LIVE UPDATE: ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন। ছবি-ফিফা

Published on: জুলা ৪, ২০১৮ @ ২০:৫৭

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ  জমে উঠেছে বিশ্বকাপ ২০১৮। রাশিয়ায় উদ্বোধনী ম্যাচে হয়েছে একাধিক রেকর্ড। উঠে এসেছে অনেক তথ্য। ঠিক তেমনই শেষ ১৬-র লড়াইতে হয়ে গেল অনেক গোল। বিদায় নিল মেসি নির্ভর আর্জেন্টিনা।থাকছে বিশ্বকাপের আরও খুঁটিনাটি খবর। সংবাদ প্রভাকর টাইমস গত এক মাস আগে থেকেই তুলে ধরেছে অনেক না জানা তথ্য। এবার থাকছে একেবারে লাইভ আপডেট। আমরা পাঠকের কাছে ফুটবলের জ্ঞানপাঠ দিতে চাই না। সেই ধৃষ্টতাও আমাদের নেই। আমরা চাই নতুনকে চেনাতে নতুনকে জানাতে।পাঠল এই কলমের মাধ্যমে জানতে পারবে বিশ্বকাপের নানা খবর। চলবে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত।

উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া ৫-০ গোলে হারাল সৌদি আরবকে।

ম্যাচের ১২মিনিটে ইউরি গ্যাজিন্সকি গোল করে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখে রাখলেন।

ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্কের শেষ ১৬-র ম্যাচের আগে পর্যন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে করা রোনাল্ডোর গোলই এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোল হিসেবে ছিল।এই ম্যাচে ডেনমার্কের এম জোরগেনসেনের ১ মিনিটে করা গোল হয়ে গেল এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল।

উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল করে রেকর্ড গড়লেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিশ চেরিশেভ। তিনি ম্যাচের ৪৩ মিনিট ও দ্বিতীয়ার্ধে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন।

প্রথম ম্যাচ হল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে গোল সংখ্যা ছিল ১১৮। শেষ ১৬-র চারটি ম্যাচে গোল হয়ে গেল ১৬টি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৪টি।

রাউন্ড -১৬-র লড়াই

রাউন্ড -১৬-র লড়াই

একনজরে কলোম্বিয়া – ইংল্যান্ড ম্যাচ

কলোম্বিয়া -১ ইংল্যান্ড-১

মিনা(৯০+৩মি.)   হ্যারি কেন(৫৭মি.)

পেনাল্টি শুটে ইংল্যান্ড জয়ী ৪-৩ গোলে

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড)

বল দখলে রেখেছে কলোম্বিয়া ৪৮% আর ইংল্যান্ড দখলে রেখেছে ৫২%

কলোম্বিয়া শট নিয়েছে ১৪ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ১৬।

কলোম্বিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর ইংল্যান্ড ২।

কলোম্বিয়া কর্নার আদায় করেছে ২ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ৭টি।

কলোম্বিয়া ফাউল করেছে ২৩ আর ইংল্যান্ড করেছে ১৩।

 রেকর্ড

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনল্যান্ড পেনাল্টি শুট আউটে কোনও বড় মাপের প্রতিযোগিয়তায় জয়ী হল। এর আগে তারা ইউরো’৯৬ তে  স্পেনের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিল।

কোয়ার্টার-ফাইনাল চালু হওয়ার পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড প্রথম উঠেছিল ২০০৬ সালে।

কলোম্বিয়া এই নিয়ে চারবারের মধ্যে তিনবার নক-আউট পর্বের ম্যাচে হেরে গেল। ১৯৯০ সালে তারা শেষ ১৬তে  হারে। ২০১৪ সালে তারা হেরেছিল কোয়ের্টার ফাইনাল ম্যাচে।

বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি ম্যাচে হ্যারি কেন ছ’টি গোল করেছেন। এর গাএ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন হাঙ্গেরির স্যান্ডর কোসিস (৯), জার্মানির গার্ড মুলার(৭), আর্জেন্টিনার গিলেরমোস্তেবিলি(৭)।

কেন ইংল্যান্ডের হয়ে ১০টি ম্যাচে ১৪টি গোল করেছেন সাউথগেটের অধীনে।

বিশ্বকাপের গত ১৫টি নকআউট ম্যাচের মধ্যে আটটিতে ইংল্যান্ড জিতেছে অতিরিক্ত সময়ে। তারা ১৯৬৬সালে প্রথম এধরনের ম্যাচ খেলেছিল।

 একনজরে সুইডেন – সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ

সুইডেন -১  সুইৎজারল্যান্ড-০

ফোর্সবার্গ(৬৬মি.) লয়াং

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এমিল ফোর্সবার্গ(সুইডেন)

