ইন্দো-বাংলা সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ সুরক্ষা বাহিনীর গুলিবর্ষণ, শহীদ ভারতীয় জওয়ান

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

বৃহস্পতিবার দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে সঙ্গে নিয়ে ফেরার সময় পিছন দিক থেকে ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি।

গুলিবিদ্ধা ভারতীয় অন্য জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  

Published on: অক্টো ১৭, ২০১৯ @ ২০:৫৫

এসপিটি নিউজ, বহরমপুর, ১৭ অক্টোবর:  মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীতে পদ্মা নদীতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের সীমার মধ্যে ঢুকে পড়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে গিয়ে চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে। বৃহস্পতিবার দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে সঙ্গে নিয়ে ফেরার সময় পিছন দিক থেকে গুলি চালায় বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি। ভারতীয় এক জওয়ানের মাথায় গুলি লাগলে তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয় অন্য জওয়ানরাও। অর্থাৎ

আহত সমস্ত জওয়ানকে দ্রুত আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে হেড কনস্টেবল বিজয় ভান সিংহকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত কনস্টেবলকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুই মৎস্যজীবীকে বার্তা দিতে ছাড়া হয়

সংবাদ সংস্থাটি জানায়,  এদিন সকালে ৩ জন ভারতীয় জেলে জলঙ্গী লাগোয়া পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেই জায়গাটি ছিল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল। মাছ ধরার সময় তারা নদীতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বাংলাদেশ সুরক্ষা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই খবর পাওয়ার পরই তাদের ছাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী। তাদের একটি দল সেখানে পৌঁছয়। দুই তরফের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হওয়ার পর দু’জনকে ছাড়া হয়। বাকি একজন বাংলাদেশ সুরক্ষা বাহিনী ছাড়তে রাজী হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে দুই মৎস্যজীবীকে নিয়ে যখন ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর পাঁচজন জওয়ান যখন ফিরছিলেন সেইসময় আচমকা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে বিজিবি। একটি গুলি এসে বিজয় ভান সিংহের মাথায় লাগে। বাকিদের হাতে লাগে। সকলকেই মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয় ভান সিংহকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

Published on: অক্টো ১৭, ২০১৯ @ ২০:৫৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 3