সিনফোকন ২০২৩: খাদ্য নিরাপত্তার আলোচনায় বক্তারা তুলে ধরলেন মহামূল্যবান তথ্য

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২৪, ২০২৩ at ২৩:৪৯
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর: কলকাতায় সাম্প্রতিককালের সর্বশ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সম্মেলনে মূল আলোচনার বিষয় বস্তু ছিল- “খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির স্থায়ী উদ্ভাবন”। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দোহ প্রযুক্তি অনুষদের ব্যবস্থাপনায় এবং ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ ও বিশ্ব ব্যাংকের জাতীয় উচ্চতর শিক্ষা প্রকল্পের আর্থিক আনুকূল্যে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে চারটি প্রযুক্তি বিষয়ক অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প সংস্থা থেকে দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।সেখানে দেশ-বিদেশের খাদ্য ও দুগ্ধ বিজ্ঞানীরা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন নানা মুল্যবান তথ্য। আয়োজন করা হয়েছিল ওরাল প্রেজেন্টেশান ও পোস্টার প্রতিযোগিতা।

সম্মেলনের মূল বক্তব্য পেশ

সম্মেলনের মূল বক্তব্য পেশ করেন ভারতীয় দুগ্ধ সংগঠন (পশ্চিমাঞ্চল)-এর সভাপতি অধ্যাপক যশভাই প্রজাপতি। সম্মেলনের মূল অভিভাবকের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় কৃষি অনুষদের সহকারী মহানির্দেশক ডক্টর রাকেশ চন্দ্র আগরওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দানা।

সম্মেলনের প্রথম দিন আলোচনার বিষয় ছিল দু’টি- এক, স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জাতীয় বয়স পুষ্টি এবং দুই, খাদ্য নিরাপত্তাকে জ্ঞান থেকে কর্মে উন্নীত করা। দু’টি আলোচনাতেই বক্তারা তুলে ধরেন তাদের তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য।

প্রফেসার যশভাই বি প্রজাপতি

‘স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জাতীয় বয়স পুষ্টি’ বিষয়ে প্রফেসার যশভাই বি প্রজাপতি ‘কার্যকর দুগ্ধজাত খাবার- পুষ্টি নিরাপত্তার চাবিকাঠি’ নিয়ে তুলে ধরেন তার বক্তব্য। তার বক্তব্যে উঠে আসে পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের মৌলিক উপায়। যেখানে তিনি বোঝান যে খাদ্য উপলব্ধকরণ মূলতঃ তিনটি জিনিস- অ্যাক্সেসযোগ্য, সাশ্রয়ী মূল্য ও কার্যকরী দিকের উপর নির্ভরশীল। সেইদিকে খেয়াল রেখে তিনি দুধের গুণাগুন তুলে ধরে বলেন- দুধে ৪০০টিরও বেশি উপাদান রয়েছে যা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। অন্য যেকোনো খাবারের তুলনায় দুধ সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে এবং দুধের প্রোটিনগুলি অন্য যে কোনও তুলনায় সর্বাধিক জৈব উপলব্ধতা সহ অ্যামিনো অ্যাসিডের সর্বোত্তম উত্স।

প্রফেসার অনিল কুমার আনল

‘পুষ্টি, বায়োঅ্যাকটিভিটি, টেকনো-কার্যকারিতা এবং খাদ্য উপাদানের জৈব উপলভ্যতা বৃদ্ধির জন্য উদীয়মান প্রবণতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন প্রফেসার অনিল কুমার আনল। যেখানে তিনি তুলে ধরেন উদ্বেগের বিষয়গুলি। যার মধ্যে আছে-খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, অপুষ্টি, স্থূলতা এবং বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা-গবেষণার ক্ষেত্র: জৈব উদ্ভাবন, খাদ্য উপাদান, স্বাস্থ্য। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ঐতিহ্যবাহী গাঁজনযুক্ত খাবারের বাণিজ্যিক উৎপাদন প্রক্রিয়া। যেখানে তিনি বলেন- ঐতিহ্যগত ফার্মেনেড খাবারের স্বাস্থ্য দাবির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ। কৃষি বর্জ্য- খাদ্যকে কার্যকরী করার জন্য ব্যবহার করা হবে এবং কৃষি বর্জ্য- স্বাস্থ্য সুবিধা সহ জৈব সক্রিয় উপাদানগুলির স্থায়িত্ব। 3D প্রিন্টেড মিট অ্যানালগ উন্নত কার্যকারিতা সহ খাদ্য নিরাপত্তাই এখন প্রধান উদ্বেগের বিষয়, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী গাঁজনযুক্ত খাবারের জন্য। যোগ করেন তিনি।