বল দখলে রেখেছে সুইডেন ৩৩% আর সুইৎজারল্যান্ড দখলে রেখেছে ৬৭%

সুইডেন শট নিয়েছে ১২ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ১৮।

সুইডেন গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর সুইৎজারল্যান্ড ৪।

সুইডেন কর্নার আদায় করেছে ২ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ১১টি।

সুইডেন ফাউল করেছে ১১ আর সুইৎজারল্যান্ড করেছে ১৩।

 রেকর্ড

সুইডেন তাদের প্রথম বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলে ১৯৯৪ সালে।

সুইৎজারল্যান্ড এই নিয়ে চারটি বিশ্বকাপের (১৯৯৪, ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৯) ১৬টি ম্যাচে হেরে নক-আউট পর্ব থেকে বিদায় নিল।

সুইডেন প্রথম ১৯৫৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছিল।

এই নিয়ে সুইৎজারল্যান্ড গত ১৫টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হারল। শেষ তিনটিতে তাদের ফলাফ্ল ছিল      ১-০।

শেষ ন’টি গোলের মধ্যে আতটি গোল সুইডেনের এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে।

সুইডেনের গোলকিপার রোবিন ওলসেন ২০১৮ বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচে একটি গোলও খাননি।এর আগে এই রেকর্ড আছে সুইডেনের ১৯৫৮ সালে কার্ল ভেন্সন ও ১৯৭৪ সালে রনি হেলস্টর্মের। 

একনজরে ব্রাজিল – মেক্সিকো ম্যাচ

ব্রাজিল -২  মেক্সিকো-০

নেইমার (৫১মি.)  রবার্তো ফার্মিংহো (৮৮মি.)

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- নেইমার জুনিয়র (ব্রাজিল)

বল দখলে রেখেছে ব্রাজিল ৪৯% আর মেক্সিকো দখলে রেখেছে ৫১%

ব্রাজিল শট নিয়েছে ২০ আর মেক্সিকো নিয়েছে ১৪।

ব্রাজিল গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ১০ আর মেক্সিকো ১।

ব্রাজিল কর্নার আদায় করেছে ৮ আর মেক্সিকো নিয়েছে ৭টি।

ব্রাজিল ফাউল করেছে ৬ আর মেক্সিকো করেছে ১৭।

 

রেকর্ড

ব্রাজিল বিশ্বকাপে উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান দেশের বিরুদ্ধে ন’টি ম্যাচ খেলে আটটিতে জিততে পেরেছে।

১৯৮৬ সালে রাউন্ড ১৬ ম্যাচ থেকে শুরু করে এই নিয়ে সাতবার মেক্সিকো বিদায় নিল।

ব্রাজিল যে কোনও প্রতিযোগিতায় ১৫টি ম্যাচে অপরাজিত রইল। গোল খেয়েছে মাত্র তিনটি।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে বদলি কেহ্লোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার ২ মিনিট ৪ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন। যা এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।

ব্রাজিলের হয়ে নেইমার গত ১৯টি ম্যাচে ২০টি গোলে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। এর মধ্যে ১১টি গোল নিজে করেছেন আর করিয়েছেন ৯টি গোল।

একনজরে বেলজিয়াম – জাপান ম্যাচ

বেলজিয়াম -৩  জাপান-২

ভার্তোঙ্ঘেন (৬৯মি.), ফেলাইনি(৭৪মি.), চার্লি(৯০+৪ মিনিট)

হারাগুসি(৪৮মি.) ও ইনুই(৫২মি.)

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ইডেন হ্যাজার্ড (বেলজিয়াম)

বল দখলে রেখেছে বেলজিয়াম ৫৭% আর জাপান দখলে রেখেছে ৪৩%

বেলজিয়াম শট নিয়েছে ২৪ আর জাপান নিয়েছে ১১।

বেলজিয়াম গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৮ আর জাপান ৪।

বেলজিয়াম কর্নার আদায় করেছে ১০ আর জাপান নিয়েছে ৬টি।

বেলজিয়াম ফাউল করেছে ১৩ আর জাপান করেছে ৯।

 

রেকর্ড

বেলজিয়াম প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের নল-আউট পর্যায়ে জেতার জন্য ২ কিংবা তার বেশি গোল করে ৯০ মিনিটে। যদিও কোয়ার্টার-ফাইনালে ১৯৬৬ সালে পর্তুগাল ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে ৫-৩ গোলে।

বেলজিয়াম এই প্রথম তাদের সফল প্রতিযোগিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল।

১২টি নক-আউট পর্বের খেলায় বেলজিয়া, আজ পর্যন্ত একটি ম্যাচেও গোল না খেয়ে জততে পারেনি।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে জাপান ছ’টি গোল করেছে, যা তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

চার মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ব্যবধানে জাপান দু’টি গোল করে।আবার চার মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে বেলজিয়াম দু’টি গোল পরিশোধ করে।  

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে এই নিয়ে ন’বার ৯০ মিনিটে এল জয়ের গোল।

বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড রবার্তো মার্টিনেজের অধীনে ১৮টি ম্যাচে ১৯ গোল করে। ১০টি গোল করে এবং ন’টি গোল করান।

 

একনজরে ক্রোয়েশিয়া – ডেনমার্ক ম্যাচ

ক্রোয়েশিয়া -১  ডেনমার্ক-১

মান্দজুকিক (৪মি.)  এম জোরগেনসেন (১মি.)

