Published on: জুলা ৩, ২০২২ @ ০১:২২
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ জুলাই: পর্যটনের দুনিয়ায় ফের ছুটতে শুরু করেছে থাইল্যান্ড।ইতিমধ্যে তারা “অ্যামেজিং থাইল্যান্ড- নিউ চ্যাপ্টার ২০২২” এ একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। মানুষ আবার কাছের গন্তব্য হিসেবে থাইল্যান্ডকে বেছে নিয়েছে। তবে এই গতি অব্যাহত রাখতে ট্যুরিজম অথোরিটি অফ থাইল্যান্ড সদা সক্রিয়। সেই সক্রিয়তা বজায় রাখতে গতকাল কলকাতায় টাফি’র চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন “ট্যুরিজম অথোরিটি অফ থাইল্যান্ড” বা TAT এবং Thai Smile-এর আধিকারিকরা।
বৈঠকে যারা ছিলেন
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন TAT-এর দু’জন মার্কেটিং অফিসার আসো লোরি, বৈশালি শর্মা, সাজিদ আহমেদ খান, Thai Smile-এর আঞ্চলিক প্রধান (পূর্ব), ট্রাভেল এজেন্টস ফেরেশন অফ ইন্ডিয়া বা টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ফুট প্রিন্টসের ফাউন্ডিং এডিটর সাংবাদিক জুন মুখার্জি। কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে দুপুরের আহারের মাঝেই হয়ে গেল এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
বৈঠকে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলি
বৈঠকে উপস্থিত টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এসপিটি’কে বলেন-“ এদিন আইটিসি হোটেলে TAT নির্বাচিত কয়েকজনকে দুপুরের আহারের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেখানেই হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। করোনা মহামারীর পর এবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে থাইল্যান্ড পর্যটন। তাই সেখানকার পর্যটনকে যাতে আরও বেশি করে জনমুখী করে তোলা যায় এবং আরও বেশি প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের গলফ ট্যুরিজমকে কিভাবে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, কিভাবে এই ট্যুরিজমকে সামনে রেখে পর্যটন বাণিজ্যের প্রসার বাড়ানো যায় তা নিয়েও হয়েছে আলোচনা।
পূর্ব ঘোষিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার
ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড সরকার পর্যটকদের উপর থেকে পূর্ব ঘোষিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন থেকে আর পর্যটকদের থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে হলে আর মোটা টাকার বীমা করতে হবে না। টিকাপ্রাপ্ত ভ্রমণকারীদের তখন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং তারা রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে পারবেন। সীমান্ত পাস ব্যবহার করে স্থলপথে আগমনের জন্য, তাদের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে 3 দিনের বেশি থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।একইভাবে, ভ্যাকসিনবিহীন/পুরোপুরি টিকা দেওয়া হয়নি এমন ভ্রমণকারীরা যাদের ভ্রমণের 72 ঘন্টার মধ্যে RT-PCR পরীক্ষা বা পেশাদার ATK থেকে নেতিবাচক ফলাফলের প্রমাণ রয়েছে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং তারা রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে পারবেন।
পর্যটনের প্রসারে জোর গলফ ট্যুরিজমে
এসবের পাশাপাশি এবার TAT নতুন করে পর্যটনের প্রসারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এজন্য তারা বেছে নিয়েছে গলফ ট্যুরিজমকে। কারণ ২০১৫ সালে এশিয়ার প্রধান গল্ফ গন্তব্য হিসেবে থাইল্যান্ডের অবস্থান থাইল্যান্ড গলফ ট্র্যাভেল মার্টে আন্ডারলাইন করা হয়েছে। সেই মতো থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম অথরিটি [TAT] থাইল্যান্ডে আরও বেশি করে গলফারদের আকৃষ্ট করার জন্য এবং সত্যিকারের বিশ্ব-মানের গলফ গেটওয়ে হিসেবে দেশের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বাড়াতে নকশা করা হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, পাটায়া এবং হুয়া হিন যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ গল্ফ ট্যুর অপারেটর [IAGTO] দ্বারা এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার জন্য বছরের সেরা গল্ফ গন্তব্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল।
Published on: জুলা ৩, ২০২২ @ ০১:২২