খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে কলকাতায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে হাজির বিশ্বের দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানীরা

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২২, ২০২৩ at ২৩:৫৪

ভারত কৃষি শিক্ষার বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে- ড. আর সি আগরওয়াল, ভারতীয় কৃষি অনুষদের সহকারী মহানির্দেশক  

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর: শুক্রবার থেকে কলকাতায় খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় – “খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির স্থায়ী উদ্ভাবন”। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দোহ প্রযুক্তি অনুষদের ব্যবস্থাপনায় এবং ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ ও বিশ্ব ব্যাংকের জাতীয় উচ্চতর শিক্ষা প্রকল্পের আর্থিক আনুকূল্যে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে চারটি প্রযুক্তি বিষয়ক অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প সংস্থা থেকে দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সম্মেলনের মূল বক্তব্য পেশ করেন ভারতীয় দুগ্ধ সংগঠন (পশ্চিমাঞ্চল)-এর সভাপতি অধ্যাপক যশভাই প্রজাপতি। সম্মেলনের মূল অভিভাবকের দায়িত্বে আছেন ভারতীয় কৃষি অনুষদের সহকারী মহানির্দেশক ডক্টর রাকেশ চন্দ্র আগরওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দানা।ডক্টর আগরওয়াল এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন- ভারত কৃষি শিক্ষার বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। যে কোনও শিক্ষার্থীর কাছে একতা স্বপ্ন হয়ে উঠেছে।এদিনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং সম্মানীয় অতিথি হিসাবে ছিলেন মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি।

উদ্বোধনী মঞ্চে যারা উপস্থিত ছিলেন

উদ্বোধনী মঞ্চে অন্যান্দের মধ্যে ছিলেন দুগ্ধ প্রযুক্তির ফ্যাকাল্টি ডিন অধ্যাপক এস কে বাগ, সিনফোকন-২০২৩ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রসূন মাইতি, ‘নাহেপ’ প্রকল্পের ন্যাশনাল কোওর্ডিনেটর ড. এস এস রাঠোর, ছত্তিশগড়ে দুর্গের ডিএসভিসিকেভি-র উপাচার্য ড. আরআরবি সিং, ‘নাহেপ’-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. লোপামুদ্রা হালদার সহ অনেকে।এছারাও চিলেন পাক্তনুপাচার্য পূর্নেন্দু বিশ্বাস, ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সভাপতি মদন মাইতি প্রমুখ।

খাদ্য পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার গুরুত্বও প্রত্যক্ষ করেছে

ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যার সাথে খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনকারীদের পাশাপাশি প্রসেসরদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন খাদ্য পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার গুরুত্বও প্রত্যক্ষ করেছে। এখন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এ জন্য, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, পুষ্টি ও নিরাপত্তার উদ্ভাবন সময়ের প্রয়োজন। বর্তমানে, পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার জন্য গবেষণা কার্যক্রমে উদ্ভাবনগুলি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলির সাথে দুর্গ, নতুন উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন উত্স যা প্রাণী ভিত্তিক প্রোটিনের বিকল্প, নতুন প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিকের অন্তর্ভুক্তি, রাসায়নিক এবং অণুজীব বিপদ মূল্যায়ন কৌশলগুলির উন্নতি, উন্নয়নে অগ্রগতিগুলির উপর খুব বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে। প্যাকেজিং এবং সংরক্ষণ কৌশল ইত্যাদি। যাইহোক, নতুন বিকল্প খাবারে অ্যালার্জেন এবং অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টের সম্ভাব্য উপস্থিতি এবং দীর্ঘমেয়াদী সেবনের পরে জনস্বাস্থ্যের উপর তাদের প্রভাবের মতো ঝুঁকির কারণ, বিস্তৃত পরিসরের বিপদ বিশ্লেষণ এবং খাবারের মিথস্ক্রিয়ায় নতুন কৌশলের কার্যকারিতা। নতুন সংরক্ষণ কৌশলগুলির সাথে টেকসই উদ্ভাবনের জন্যও সম্বোধন করা উচিত। খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে টেকসই উদ্ভাবন’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনটি সারা বিশ্ব থেকে দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি, নীতিনির্ধারক, প্রসেসর এবং শিক্ষার্থীদের একত্রিত করবে এবং খাদ্য খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তাদের মুখোমুখি হতে সাহায্য করার জন্য মিথস্ক্রিয়া ও আলোচনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফোরাম হয়ে উঠেছে এই সম্মেলন।

