ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮- “গাজাম্যানিয়া” আজও ইংল্যান্ডের কাছে উজ্জ্বল হয়ে আছে

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মে ২৭, ২০১৮ @ ১১:৫৩

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ মনে পড়ে পল গ্যাসকয়েনকে? ১৯৯০ সালে ইতালিতে ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে গোটা টুর্নামেন্ট দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যিনি ছিলেন সকলের কাছে অপরিচিত তিনি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে চিত্তাকর্ষক প্রদর্শন করে ফুটবল ভক্তদের নজর কেড়ে নেন।২৩ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ মিডফিল্ডারের পারের জাদুতে তিনি “গাজাম্যানিয়া” নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। এরপরও তিনি দেশকে বিশ্বশ্রেষ্ঠ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এজন্য তাঁকেই শুধু দায়ী করা যায় না। এই ব্যর্থতার জন্য ১৯ নম্বরকে বলা হয় গ্যাসকয়েনের পরাজিত জার্সির নম্বর।

যে কোনও ফুটবলারের কাছে বিশ্বকাপ জেতাটা একটা স্বপ্ন। সেক্ষেত্রে গ্যাসকয়েনও স্বপ্ন দেখেছিলেন বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নেওয়ার। কিন্তু মানুষের ভাবা বা তাঁর ইচ্ছের উপর সব কিছু হয় না। পৃতজিবীর ইতিহাসে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যারা সারা জীবন দারুন খেলে গেছে। ফুটবল ভক্তদের মনোরঞ্জনও দিয়েছেন। কিন্তু কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঠিক তেমনটাই ঘটে গেল সেবার গ্যাসকয়েনের জীবনে। একটার পর একটা ম্যাচে দলকে জিতিয়ে পৌঁছে গেছিলেন ফাইনালের দোরগোড়ায়।

সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরা মুখিয়ে আছে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে তারা দেখবেন “গাজাম্যানিয়া” জাদু। নির্ধিরিত সময়ে খেলাও শুরু হল। কেউ কারও চেয়ে কম যায় না। পশ্চিম জার্মানিও খুব শক্তিশালী দল। সারা মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্যাসকয়েন। পশ্চিম জার্মানি প্রথম থেকেই তাদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে মাঠে নেমেছিল। তারা ভালোভাবেই বুঝেছিল যে বিপক্ষের একজনই তাদের পথের কাঁটা। তাই তাঁকে কোনওভাবে উপড়ে ফেলতে পারলেই রাস্তা ফাঁকা।

পশ্চিম জার্মানি খেলার শুরু থেকেই টার্গেট করে নিল ইংল্যান্ডের ১৯ নম্বর জার্সিধারীকে। শুরু থেকেই জার্মানরা পিছনে লেগে থাকল গ্যাসকয়েনের। তাঁর স্বাভাবিক খেলার ছন্দ নষ্ট করে দিলেন। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত হয়ে শেষ হল। অতিরিক্ত সময়েও খেলে বেশ হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছিল। কিন্তু আট মিনিটের মাথায় জার্মানরা তাদের স্ট্র্যাটেজির ফল পেয়ে গেল। গ্যাসকয়েনকে হলুদ কার্ড দেখালেন রেফারি।যা ইংল্যান্ড দলের কাছে বড় ধাক্কা হয়ে উঠল। কারণ, ফাইনালে গেলেও গ্যাসকয়েন খেলতে পারতেন না। এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড টাইব্রেকারে পশ্চিম জার্মানির কাছে ৩-৪ গোলে পরাজিত হন। চোখের জলে বিদায় নিতে হয় “গাজাম্যানিয়া” গ্যাসকয়েনকে। সেই চোখের জল ফেলার কষ্ট আজও গ্যাসকয়েনকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।

ছেলেদের চোখের জল কষ্ট দিয়েছিল কোচ ববি রবসনকেও। তিনি সেদিন গ্যাসকয়েন্দের কাছে ডেকে বলেছিলেন-” তোমরা চিন্তা করো না। তোমরা টুর্নামেন্টের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তোমাদের সামনে খেলার জন্য গোটা জীবন পেয়েছ এবং এটি শুধুমাত্র তো তোমাদের কাছে প্রথম বিশ্বকাপ।”ছবি-ফিফা

Published on: মে ২৭, ২০১৮ @ ১১:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

82 − = 79