১২ বছর ধরে বঞ্চিত প. ব. প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা নামলেন পথে, ধরনায় বসে তুললেন এই দাবিগুলি

প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১৭:০০

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগে সারা দেশের মধ্যে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি মুহূর্তে সংবাদের শিরোণামে থাকে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-অধ্যাপকদের কর্মকান্ড সারা বিশ্বে আজ ছড়িয়ে পড়েছে যাদের উপর নির্ভর করে আজ সারা দেশের মধ্যে প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিভাগে পশ্চিমবঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোণামে উঠে এসেছে সেই রাজ্যের প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিজেদের বঞ্চনার যন্ত্রণা ঢেকে রেখে কর্তৃপক্ষের মন ভুলানো কথা বিশ্বাস করে কাজ করে গেছেন। এত বছর পর তাঁরা এবার বাধ্য হয়েই সরব হয়েছেন । চাইছেন সুরাহা। চাইছেন তাদের ন্যায্য সুবিধা। আর এসব জানাতেই এবং তার ইতিবাচক সাড়া আদায় করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মিটিং চলার সময়ই ধরনায় বসেন।এই ধরনায় নেতৃত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংস্থা।

কিছু বছর ধরে যে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কর্মকান্ড চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন শিক্ষক আজ পথে নামতে বাধ্য হয়েছে। ধরনায় বসা শিক্ষক-অধ্যাপকদের অভিযোগ- “দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা নির্দিষ্ট হারে বেতন পাচ্ছেন না। তার থেকে তাঁরা বঞ্চিত। তার প্রধান কারণ, বারা বার কর্ত্তৃপক্ষ তাদের সান্ত্বনার বানী শুনিয়ে গেছে। অপরদিকে সরকারি তরফ থেকে সদ্বিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ দফতরের অনিচ্ছার জন্য আজ শিক্ষকরা আময়াদের পাওনা থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা আজ এই ধরনাতে বসতে বাধ্য হয়েছি।”

এই শিক্ষকরা যারা প্রাণপাত করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল কর্মকান্ডকে চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে সেই শিক্ষকদের আজ তাদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তারা আজ অর্ধেক বেতনে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন। আজ এই অধ্যাপকরা ধরনায় বসেছেন যা খুবই লজ্জার বিষয়।

শিক্ষকদের প্রধান দাবি একটাই – কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম যা ১২ বছর ধরে আটকে আছে তার সুরাহা অতি অবশ্যই করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের আরও দাবি যে সমস্ত শিক্ষকরা এখানে চাকরিতে যোগ দেন তাদের ইনক্রিমেন্ট ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না। মঞ্জুরি কমিশন অর্থাৎ সরকারি নির্দেশ থাকা সত্বেও তাদের সেই বর্ধিত বেতন চালু করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রাণী সম্পদ দফতরের কর্তৃপক্ষের টালবাহানাতে শিক্ষকরা তাদের নির্দিষ্ট পাওনা থেকে বঞ্চিত। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই ধরনা।আমাদের দাবি যতদিন না মানা হবে আমরা আমাদের এই আন্দোলনকে ততদিন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাব। প্রয়োজনে আগামিদিনে এই আন্দোলনকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হব।এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব পাওয়া যায়নি।

তাদের দাবিগুলি হল-

  • অবিলম্বে শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা দফতরের নিয়মানুসারে Career Advancement Scheme (CAS) পেশাগত পদোন্নতি চালু করতে হবে।
  • M.V.Sc & Ph.D -Increment – UGC বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মানুসারে চালু করতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বীমা বা প্রকল্প চালু করতে হবে।
  • অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী LTC & HTC চালু করেত হবে।
  • সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষকদের পিতৃত্বকালীন ছুটি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বার্থে সকল শূন্যপদে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বার্থে ও শিক্ষার মানোন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সকল শূন্যপদে অবিলম্বে অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন করতে হবে।   

  Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১৭:০০ 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + = 10