- রাজ্যের চারটি স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 10 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে পৌঁছেছে।
- তুষারপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সমস্ত পাস যানবাহনের জন্য বন্ধ করে হতে পারে।
- তুষারপাত সত্ত্বেও মানালি-লেহ রুটে সেনাবাহিনীর যানবাহনের কনভয়ের জন্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
Published on: অক্টো ১৮, ২০১৯ @ ১৮:৫৪
এসপিটি নিউজ, সিমলা, ১৮ অক্টোবর: শীতকাল পড়তে এখনও কিছুদিন বাকি কিন্তু হিমাচল প্রদেশে কিন্তু ইতিমধ্যেই পাহাড়ের উপরের দিকে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে সেখানে তাপমাত্রা হুহু করে নেমে গেছে। রাজ্যের চারটি স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 10 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে পৌঁছেছে। এর মধ্যে কল্পাতে 5.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস, কেলং 3 ডিগ্রি , মানালি 6.4 ডিগ্রি এবং কুফরিতে ন্যূনতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে 9.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে, রোটাং সহ লাহুল উপত্যকার উপরে বৃহস্পতিবার আবারও তুষারপাতের পড়া শুরু হয়েছে।
কোথায় কি পরিস্থিতি
- এখনও অবধি চার ইঞ্চি বরফ পড়েছে বারালাচা পাসে, পাঁচ ইঞ্চি শিনকুলায় এবং তিন ইঞ্চি রোটাং সহ কুঞ্জম পাসে। রোটাং পাসে দুই ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছিল। বারালাচা ও শিনকুলায় যানবাহন চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হলেও এবং কুঞ্জাম পাসে বর্তমানে মসৃণ, তবে তুষারপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সমস্ত পাস যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।
- মান্ডি জেলার মান্ডি জেলার চৌহরঘাটির বড়োট ও ছোটভাঙ্গাল এলাকায় বেলা ১১ টার দিকে হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ার পর বর্ষার প্রকোপ শুরু হয় এবং ১৫ মিনিট পর শিলাবৃষ্টিতে ভারী ধরনের ক্ষতি হয়। শিলাবৃষ্টি এত বেশি হয়েছে যে দেখে মনে হচ্ছিল একটি সাদা চাদর যেন কেউ মাটিতে বিছিয়ে দিয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে চৌহরঘাটিতে মটর, সবুজ ধনিয়া ও ফুলকপি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মনমোহন সিং বলেছেন যে শুক্রবার রাজ্যের নিম্ন ও মধ্য অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। উচ্চ উচ্চতায় কিন্নর এবং লাহুল-স্পিতিতে তুষারপাত হয়েছে। পশ্চিমী বাতাস এখন ইরান এবং আফগানিস্তানের পশ্চিমে চলছে। রাজ্যে এর প্রভাব দেখা যাবে। 23 অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া শুকনো থাকবে। রাজ্যের সমস্ত অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঘনিয়ে এসেছে।
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক
তুষারপাত সত্ত্বেও মানালি-লেহ রুটে সেনাবাহিনীর যানবাহনের কনভয়ের জন্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। ভারী তুষারপাত না হলে যানবাহনের চলাচল মসৃণ রাখার চেষ্টা করা হবে। বিআরও-র তত্ত্ববধানে মানালি-লেহের দারচা ও আশেপাশের রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে।
Published on: অক্টো ১৮, ২০১৯ @ ১৮:৫৪