মাত্র ৩০ মিনিট উত্তরপত্র লিখতে পেরেছিলেন, তারপরই সব শেষ- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে নেমে এল শোক

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল

Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১৯:৫২

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ অন্যদের মতো তিনিও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।শুরু করেছিলেন উত্তরপত্র লেখা। মাত্র ৩০ মিনিট পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখতে পেরেছিলেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর যা হল তা এক অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

পিংলার পিন্ডরুই হাইস্কুলে সিট পড়েছিল পিংলার সাহাড়দা কালীপদ বিদ্যাপীঠের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সঙ্গীতা দাসের। ১৭ বছরের ছাত্রী পরীক্ষার শুরুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক ও পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স করে মেদিনীপুর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। কিন্তু মাঝপথেই সঙ্গীতা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।শেষ হয়ে যায় সঙ্গীতার জীবনের সব আশা-আকাঙ্খা।শেষ মুহূর্তে দেখা হল না তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে আপনজন কারও সঙ্গেই।

শুরু হয়েছিল জীবনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু মনের অসম্ভব জোর নিয়ে- পরীক্ষায় বসার ইচ্ছা নিয়ে- ভাল ফল করা্র আশা নিয়ে তিনি এসেছিলেন পরীক্ষার হলে। শুরুটা তিনি করেওছিলেন। কিন্তু নিয়তি বাঁধ সাধল মাত্র ৩০ মিনিট বাদেই। সঙ্গীতা থামতে চাননি। কিন্তু তাঁর জীবনের গতি হার মানল নিয়তির কাছে।

কিছু সময়ের মধ্যে যখন প্রিয় বান্ধবী সহপাঠিনীর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছলো স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তখন সব মেয়েরাই চোখের জল মুছে চলেছেন। স্কুলে সদা হাসিখুশি-ভাল মনের এই বন্ধুকে এমনভাবে হারাতে হবে তা ওরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু পরীক্ষা যে তাদেরও শেষ করতেই হবে। তাই মনের ভিতর বান্ধবীকে হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে দু’চোখের জল মুছতে মুছতেই ওরা সকলে পরীক্ষা দিলেন। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়া হল না সঙ্গীতার। সবাই যখন পরীক্ষা শেষ করে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন তখন সঙ্গীতাও সকলের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন।চলে গেছেন বহুদূরে।

Published on: ফেব্রু ২৬, ২০১৯ @ ১৯:৫২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

85 + = 88