আইসিএসই-তে অসম্ভব ভাল ফল করার যোগ্য সম্মান, নয়া দৃষ্টান্ত গড়ল সেন্ট লুক’স ডে স্কুল

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: অক্টো ৩০, ২০২৩ at ২১:২৫
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, নৈহাটি, ৩০ অক্টোবর: নৈহাটি সেন্ট লুক’স ডে স্কুলের স্মৃতিতে আজকের দিনটি উজ্জ্বল হয়ে রইল। প্রিন্সিপাল সাধনা ভট্টাচার্যের এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে, যা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ভিতকে আরও মজবুত করে তুলল। এবছর আইসিএসই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় অসম্ভব ভাল ফলাফল করায় সেইসব ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের সঙ্গে একসঙ্গে মধ্যাহ্নকালীন আহার সারলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা।সেইসঙ্গে হয়ে গেল শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ও। এই অভিনব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে আজ এক নয়া দৃষ্টান্ত গড়ল নৈহাটি সেন্ট লুক’স ডে স্কুল।

অভিভাবক-অভিভাবিকাদের সাথে সস্কুলের প্রিন্সিপাল সাধনা ভট্টাচার্য।

এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট একজামিনেশনস (সিআইএসসিই)-র দশম শ্রেণির ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইসিএসই)-তে নৈহাটির সেন্ট লুক’স ডে স্কুলের ছাত্র অরুণাভ দত্ত ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। আর দেবাদৃতা ঘোষ ৯৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে রাজ্যস্তরে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে এবার অসম্ভব ভাল ফল করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা।তাদের ফলাফলে গর্বিত প্রিন্সিপাল সাধনা ভট্টাচার্য ফলাফল প্রকাশের পরই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি একদিন এই ব্যাচের সকল ছাত্র-ছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে বিশেষ ভোজনে সম্মানিত করতে চান। আজ ছিল সেই বিশেষ দিন। প্রিন্সিপাল সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে সকলে এক সঙ্গে সারলেন মধ্যাহ্নকালীন আহার। প্রিন্সিপালের অসাধা্রণ উদ্যোগ আর তার আতিথেয়তায় সকল অভিভাবক আপ্লুত, অভিভূত। সর্বক্ষণ তিনি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের পাশে থেকে লক্ষ্য রেখেছেন তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়।

শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তা

এদিন শুরুতে প্রিন্সিপাল সাধনা ভট্টাচার্য এই আনন্দের মুহূর্তটিকে স্বাগত জানাতে গিয়ে বলেন- এর আগেও একবার আমার স্কুলের এক ছাত্রীর জন্য আমি রাজভবনে যেতে পেরেছিলাম। সেদিনও ছিল আমার কাছে গর্বের। আজও আমি গর্বিত। এরকম দিন বারে বারে আসুক এমনটাই আমি চাই। বিশেষ করে আপনাদের সকলকে পেয়ে আমি আজ ভীষনভাবে আনন্দিত আপ্লুত।

স্কুলের সেক্রেটারি সুজিত ভট্টাচার্য বলেন- এটি আমাদের কাছে সত্যিই এক গর্বের মুহূর্ত। আমরা আপনাদের সব সময় সহযোগিতা পেয়েছি। কিন্তু আপনাদের কাছে পেয়ে একসঙ্গে সকলে মিলে আনন্দ করব এরকম সুযোগটা হয়নি। যার জন্য আজ আমাদের ছাত্ররা সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। তারা ৯৯.৪% নম্বর পেয়ে বোর্ডে র‍্যাঙ্ক করেছে। আজ এই উদ্যোগের সবটাই হচ্ছে প্রিন্সিপাল ম্যাডামের চেষ্টায়। তিনি বলেছেন- সকলের সঙ্গে এক সঙ্গে আহার করবে। তাই আজকের এই মুহূর্তটি সত্যি আমাদের সকলের কাছে এক উজ্জ্বল মুহূর্ত হয়ে রইল।

তবে এদিন সব থেকে বেশি নজর কেরেছে খাবারের মেনু। ছিল নিরামিষ ও আমিষ খাবারের ব্যবস্থা। নিরামিষ আহারে ছিল- পনির পাকোড়া, স্যালাড, বাসমতী চালের ভাত, সোনা মুগ ডাল, আলু ভাজা, পনির বাটার মশালা, ধোকার ডালনা, চাটনি, পাপড় এবং সবশেষে হুগলি জেলার বিখ্যাত মোদকের বিশেষ সন্দেশ। আমিষের মধ্যে পনির পকোড়া পনির বাটার মশালা আর ধোকার ডালনা বাদে বাকি সব আইটেম ছিল। সঙ্গে ছিল চিকেন পকোড়া, চিকেন এবং মাছ। ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যে কোনও স্কুলের প্রিন্সিপালের এমন অসাধারণ উদ্যোগ কিন্তু এক নয়া নজির স্থাপন করল নিঃসন্দেহে।

স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গীত পরিবেশন
প্রিন্সিপাল সাধনা ভট্টাচার্যের সাথে অভিভাবিকারা
স্কুলে মধ্যাহ্নভোজে অভিভাবক-অভিভাবিকারা

Published on: অক্টো ৩০, ২০২৩ at ২১:২৫


শেয়ার করুন