বাইকে ধাক্কা লাগা নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে রণক্ষেত্র দক্ষিণ বারাসাত স্টেশন, জয়নগরের বিধায়ক বললেন সব মিথ্যা

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা- সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ২১:১৪

এসপিটি নিউজ,বারুইপুর,২২ জানুয়ারিঃ দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাক্ষণ বলে চলেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সমস্ত নেতা-কর্মীদের এক জোট হয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। তিনি সবসময় দলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার কথা বলে চলেছেন। অথচ দলের নেতা-কর্মীদের তার অভাব শুধু দেখাই দিচ্ছে না তাদের মধ্যে বিরোধ-কোন্দল একাবারে প্রকাশ্য চলে আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের সেই দলীয় কোন্দলকেই সামনে নিয়ে এল। প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল অনেকগুলি দিকের।মুখ পুড়ল দলের।

কি এমন ঘটনা ঘটল যার জন্য এমন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ বারাসাত স্টেশন চত্ত্বর।স্থানীয় ধ্রুব চাঁদ কলেজে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবার বিকেলে কলেজ থেকে সকলে বাড়ি ফিরছিল। আর সেইসময় ঘটে মূল ঘটনাটি। কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের অধীনেই। কাজেই সকলেই ছিল তৃণমূলের লোকজন।

এমনিতেই এই এলাকাটি জয়নগর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। আর এখানকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ও জয়নগর তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি গৌর সরকারের মধ্যে কতটা মধুর সম্পর্ক তা জেনে গেল স্থানীয় বাসিন্দারাই। অনেক সময় দলের নেতারাই কোন্দল ঢাকতে বলেন-আমাদের দলে কোনও কোন্দল নেই।এদিন তার কোনও অবকাশ পেলেন না নেতারাই।কারণ, দলের এক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুললেন খোদ দলেরই আর এক নেতার ছেলেরা।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌর সরকারের ছেলেরা অভিযোগ করল, “আমাদের   ছেলেরা দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনে হাজির হলে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের অনুগামী তুহিন বিশ্বাসের ছেলেরা লাঠি, রড নিয়ে আক্রমন চালায় আমাদের উপর। এর জেরে জেলা তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সহ-সভাপতি সুরজিৎ সরদার সহ কলেজের ছাত্র পরিষদের এজিএস সৌমিত্র সরদার সহ ৫ জন আহত হয়। কারও মাথায় আঘাত লাগে, কারও হাতে চোট লাগে। এমনকী, ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুরজিৎ সরদারের মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়। কয়েক জনকে কলেজের ঘরে আটকে রাখা হয়।”

এই ঘটনাকে ঘিরে দক্ষিণ বারাসাত ষ্টেশন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। লাঠি-রড নিয়ে এক দল হাজির হতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জয়নগর থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এদিকে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্ব নাথ দাসের পাল্টা অভিযোগ,  বাইকে ধাক্কা লাগা নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটু গণ্ডগোল হচ্ছিল। তাতে কলেজ থেকে স্টেশনে আসার পথে আমাদের দুই জন ছাত্রকে মারা হয়েছে নলে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।মিথ্যে বলা হচ্ছে।কিন্তু ছবি তো আর মিথ্যে বলবে না, সেই বিষয়ে বিশ্বনাথবাবুর কাছে কি জবাব আছে-তিনি কি বলবেন? না, তিনি এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ঘটনার জেরে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ২১:১৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

41 − 31 =