‘নাহেপ’ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাত্রছাত্রীদের কাছে

এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নাহেপ’-এর ন্যাশনাল ডিরেক্টর, আইসিএসআর কৃষি শিক্ষার সহকারী মহানির্দেশক ডক্টর রাকেশ চন্দ্র আগরওয়াল বলেন- “কৃষি শিক্ষার উপর ইতিমধ্যে ৭৬টি সম্মেলন হয়েছে সারা ভারতে। খাদ্য উৎপাদন, দুগ্ধ উৎপাদন, মাংস উৎপাদন সবই খুবই গুরুত্বপুর্ণ। ক্ষুধার্থও একটা দিক। ‘নাহেপ’ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাত্রছাত্রীদের কাছে। নাহেপ-এর অধীনে ৬৪ কৃষি ডাইরেক্ট বেনিফেশিয়ারি আর ৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডাইরেক্ট বেনিফেসিয়ারি সেখানে আছে। তাদের অনেক সহযোগিতা করছে।২ হাজার যন্ত্রপাতি সারা বিশ্বে পাঠিয়েছি।৫০টির বেশি দেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা সবসময় বলে থাকি ভারত হল তরুণদের দেশ।”

পাঁচ বছরে ১২০০ কোটি টাকা আমরা ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়েছে

“কৃষিতে এখানে বিনিয়োগ অনেক বেশি কার্যকরী। অপুষ্টি, ক্ষুধার জন্য এটা খুবই জরুরী। আমরা এক্ষেত্রে অনেক বেশি উন্নতি করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন ভালোভাবে প্রস্তুত আছে। ৮০০ ফ্যাকাল্টিকে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ল্যারেটরিতে দারুনভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।তারা ২০০রও বেশি প্রকল্প নিয়ে এসেছে। আমরা তৈরি করেছি ১৬টি শ্রেষ্ঠত্বকেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্র পিছু বিনিয়োগ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। সেখানে খাদ্য সুরক্ষা, বাজার বুদ্ধিমত্তা, পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি, ভ্যাকসিন উন্নয়ন এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে নাহেপ-এর অধীনে। যেখানে অপুষ্টি, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। নাহেপ হওয়ার পর পাঁচ বছরে ১২০০ কোটি টাকা আমরা ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি দিয়েছি।বাকি যে ১২ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আমরা পরোক্ষভাবে দিয়েছি।” যোগ করেন আগরওয়াল।

বিশ্বব্যাঙ্ক আমাদের প্রশংসা করেছে এই ‘নাহেপ’ প্রকল্পের জন্য- আগরওয়াল

এক পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে-“৬ বছর আগে ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ এর মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০শতাংশ। তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশে ৮৫ শতাংশ ছাত্রী আর ১৫ শতাংশ ছাত্র। খাদ্য উৎপাদন করে মহিলারা। কৃষি শিক্ষা কিংবা কৃষি গবেষনায় আজ মেয়েদের জড়িত থাকার প্রবণতা বেড়েছে। ভারতে ৯২ প্রকল্প চলছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় যার মধ্যে ‘নাহেপ’ প্রকল্প অন্যতম। আমি এখানে বলতে চাই যে গত মাসে বিশ্বব্যাঙ্ক আমাদের প্রশংসা করেছে এই ‘নাহেপ’ প্রকল্পের জন্য , বিশ্বে একমাত্র প্রকল্প যে কিনা ৬২টি লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছে। আমাদের ‘প্লেসমেন্ট রেট’ ৫৫ শতাংশ কিন্তু তা হয়েছে ৬৫ শতাংশ। আমি এজন্য সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জদের কৃতিত্ব দেব। কৃতিত্ব দেব কো-অর্ডিনেটরদের, আমার সহকর্মীদের, অবশ্যই গোটা টিমকে।”

