মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কি কারণে ধন্যবাদ জানালেন

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২৪, ২০২৩ at ২৩:৫১

এসপিটি নিউজ: আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরতিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভার আয়োজনকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। মাওলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সেখানে রাজ্য সরকার হেরে যায়। আদালতের নির্দেশে বিজেপির ঘোষিত সভা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অর্থাৎ যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক একুশে জুলাই সভা হয় সেখানেই হবে। আর সেই বিষয়টাকে নিয়েই এদিন কৃষ্ণনগরে এক পথসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি তাকে ধন্যবাদও জানান। বলেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ যেটা দেড় লাখ লোক হত সেটা উনি আড়াই লাখ করে দিয়েছেন।

ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাই-এর সভাস্থলেই শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বিজেপির পূর্ব ঘোষিত জনসভার আয়োজনে বহাল থাকল। এর ফলে এই সভার প্রচার আরও বেশি করে হয়ে গেল। যা নিয়ে দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে “কারা উপর মহলকে পরামর্শ দেয়? রোজ নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে মুখপাত্রদের কাজ কঠিন হচ্ছে। একবার ভুল হলে মানা যায় । কিন্তু ১৪ বার একই ভুল হচ্ছে।” এর পর তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন- দলের সৈনিক হিসাবে মনে করি ২১শে জুলাই ওখানে সভা করার অধিকার তৃণমূলের রয়েছে। আবার নাগরিক হিসাবে আমার মনে হয়, একটা দল করলে বাকিরা করবে না কেন? আদালত তো আইনের চোখেই দেখছে। এর ফলে “চার আনার” বিজেপি “১২ আনার” প্রচার পেয়ে গেল। তাদের সেই প্রচারটা পাইয়ে দেওয়া হল।

কুনাল ঘোষের কথাটা যে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেল কৃষ্ণনগরে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই কথাটাই বলেছেন। আর এজন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনং তার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতেও কসুর করেননি। বলেছেন। আমি মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই- আপনি এসি সভাকে বাধা দিতে গিয়ে যেটা দেড় লাখ লোক হত তা আড়াই লাখ করে দিয়েছেন।

শুভেন্দু এদিন কৃষ্ণনগরের সভায় দাঁড়িয়ে বলেন- “কলকাতায় ২৯ নভেম্বরের সভার অনুমতির জন্য বিজেপি কলকাতা পুলিশ মানে মমতা পুলিশের কাছে আবেদন করে। কিন্তু তারা অনুমতি দেয়নি। আমরা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়েছি জিতেছি। এরপর রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। কিন্তু সেখানেও মুখ পোড়ে। যার এক কান কাটা সে রাস্তার এক সাইড দিয়ে যায়। আর যার দু’কান কাটা সে যায় রাস্তার মাঝখান দিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার পুলিশের অবস্থাও তাই। এদের দুটো কান কাটা তাই ডিভিশন বেঞ্চে গেছে। মান্যবর প্রধান বিচারপতি বলেছেন- তাহলে ২১শে জুলাই টাও বন্ধ করে দি।হেরে গেছে। এবার আমানাদের কর্মসূচি বায়পকভাবে হবে।”

শুভেন্দু এই কথার রেশ টেনে বলেন- এজন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। কারোন, আগে যেখানে আমাদের দেড় লাখ লোক হত এবার তা আড়াই লাখ হয়ে যাবে। সেটাই উনি করে দিলেন।

Published on: নভে ২৪, ২০২৩ at ২৩:৫১


শেয়ার করুন