মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকও কাজে এল না, গোয়ালতোড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে দল ছাড়লেন বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                                ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: আগ ১২, ২০১৮ @ ২৩:৫৬

এসপিটি নিউজ, গোয়ালতোড়, ১২ আগস্টঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই খুঁটি নড়তে শুরু করেছিল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সেটা আরও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছি;। তৃণমূলের সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে সভা করলেন। বৈঠক করে বোঝানোর চেষ্টা করলেন।সংগঠনের নেতৃত্বে তিনি নতুন নেতাও বহাল করে এলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া লোকককে সরিয়ে জেলা সভাপতি নিজের পছন্দের লোককে নিযুক্ত করতেই খুঁটি একেবারে উপড়ে পড়ল। এক সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন গোয়ালতোড়ের দুই জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী, বিদায়ী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। বলা হচ্ছে এ তো সবে শুরু, এবার দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যাবে গোয়ালতোড়ে।

গত বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর দুই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে গড়বেতা ২ নম্বর ব্লক অর্থাৎ গোয়ালতোড়ে খারাপ ফলের জন্য ব্লক সভাপতি রই রায়কে সরিয়ে দেন। তার জায়গায় তিনি দায়িত্ব দেন জেলাপরিষদের সদস্য তথা শিক্ষক নেতা চন্দন সাহাকে। একই সঙ্গে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী জেলাপরিষদের সদস্য কাবেরী চ্যাটার্জিকে সরিয়ে নতুন সভানেত্রী হিসেবে জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহকে দায়িত্ব দেন।

এরপর শুরু হয়ে যায় দলের ভিতর কোন্দল। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া ব্লক সভাপতির উপর খবরদারি করে সেখান থেকে চন্দন সাহাকে সরিয়ে দিয়ে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এবার ব্লক সভাপতি করেন ভাস্কর চ্যাটার্জিকে। ব্যস, এবার যা হওয়ার ছিল তাই হল- আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে যায়। যে চন্দন সাহার দল ছাড়ার কোনও কথাই ছিল না, এমন ঘটনায় সেও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।

গড়বেতা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মঞ্জু দুলে ও বিদায়ী ব্লক সভাপতি রবি রায় রবিবার আনুশঠানিকভাবে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। জেলা পরিষদের সদস্যা কাবেরী চ্যাটার্জি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন-“যে দলের জন্য এত কিছু করলাম সেই দলের কাছ থেকে এমন ঘটনা কোনওদিন আশা করিনি। তাই আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লাম। মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানিয়েছি। জানিয়েছি দলের জালা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক দীনেন রায়, জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকেও। সোমবার লিখিত আকারে পদত্যাহ পত্র পাঠিয়ে দেব।”

কাবেরী চ্যাটার্জি আরও জানান, সোমবার আমাদের অনুগামী নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করবেন। ঠিক একই ভাবে দলের কৃষক সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল মণ্ডলও পদত্যাগ করবেন। এই ঘটর পর সব শুনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।

Published on: আগ ১২, ২০১৮ @ ২৩:৫৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 6 =