আমাদের পাশে থাকা বাংলার উন্নয়নের কারিগর “মুখ্যমন্ত্রী”কে গালি দিলে বিজেপি-র এ রাজ্যে এমন দশাই হবে-বিজয়োল্লাসে বলছে সবংবাসী

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

 

তৃণমূল কংগ্রেস                 সিপিএম             বিজেপি              কংগ্রেস               এসইউসি           

১,০৬,১৮৫                     ৪১,৯৮৯            ৩৭,৪৮৩            ১৮,০৬৩            ২,০৭৯

 

                                                                               তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গীতারানী ভুঁইয়া জয়ী ৬৪,১৯৬ ভোটে  

Published on: ডিসে ২৪, ২০১৭ @ ১৭:২১     

এসপিটি, নিউজ, সবং, ২৪ ডিসেম্বরঃ মোদী আর মমতার মধ্যে পার্থক্য কি? প্রশ্ন তুলে সবং-এর রাস্তায় অঘোষিত বিজয়োল্লাসে মেতে উঠল জনতা।এদের সকলেই যে অন্ধ তৃণমূল সমর্থক তা নয়, এখানে আছে সাধারণ মানুষও। যাদের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্কই নেই। এরা বাঁচার মতো করে বাঁচতে চায়। দু’বেলা দু’মুঠো পেত ভরে খেতে চায়।এরা ধর্ম বোঝে না, জাত চেনে না। এরা সবাই মিলে-মিশে একসঙ্গে থাকতে চায়।গত এক মাস ধরে সবং জুড়ে যেভাবে রাজনৈতিক দলের দাপাদাপি হয়েছে এখন তার থেকে মুক্তি। সিপিএম বলেছিল সবং-এর ভোট এবার ইতিহাস হয়ে যাবে। বিজেপি বলেছিল-এখান থেকেই বিজেপি তাদের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে।আর কংগ্রেসের কথা না হয় ছেড়েই দেওয়া গেল।ভোটের শেষে তৃণমূলের সাংসদ সেদিন বলেছিল জগাই-মাধাই এসেও কিছুই করতে পারল না। তিনি যথার্তই বলেছেন, যেখানে তারা নিজের মসনদ ঠিক মতো রক্ষা করতে পারবেন কি না ঠিক নেই সেখানে তারা দেখেছিলেন সবং জয়ের স্বপ্ন। সবংবাসী প্রশ্ন তুলেছেন-সামান্য গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী কতবার সেখানে গেছিলেন? আর তার সভা করার কটি কেন্দ্রে বিজেপি জিততে পেরেছে? অথচ আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবং-এর উপ-নির্বাচনের প্রচারে ছিলেনই না। তিত্ন শুধু তাঁর বিশ্বাসভাজন শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।সেখানে ফল কি হল?

গুজরাটে বিজেপিকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে জিততে হয়েছে। আর সবং-এ তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমতো মাথা উঁচু করে শুধু জিতলই না ২০১৬ সালের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে এক নয়া রেকর্ড স্থাপন করল। সিপিএমের কথা মতোই ইতিহাস তৈরি হল। আর সেই ইতিহাসের কারিগর হল তৃণমূল কংগ্রেস। একইভাবে জবাব পেল বিজেপিও। তারা বলেছিল এখান থেকেই শুরু হবে তাদের পঞ্চায়েত ভোটের অভিযান। হ্যাঁ, সেটা শুরু হতে চলেছে ঠিকই তবে সেটা বিজেপি-র নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের।

প্রচারে সবং-এ বিজেপি তাদের রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীকে নিয়ে এসেছিল। এসেছিল মুকুল রায়ও। কংগ্রেস নিয়ে এসেছিল তাদের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিধান্সভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। সিপিএম এসেছিল তাদের রাজ্য সম্পাদক সুর্যকান্ত মিশ্রকে।শুধু তৃণমূল কংগ্রেস স্থানীয় নেতা ও এক-আধবার শুভেন্দু অধিকারী আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চ্যাটার্জী, ববি হাকিমকে নিয়ে এসেছিল।

এই ভোটের পর কিন্তু বিরোধীদের আবারও একটা শিক্ষা দিয়ে গেল- তা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালি দিয়ে, কুতসা, অপবাদ দিয়ে ভোটে জেতা যাবে না। ২০১৬ সালেও এমনটা হয়েছিল, আবার ২০১৭ সালেও তারই ফটোকপি দেখা গেন। সবং-এর মানুষ এখন একটা কথাই বলছেন- যিনি আমাদের জন্য করবেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে গালি দিলে ফল হবে এমনই।বিজেপি-র এমন দশাই করবে জনতা।বিজয়োল্লাসে চিৎকার করে বলতে থাকে জনতা।Published on: ডিসে ২৪, ২০১৭ @ ১৭:২১   


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

72 − = 62