ক্রোয়েশিয়া জয়ী পেনল্টি শুট আউটে ৩-২ গোলে

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ক্যাস্পার স্খিমিশেল (ডেনমার্ক)

বল দখলে রেখেছে ক্রোয়েশিয়া ৫৪% আর ডেনমার্ক দখলে রেখেছে ৪৬%

ক্রোয়েশিয়া শট নিয়েছে ২০ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ১৪।

ক্রোয়েশিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৬ আর ডেনমার্ক ৩।

ক্রোয়েশিয়া কর্নার আদায় করেছে ৫ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ৪টি।

ক্রোয়েশিয়া ফাউল করেছে ৫ আর ডেনমার্ক করেছে ১৯।

 

রেকর্ড

ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলে ১৯৯৮ সালে।

ডেনমার্ক এবার এক ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি শুট-আউট মারতে ব্যর্থ হয়।

এই নিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে প্রথম চার মিনিটি দুই দল গোল করল। এর আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে এই ফল হয়েছিল।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে আমেরিকার ক্লিন্ট ডিম্পসে করেছিল ২৯ সেকেন্ডে। এদিনের ম্যাচে ডেনমার্কের জোগেন্সেন খেলার ৫৭সেকেন্ডে গোল করল।

ক্রোয়েশিয়ার মান্দজুকিসের গোল বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এর আগে ২০০৬সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দারিজুস স্রেনার ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে করা গোল ছিল দ্রুততম। এবার তাদের গোল এল ৩মিনিট ৪০ সেকেন্ডের মাথায়।

ডেনমার্ক এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র দল যারা তিনটি পেনাল্টি মারতে ব্যর্থ হল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১ জুলাই দ্বিতীয় দিন যেদিন দুটি ম্যাচে ফলাফল নির্ধারিত হল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে। এর আগে ১৯৮৬ সালের ২১ জুন ফ্রান্স-ব্রাজিল ও মেক্সিকো জার্মানি ম্যাচে হয়েছিল।

 

একনজরে স্পেন – রাশিয়া ম্যাচ

স্পেন -১  রাশিয়া-১

ইগ্নাসেভিচ (১২মি. আত্মঘাতী)  ডিজুবা (৪১মি.)

রাশিয়া জয়ী পেনল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ইগর আকিনফিভ (রাশিয়া)

বল দখলে রেখেছে স্পেন ৭৯% আর রাশিয়া দখলে রেখেছে ২১%

স্পেন শট নিয়েছে ২৪ আর রাশিয়া নিয়েছে ৭।

স্পেন গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৯ আর রাশিয়া ১।

স্পেন কর্নার আদায় করেছে ৬ আর রাশিয়া নিয়েছে ৫টি।

স্পেন ফাউল করেছে ৫ আর রাশিয়া করেছে ১৯।

রেকর্ড

একটা ম্যাচে স্পেন ১,০০৬টি পাস খেলেছে যা রাশিয়ার চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচ মিলিয়ে মোট পাস (১০২৭)-এর চেয়ে মাত্র ২১টি কম।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়া কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল।

স্পেন এই নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপে পেনাল্টি শট মারতে ব্যর্থ হল। ১৯৮৬ সালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে, ২০০২ সালে দ; কোরিয়ার বিরুদ্দে এবং এই ম্যাচে।

তাঁর তিনটি শটেই গোল করেছেন রাশিয়ার ডিজুবা।

রাশিয়ার প্রবীন খেলোয়াড় ইগ্নাসেভিচ সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে স্পেনের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করেন। তাঁর বয়স এখন ৩৮ বছর ৩৫২দিন।

স্পেনের গোল্কিপার ডেভিড দে গিয়া গত চারটি ম্যাচে মাত্র একটি পেনাল্টি শট আওটকাতে পেরেছেন।

প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৯ মিনিট ৫২ সেকেন্ড স্পেন রাশিয়ার গোল লক্ষ্য করে একটি শট মারতে পারেনি।

তাদের গোলকিপার ইকার ক্যাসিলেসের সঙ্গে ১৭টি ম্যাচ খেলার সম্মান অর্জন করলেন স্পেনের অধিনায়ক র‍্যামোস।

 

 

একনজরে উরুগুয়ে – পর্তুগাল ম্যাচ

উরুগুয়ে -২  পর্তুগাল-১

কাভানি (৭,৬২মি.)  পেপে (৫৫মি.)

