ইসকন মায়াপুরে গীতা জয়ন্তী উৎসব ২০২৩ শেষ হয়েছে, শুরু হয়েছে গীতা মেলা

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২৬, ২০২৩ at ২৩:৪৫

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ২৬ ডিসেম্বর: ইসকন-এর প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুর। শ্রীধাম মায়াপুর এখন বিশ্ববাসীর কাছে পারমার্থিক জ্ঞান আহোরনের অন্যতম পীঠস্থান। ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমি ভারতবর্ষে বিশেষত বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় গীতা স্টাডি কোর্সের মাধ্যমে শ্রীল প্রভুপাদের গীতা ও ভাগবত পড়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। দেশ বিদেশের কয়েক হাজার ভক্ত গীতা জয়ন্তীর উৎসব উপলক্ষে অংশগ্রহণ করেন।২৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উৎসব সেষ হলেও ২২ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মায়াপুর ইসকনে ১২দিন ধরে গীতা মেলা শুরু হয়েছে।

ইসকন শ্রীমায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন – প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার থেকে ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার পর্যন্ত টানা সাত দিন ধরে ২৭তম গীতা জয়ন্তী মহোৎসব মহাসমারোহে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। গীতার জ্ঞানালোকে বিশ্ববাসীর হৃদয়কে উদ্ভাসিত ও গীতা অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবলকে বৃদ্ধি করতেই এই মহান উৎসবের আয়োজন কয়া হয়। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ য়াজ থেকে ৫১৫৬ বছর আগে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের সমরাঙ্গনে অমিত শক্তিশালী ধনুর্ধর অর্জুনকে গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন এই শুভ তিথিতে। পরমেস্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হতাশাগ্রস্ত অর্জুনের মধ্যে জ্ঞানগর্ভ কথোপকথনই গীতা। সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হয়।

গীতাকে বলা হয় মানব ধর্মতত্ত্বের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ। আজ থেকে ৫১৫৬ বছর আগে ভগবদ্গীতার দিব্যজ্ঞান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে প্রদান করলেও গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, এর পূর্বেও তিনি এই জ্ঞান অন্যকে প্রদান করেছিলেন।

ভগবদগীতা মানবজাতির জন্য কৃষ্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রকৃতপক্ষে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে জড়-জাগতিক অজ্ঞতা থেকে উদ্ধার করা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন কৌরবপক্ষে তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অসমর্থ, তখন কৃষ্ণ জীবনের সত্য এবং কর্ম, জ্ঞান, ধ্যান এবং ভক্তির দর্শন তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন। যার ফলে বিশ্বের বড় ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা প্রকাশিত হয়।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক ঊর্দ্ধে মানবজাতির কল্যাণে গীতা পাঠ সকলের অবশ্য পাঠ্য। আত্মমুক্তি ও জগৎ কল্যাণ সাধনের জন্য গীতার অমৃ্তময়বানী বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা বলে জানান মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক। একই সঙ্গে মায়াপুর ইসকনের পক্ষ থেকে সুশীল সমাজ এবং সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন যে তারা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে গীতা পাঠের সূচনা করেন।

Published on: ডিসে ২৬, ২০২৩ at ২৩:৪৫


শেয়ার করুন