Read more news

খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে কলকাতায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে হাজির বিশ্বের দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানীরা

ডাঃ পারস শর্মা

‘পুষ্টির ক্ষমতায়ন: অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষুদ্র শস্যের সম্ভাবনা উন্মোচন করা’ নিয়ে আলোচনা করেন ডাঃ পারস শর্মা। তিনি কয়েকটি দিক তুলে ধরে বলেন- অপুষ্টি সমস্যা মোকাবেলার একটি উপায়: ছোট শস্য ব্যবহার করুন। অল্প শস্য: মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, গ্লুটেন মুক্ত।সীমাবদ্ধতা- পুষ্টিকর উপাদান (যেমন ফাইটিক অ্যাসিড) এবং অপুষ্টিজনিত কারণ এবং রক্তাল্পতা কমাতে কৌশল তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাজরার ব্যাপক ব্যবহার: তাত্ক্ষণিক মিশ্রণ, এক্সট্রুড পণ্য, বেকড পণ্য ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করেন।

প্রফেসার ড. অরুণ কুমার ভুনিয়া

এরপর বক্তারা ‘খাদ্য নিরাপত্তাকে জ্ঞান থেকে কর্মে উন্নীত করা’ নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। যেখানে প্রথম বক্তা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুর্ডু ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ফুড মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসার ড. অরুণ কুমার ভুনিয়া। তার আলোচনায় উঠে আসে ‘খাদ্য নিরাপত্তা: উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যায় খাদ্যবাহিত প্যাথোজেন রোগ প্রতিরোধ’ বিষয়টি। তিনি বলেন- খাদ্যবাহিত রোগজীবাণু দ্বারা সৃষ্ট প্রধান রোগ (বেশিরভাগই জুনোটিক রোগ)। -খামার থেকে মুখের খাদ্য নিরাপত্তা: গুরুতর উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। খাদ্যবাহিত মানব লিস্টিরিওসিস প্রকৃতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে। একই সঙ্গে তিনি  লিস্টেরিওসিসের বিভিন্ন প্রকার নিয়েও আলোচনা করেন: জিআই লিস্টেরিওসিস, নিউরো লিস্টেরিওসিস ইত্যাদি।

প্রফেসার ড. জি দেব কুমার

‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াসের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্থায়িত্ব’ নিয়ে আলোকপাত করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিফফিনের জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ফুড সেফটি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ড. জি দেব কুমার। তিনি তুলে ধরেন খাদ্য উৎপাদন, প্রতিরোধ, সহনশীলতা, অধ্যবসায়, ফেনোটাইপিক বৈচিত্র্য, বায়োসাইড সহনশীলতা ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিষয়গুলি। একই সঙ্গে তিনি বলেন- ‘বায়োসাইড ক্রস টলারেন্সের সাথে যুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ একক নিউক্লোটাইড পলিমরফিজম এবং মিউটেশনের কারণে ঘটে’। কন্ট্রোল ম্যাকানিজম: ইফ্লাক্স পাম্প বায়োসাইড ক্রস টলারেন্সে অবদান রাখে বলে জানান। সেই সঙ্গে অন্যান্য সহনশীল একক স্যানিটাইজারের সাথে যুক্ত ধনী হ্রাস করার জন্য বাধা ভিত্তিক পদ্ধতি নিয়েও আলোকপাত করেন।

বার্থলোমিউ আদাবা

‘গ্লোবাল ফুড সেফটি চ্যালেঞ্জের শিল্প দৃষ্টিকোণ’ নিয়ে বলেন নাইজেরিয়ার লাগোসের কোকা কোলা কোম্পানির আফ্রিকা অপারেটিং ইউনিটের কোয়ালিটি ও ফুড সেফটি ডাইরেক্টর বার্থলোমিউ আদাবা। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে – শারীরিক বিপদ, রাসায়নিক বিপদ, জৈব-ভিত্তিক বিপদ, অ্যালার্জেন, বাণিজ্যিক জালিয়াতি, কীটপতঙ্গের সাথে সম্পর্কিত খাদ্য নিরাপত্তা। আইনি ঝুঁকি এবং বিকিরণ বিপদ-এর সাথে যুক্ত খাবারের মান – রঙ, ওজন, বাহ্যিক স্পেসিফিকেশন, গন্ধ, গন্ধ, পুষ্টির মান এবং পুষ্টির স্পেসিফিকেশন।

অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ডঃ বায়রন ব্রেহম-স্টেচার

‘খাদ্য পণ্য উদ্ভাবনের এক যুগে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ সব জায়গায় সব কিছু’ বিষয়ে বলেন আমেরিকার আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্স এবং হিউম্যান নিউট্রিশিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ডঃ বায়রন ব্রেহম-স্টেচার।তিনি প্যাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম – দ্রুত পরিবর্তনের বিস্ফোরণের সাথে “বিরামচিহ্নিত” বিবর্তনীয় স্ট্যাসিসের দীর্ঘ সময় বর্ণনা করেন। একই সঙ্গে উদ্ভিদ ভিত্তিক অ্যানালগ গঠন থেকে কোষ কাটা মাংস এবং পোকামাকড় থেকে উদ্ভূত খাবারের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বৃহৎ পরিসরে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য খাদ্য আইন বাস্তবায়ন নিয়েও আলোকপাত করেন।

নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি ইউনিভার্সিটির ড. অরূপ নাগ

শেষ দিনে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য’। প্রথম বক্তা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি ইউনিভার্সিটির রিড্ডেট ইন্সটিটিউটের ফুড ইন্নোভেশন ম্যানেজার ড. অরূপ নাগ। তিনি ‘ব্রেকিং নিউ গ্রাউন্ডস: আকলটারনেটিভ প্রোটিনের সাথে উদ্ভাবন এবং চরিত্রায়ন’ নিয়ে আলোকপাত করেন। সেখানে তিনি ভবিষ্যতে সুযোগ: শৈবাল- বিকল্প প্রোটিনের উৎস-এর বিষয়ে বিভিন্ন পিল এবং সিরিয়াল প্রোটিন, উচ্চ প্রোটিন ভেগান পনির এবং উদ্ভিদ ভিত্তিক বিকল্প দুগ্ধজাত পণ্য নিয়ে আলোকপাত করেন।

অধ্যাপক শংকর আচার্য

‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং নীরবতা: প্রাণঘাতী নেটওয়ার্ক’ নিয়ে আলোকপাত করেন অধ্যাপক শংকর আচার্য। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে প্রাকৃতিক সম্পদ- দিন দিন হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন – গ্লোবাল ওয়ার্মিং, খাদ্য, অর্থনীতির অ-অভিন্ন বিতরণ এবং সেই সঙ্গে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, রোগ নিয়ে উদ্বেগজনক বিষয়গুলিও।

প্রিন্সিপাল প্রফেসার ড. অতনু জানা

‘ভবিষ্যতের জন্য দুগ্ধজাত খাবার’ বিষয়ে আলোকপাত করেন গুজরাতের আনন্দে এসএমসি কলেজ অফ ডেয়ারি সায়েন্সের প্রিন্সিপাল প্রফেসার ড. অতনু জানা। তিনি দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত বলেন। শক্তির সময়: স্বাস্থ্য সচেতনতা, খাদ্য নিরাপত্তা, দুগ্ধের বিকল্প, স্থানীয় খাদ্য, কার্বন পদচিহ্ন, খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি খরচ ইত্যাদি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন তিনি।উদীয়মান খাবার হিসাবে ফিউশন পণ্য (আয়মাল, উদ্ভিদ এবং ল্যাবে উত্থিত প্রোটিন), ডিএনএ চালিত পুষ্টি। সুনির্দিষ্ট এবং প্রজনন নির্দিষ্ট দুধের বৈচিত্র্য প্রয়োজন, আর্টিসানাল ডেইরি এবং পনির, কার্যকরী সংস্কৃতিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, জৈব এবং জিএম পণ্য। এক্সট্রুড প্রোটিন পণ্য, বায়োঅ্যাকটিভ ফাইটোকেমিক্যালস দিয়ে দুর্গ তুলে ধরেন।বহির্গামী প্রযুক্তি হিসাবে তিনি  মেমব্রেন টেকনোলজি, ক্রায়োজেনিক ফ্রিজিং, সেলফ হিটিং এবং সেলফ কুলিং ক্যান নিয়েও আলোচনা করেন।খাদ্য নিরাপত্তার সাথে যুক্ত উদীয়মান প্যাথোজেনগুলির মূল্যায়ন এবং শক্তি সংরক্ষণ প্রযুক্তির উন্নয়ন যেমন বায়ো-ডিজেল ভিত্তিক জ্বালানী নিয়েও আলোকপাত করেন ড. জানা।