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এডিন্সন কাভানি (উরুগুয়ে)

বল দখলে রেখেছে উরুগুয়ে ৩৩% আর পর্তুগাল দখলে রেখেছে ৬৭%

উরুগুয়ে শট নিয়েছে ৫ আর পর্তুগাল নিয়েছে ২০।

উরুগুয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর পর্তুগাল ৫।

উরুগুয়ে কর্নার আদায় করেছে ২ আর পর্তুগাল নিয়েছে ১০টি।

উরুগুয়ে ফাউল করেছে ১৩ আর পর্তুগাল করেছে ১৩।

রেকর্ড

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের চতুর্থ ম্যাচ জিতল। এর আগে ১৯৩০ সালে ফাইনালে তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।

এই নিয়ে টানা চারটি বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে হেরে গেল পর্তুগাল।

উরুগুয়ের জয়সূচক গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে।

এডিনসন কাভানি এদিন উরুগুয়ের হয়ে তাঁর ৪৪ ও ৪৫তম গোল করলেন।

কাভানি দুটো শটের মধ্যে দু’টিতে গোল করতে সফল হন।

১৯৬৬ পোল্যান্ডের সালেগ্রেগোজ ল্যাটো ও আন্দ্রেজ জারম্যাক (পাঁচটি গোল), জার্মানির মাইকেল বালাক ও মিরোস্লাভ ক্লোজ (পাঁচটি গোল) করেছিলেন। এবার উরুগুয়ের সুয়ারেজ ও কাভানি যোয়থভাবে তাদের দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি করে গোল করেছেন।

পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দেশের বিশ্বকাপ অথবা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৮টি ম্যাচ খেলে ফেললেন। এর ফলে তিনি বাস্তেন সুইসস্টিগারের সঙ্গে একই সতরে চলে এলেন।

বিশ্বকাপে৫১৪ মিনিট খেলেও নক-আউট পর্বে রোনাল্ডো গোল করতে কিংবা করাতে ব্যর্থ হলেন।

পর্তুগালের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে পেপে (৩৫বছর ১২৪দিন) কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় গোল করলেন।

 

একনজরে ফ্রান্স – আর্জেন্টিনা ম্যাচ

ফ্রান্স -৪   আর্জেন্টিনা-২

গ্রিজম্যান (১৩মি.পেনাল্টি),পাভার্ড (৫৭মি.),এম্বিঅ্যাপে(৬৪, ৬৮মি.)

দি মারিয়া(৪১মি.),মার্কাডো(৪৮মি.), অ্যাগুয়েরা(৯০+৩ মি.)      

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এমবিঅ্যাপে (ফ্রান্স)

বল দখলে রেখেছে ফ্রান্স ৪০% আর আর্জেন্টিনা দখলে রেখেছে ৬০%

ফ্রান্স শট নিয়েছে ৯ আর আর্জেন্টিনা নিয়েছে ১০।

ফ্রান্স গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর আর্জেন্টিনা ৪।

ফ্রান্স কর্নার আদায় করেছে ০ আর আর্জেন্টিনা নিয়েছে ৪টি।

ফ্রান্স ফাউল করেছে ২১ আর আর্জেন্টিনা করেছে ১৫।

রেকর্ড

মেসি বিশ্বকাপে নক-আউট পর্যায়ে ৭৫৬ মিনিট খেলেও গোল পেলেন না। ব্যর্থ হলেন।

মেসি হলেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি গত চারটি বিশ্বকাপ খেলেও কোনও বল যোগাতে পারলেন না।

এই নিয়ে আর্জেন্টিনা চতুর্থবার বিশ্বকাপে চার অথবা তার বেশি গোল হজম করল। এর আগে ২০১০ সালে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে হেরে যায়।

ফ্রান্স চারটি শটের মধ্যে চারটিতেই গোল করেছে। এর আগে তারা গ্রুপ পর্বে ১২টি শটের মধ্যে তিনটি গোল করেছে।

বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচের পর এই ম্যাচে আটটি হলুদ কার্ড দেখলেন খেলোয়াড়রা।

৮৫ মিনিটে মেসি ছাড়া মোট আটটি শট নেওয়া হয়। তার মধ্যে সাতটিতে গোল আসে।

ফ্রান্স আজ পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি যে ম্যাচে গ্রিজম্যান প্রথম গোল করেছে।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দূরবাহী শটে গোল শোধ করেন আর্জেন্টিনার দি মারিয়া। তিনি ৩০.১৬ইয়ার্ড দূর থেকে শটটি নেন।

ন’টি ম্যাচ খেলে পাভার্ড এই প্রথম ফ্রান্সের হয়ে গোল করলেন।

Published on: জুলা ৪, ২০১৮ @ ২০:৫৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 33 = 42