শারধাবলীতে বলভদ্রের রথ: সুভদ্রা ও জগন্নাথের রথ অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে থেমে গেল

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ২০, ২০২৩ @ ২৩:৪৫

এসপিটি নিউজ, পুরী, ২০ জুন: আজ বিকেলে সিংহ দুয়ার থেকে বেরিয়ে যাওয়া শ্রীজিউর তিনটি রথ শারধাবলীতে পৌঁছতে পারেনি। শ্রীজগন্নাথের নন্দীঘোষ, যিনি তাঁর বড় ভাই ও বোনের সাথে নয় দিনের যাত্রায় গিয়েছিলেন, অর্ধেক রাস্তা গিয়ে থেমে গেলেন। কিন্তু ভগবান বলদেবের রথ ‘তালধ্বজ’ পৌঁছেছে শারধাবলীতে। আগামীকাল (বুধবার) শারধাবলীতে পৌঁছবেন রমিলদদন ও নন্দীঘোষ। যেখানে সুভদ্রার আয়নার আক্রমণ লাদাশঙ্খ পৌঁছেছে, জগন্নাথের নন্দীঘোষ পৌঁছে গেছে বালগান্ডি মাসির মায়ের রাস্তায়। আগামীকাল সকাল ৯টায় এই রথ দুটিকে ভক্তরা টেনে নিয়ে যাবেন শারধাবলীতে। সিনিয়র সার্ভিসম্যান বিনায়ক দশমহাপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তীর্থক্ষেত্রে মহাপ্রভুর শোভাযাত্রা শুরু হয় দারুনভাবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর মহাবাহুর রথ টানাটানি শুরু হয়। শ্রীজগন্নাথের নন্দীঘোষা ভক্তরা শ্রদ্ধার সাথে শারধাবলীর দিকে টানছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে নন্দীঘোষ, বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে মিরালদন্ডন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তালধ্বজ শারধাবলীর দিকে রওনা হয়। ভক্তরা প্রথমে বলভদ্রের তালধ্বজা টানতে থাকেন। ভক্তদের মন্ত্রোচ্চারণ এবং ঘণ্টা বাজছিল।

বৃষ্টির অভাবে রাজ্যে গ্রীষ্মের তাপ অব্যাহত থাকায় তা পুরীর মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পুরীর তীব্র খরা সত্ত্বেও ভক্তরা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ভগবানের ভক্তির কারণে ভক্তরা খরার প্রকোপে আক্রান্ত হতে পারেননি। এর আগে, মহারাজা দিব্যসিংহ দেব, যিনি রথে চড়েছিলেন, হাতে সোনার লাঠি নিয়ে সাঁতার কেটেছিলেন, এবং তারপরে চার্মালটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। ঘোড়া এবং সারথি দিয়ে টানা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে নিতিকান্তি শুরু হয়। পাহান্ডির পর চতুর্ধামূর্তি তিনটি রথে জয়ী। সকাল ৯টার দিকে শ্রীসুদর্শনের অধ্যয়ন শুরু হয়। তারপর শ্রীবলদেবের অধ্যয়ন শুরু হয়। তারপর মা সুভদ্রা এবং সবশেষে কালিয়া ঠাকুর শিক্ষিত হন। মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথের চরণতলে সিংহদ্বার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠছিল ঘণ্টা-ঘণ্টা এবং শিঙার শব্দে। কালিয়া গোসাইকু এলেন ভিড় নিয়ে। বলা হচ্ছে, রথযাত্রায় এবার ১০ লাখ ভক্ত পুরীতে সমবেত হয়েছেন।

Published on: জুন ২০, ২০২৩ @ ২৩:৪৫


শেয়ার করুন