সংবাদদাতা-বেবী সরকার
Published on: মার্চ ১৩, ২০১৮ @ ১৮:০৩
এসপিটি নিউজ, কাঁকসা, ১৩ মার্চঃ বাউল গানে আছে প্রাণের ছোঁয়া। আছে লোকশিক্ষার রসদ। আর তাই রাজ্য সরকার বাউলগানকে গুরুত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় ও উৎসাহে বাউল শিল্পীরা আজ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। সেই বাউল গানকে এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে কাঁকসা ব্লক প্রশাসন।যেখানে তারা বাউল শিল্পীর গানের তালেই ডেঙ্গু সচেতনতার প্রচারের পাশাপাশি ব্লিচিং ছড়ান এলাকায়। যে দেখে রীতিমতো উৎসাহিত এলাকাবাসী।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে গেছিলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরই কাঁকসা ব্লক প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মঙ্গলবার তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ কর্মসূচি নেয়।
পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কাঁকসা ব্লক প্রশাসন একটি র্যালি বের করে। যেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাসকে। র্যালিতে দেখা যায় এক বাউল শিল্পীকে। যিনি বাউল গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সচেতন করেন। যা বেশ অভিনব লেগেছে স্থানীয় মানুষজনের কাছে। ডেঙ্গু সচেতনতায় নানা রাজ্যে নানা সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম্বঙ্গের মতো এমন অভিনব উদয়োগ কোনও জায়গায় চোখে পড়েনি।
একদিকে বাউল শিল্পী হাতে এক তারা বাজিয়ে পায়ে ঘুঙুর পড়ে কোমর দুলিয়ে নেচে নেচে গেয়ে চলেছেন বাউল গান। যে গানের মধ্যে দিয়ে শিল্পী বলতে চেয়েছেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।বাউল গানের সুরে ও তালে গেয়ে চলেন শিল্পী। এ সত্যিই এক অভিনব উদ্যোগ। যা শোনার জন্য মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছে।
দেখা গেল, বাউল শিল্পী যখন গান ধরেছেন তখন আর এক দিকে কাঁকসার বিডিও আশপাশের নালাগুলিতে ছড়াচ্ছেন ব্লিচিং।মাটির ভাঁড় থেকে ডাব যা কিছু ফেলে দেওয়া হয় তাতে জল জমে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা জন্মায়, তা থেকে মুক্তি পেতে এইসব সামগ্রী নষ্ট করে দেওয়ার পরামর্শ ছাড়াও গাড়ির টায়ার ইত্যাদি সামগ্রীতেও যাতে জল না জমে তা নিয়েও সতর্ক করে দেন বিডিও।
এদিনের এই সচেতনতা অভিযানে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে।
Published on: মার্চ ১৩, ২০১৮ @ ১৮:০৩