে মেকি। গোদা বাংলায় একঘরে করে দিলেন বিরোধী জোটকে-অস্পৃশ্য-অশুচি- ব্রাত্য থাকো সুধীবৃন্দ পার্টিজ।

সংযোজনঃ কংগ্রেস/ দূরবীন লাগছে, সিপিএম/হেরিডিটি বিহীন, বাকি অন্তহীন দলগুলির ভিড় বাড়ান ছাড়া অস্তিত্ব নেই।

Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ২২:৪৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 31 = 36