পুরুলিয়া কাণ্ডে অভিষেকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন এবার কৈলাস বিজয়বর্গী

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: জুন ৪, ২০১৮ @ ২৩:৩১

এসপিটি নিউজ, দাসপুর, ৪ জুনঃ একদিন আগেই পুরুলিয়ায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা হয়। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে দায়ী করার পাশাপাশি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।তা নিয়ে দিলীপের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে বিজেপির এক সভায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গী।

এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে কৈলাস অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “পুরুলিয়ায় আমাদের দুইজন সক্রিয় কর্মী খুন হয়ে গেল। এই ঘটনার পিছনে পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” এখানেই না থেমে কৈলাস গলা চড়িয়ে বলতে থাকেন,” অভিষেককে গ্রেফতারের দাবিতে প্রয়োজন হলে আমরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট-এ যাব। রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করব। যতদিন না অভিষেকের হাতে হাতকড়া পড়াচ্ছি ততদিন আমাদের শান্তি নেই।”

দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কৈলাস বিজয়বর্গী বলেন,”পুরুলিয়ায় যেভাবে আমাদের কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো ও দুলাল কুমারকে খুন করা হয়েছে তা নিন্দা করার ভাষা আমার জানা নেই। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।” “রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে। প্রতিদিন খুনের ঘটনা ঘটছে। তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।” বলেন কৈলাস। তিনি দলীয় কর্মীদের বলেন, “হিংসা দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তোপ দেগে বলেছিলেন, “পুরুলিয়ায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এসেছিলেন পুরুলিয়াকে তিনি বিরোধী শূন্য করবেন। আর তারপর থেকে বিজেপি কর্মীরা খুন হতে থাকল। এ তো তার প্ররোচনাতেই ঘটেছে। আমরা তাঁর গ্রেফতার চাই।” দিলীপ ঘোষের এই কথার পরিপ্রেপ্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” গ্রেফতার যদি করতেই হয় তাহলে তো আগে দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা উচিত। হিংসা তো উনি আগে ছড়িয়েছেন। উসকেছেন। তৃণমূল কর্মীদের মা-বোনেদের অনাথ করে দেবেন বলেছিলেন। মাটির নীচে ছয় হাত ঢুকিয়ে দেবেন বলেছিলেন। আরও কত কী না বলেছিলেন। তাহলে প্ররোচনা কে দিল? আগে নিজেরা শোধরাক। আর ময়ন তদন্তের রিপোর্টে তো প্রমাণ হয়েই গেছে আত্মহত্যার ঘটনা।”

Published on: জুন ৪, ২০১৮ @ ২৩:৩১

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 4 =