প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড. কৌশিক খামরুল

‘কার্যকারিতা উন্নত ভবিষ্যত ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় দুগ্ধজাত পণ্য’ নিয়ে আলোকপাত করেন হরিয়ানার কার্নালের আইসিআআর- ন্যাশোনাল ডেয়ারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড. কৌশিক খামরুল। তিনি কার্যকরী খাদ্য- ভবিষ্যতে অপার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বেশ কিছু কার্যকরী দুগ্ধজাত দ্রব্যের বিকাশের উপর অধ্যয়ন করেন – যার মধ্যে আছে কারকিউমিন ফোর্টিফাইড ঘি, লস্যি, অর্জুন ঘি, অ্যালোভেরা যুক্ত লস্যি, ডালিমের খোসা যোগ করা দধি ইত্যাদি। – উপকারী স্বাস্থ্য প্রভাব

পুষ্টির মান, পুষ্টির মান এবং উন্নত কার্যকরী খাদ্যের নিরাপত্তার দিকটি যাচাইয়ের জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

আইআইপি কলকাতার ডেপুটি ডিরেক্টর বিধান দাস

‘টেকসই খাদ্য প্যাকেজিং সিস্টেম’ নিয়ে আলোকপাত করেন আইআইপি কলকাতার ডেপুটি ডিরেক্টর বিধান দাস।’নন-বোভাইন প্রজাতি থেকে দুধ পেপটাইডের উত্পাদন এবং বৈশিষ্ট্য: বিজ্ঞান থেকে প্রয়োগ’ নিয়ে আলোকপাত করেন গুজরাতের কামধেনু ইউনিভার্সিটির এসএমসি কলেজ অফ ডেয়ারি সায়েন্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ড. সুব্রত হাতি।

সম্মেলনের শেষ দিন সম্বর্ধিত করা হয় যাঁদের

সম্মেলনের শেষ দিন সম্বর্ধিত করা হয় জিসিএমএমএফ লিমিটেড, আমুলের প্রধান সমীর সাক্সেনা, ওয়াইএসএম ডেয়ারি এন্ড বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের শৈলেন্দ্র মোহন মিশ্র, ডেয়ারি এন্ড বেভারেজ, আইটিসি লিমিটেডের ডাইরেক্টর, মার্কেটিং এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট রিচা শর্মা, রেডকাউ দেয়ারি প্রাইভেট লিমিটেডের ডানকুনি, হুগলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নারায়ণ মজুমদার, দুবাই-এ নিউট্রিডারে-এর সিএইও শঙ্খ শুভ্র বিশ্বাসকে।

পোস্টার ও ওরাল প্রেজেন্টেশান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা

এদিন পোস্টার প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয় ৫০টি পোস্টার। এর মধ্যে তৃতীয় হন সোনম কুমারী। দ্বিতীয় পোস্টার জয়ী হয় উত্তর দিনাজপুরের এ শর্মা, এ হালদার, পি কে পাল এবং পি দে।প্রথম হয়েছে গুজরাতে আনন্দের এসএমসি কলেজ ডেয়ারির ভাগ্যশ্রী দাস এবং সুব্রত হাতি। জয়ী তিনজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসার এসএস দানা। ওরাল প্রেজেন্টেশনে মোট ১৬ জনকে নির্বাচিত করে প্যানেল। এর মধ্যে রাউরকেল্লার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ড. প্রীতম সরকার তৃতীয় হন। দ্বিতীয় হন আইআইটি খড়্গপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ড. রণিত মন্ডল এবং প্রথম হয়েছেন অমৃতা চক্রবর্তী। এদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কামধেনু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আরআরবি সিং।গোটা অনুষ্ঠানটি খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন ডেয়ারি ও ফুড কনসালটেন্ট ড. অসিতাভ সুর।

আহ্বায়ক প্রফেসার লোপামুদ্রা হালদারের ভূয়সী প্রশংসা  

তবে দু’দিনের এই সফল আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী এক বাক্যে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক প্রফেসার লোপামুদ্রা হালদারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।তিনি আবার জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ড. কুমারেশ হালদার এবং ড. অদিতি দেবনাথকে ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান প্রফেসার প্রসূন মাইতির।উপস্থিত অংশগ্রহণকারী, অতিথি, ছাত্র-ছাত্রী সকলেই এত সুন্দর আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য অর্গানাইজিং কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

Published on: ডিসে ২৪, ২০২৩ at ২৩:৪৯


শেয়ার করুন