মাত্র এক বছরে সংখ্যাটা ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

“আমি বলতে চাই চাহিদা অনুযায়ী কৃষি শিক্ষা এখন এক নম্বর ডেটা সূত্র অনুযায়ী। গত বছর ৪,৬০০টি আসন সংরক্ষিত ছিল আইসিএআর দ্বারা। সেখানে ৮৪ হাজার আবেদন গৃহীত হয়েছিল। এই বছর ৫ লক্ষ ৮০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। মাত্র এক বছরে সংখ্যাটা ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক তরুণ মেধা কৃষি শিক্ষায় আসছে। ৪০০টি বৃত্তিমূলক শিক্ষা আমরা শুরু করেছি। ভারত কৃষি শিক্ষার বৈশ্বিক কেন্দ্র। এটা এখন যে কোনও শিক্ষার্থীর কাছে একটা স্বপ্ন হয়ে উঠছে। আমি নিশ্চিত যে আগামী ১০ বছরে এই স্বপ্ন সত্যি হবে।” বলেন আগরওয়াল।

আচরনের উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা নিরাপত্তা বজায় রাখে

পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দানা খুব অল্প কথায় তুলে ধরেন কাহদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। তিনি বলেন- “রাষ্ট্রসঙ্ঘ ৭ জুন আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ঘোষণা করেছে। এই বছর আমাদের থিম ‘মানসম্মত খাবার জীবন বাঁচায়”। আমাদের লক্ষ্য সাবধানতা সতর্কতা। শারীরিক, রাসায়নিক, জৈবিক, অ্যালার্জি দিকে নজর রাখতে হবে। আচরনের উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা নিরাপত্তা বজায় রাখে।

‘নাহেপ’ সম্পর্কে জানুন

ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল হায়ার এডুকেশন প্রজেক্ট (NAHEP) ভারত সরকার দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছে ICAR এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্বে কৃষিতে উচ্চশিক্ষার মান উন্নত ও বজায় রাখার লক্ষ্যে। ভারতের জন্য এনএএইচইপি-এর উদ্দেশ্য হল অবকাঠামো, দক্ষতা এবং অনুষদের প্রতিশ্রুতি, কৃষিতে মেধাবী ছাত্রদের আকৃষ্ট করার জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শক্তিশালী করা। NAHEP – “ডেইরি টেকনোলজি অনুষদে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট এডুকেশন এবং আউটরিচ প্রোগ্রামগুলিকে শক্তিশালী করা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিমেল অ্যান্ড ফিশারী সায়েন্সেস (ডব্লিউবিউএএফএস) কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ” এর উপর উদ্ভাবন অনুদান (আইজি) হল স্নাতকোত্তর শিক্ষার সংস্কার এবং একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। ডেয়ারি টেকনোলজি অনুষদের গবেষণা ইকোলজি, পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় গঠনমূলক উন্নতির মাধ্যমে। প্রকল্পটি ডেয়ারি টেকনোলজি অনুষদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এক্সপোজার, বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফ্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ডেয়ারি ও ফুড সায়েন্সের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও ভালো গবেষণার সুযোগ প্রদান করে। প্রকল্পটি এক্সপোজার ভিজিট, বিশ্বব্যাপী দুগ্ধ ও খাদ্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞদের সাথে মিথস্ক্রিয়া, প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে উদ্যোক্তা বিকাশ এবং দুগ্ধ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণাগারগুলিতে ব্যবহারিক এক্সপোজার, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং দুগ্ধ শিল্পে অটোমেশন। অনুষদগুলিকে তাদের জ্ঞান পরিমার্জিত করার এবং এক্সপোজার ভিজিট এবং প্রশিক্ষণ কাম ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে। দুগ্ধ প্রযুক্তি অনুষদে NAHEP- IG প্রকল্পটি জুলাই, 2019 থেকে চলছে। প্রকল্পের আউটরিচ কার্যকলাপের অংশ হিসাবে, গ্রামীণ/শহরের যুবকদের তাদের আয় বাড়ানোর জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে হ্যান্ড-অন ট্রেনিং প্রোগ্রামও দেওয়া হয়। NAHEP প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য অনুষদের অবকাঠামো বহুলাংশে উন্নত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউটে বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, PG ছাত্রদের জন্য শিল্প প্রশিক্ষণ কর্মসূচি NAHEP (IG)-এর অধীনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার/ওয়েবিনার, বিশেষ লেকচার সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আমাদের বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্রদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি প্রাক্তন ছাত্রদের মিথস্ক্রিয়া জোরদার করার জন্য।

Published on: ডিসে ২২, ২০২৩ at ২৩:৫৪


শেয়ার করুন