সবাইকে পিছনে ফেলে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- বলছে সর্বভারতীয় এই নিউজ চ্যানেল

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ২৫, ২০১৯ @ ২০:৫৪

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে জানানো হয়নি। দাবি করেনি পশ্চিমবঙ্গের কোনও সংবাদ মাধ্যমও। এটা বলছে সর্বভারতীয় এক নিউজ চ্যানেল। কোন চ্যানেল? যারা নোটবন্দির খবর সব চেয়ে আগে দেখিয়েছিল। যাদের সংবাদ পরিবেশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলতে পারেনি। সেই সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল “আজতক” প্রকাশ করেছে এই তথ্য। যেখানে তারা জানিয়েছে ২০১৯ সাল দেশের ১৪ শতাংশ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সেরা মুখ্যমন্ত্রী” হিসেবে মান্যতা দিয়েছে। এটা তাদের সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দেশের অন্যান্য সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।লোকসভা ভোটের আগে যা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এক বিশেষ প্রাপ্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৭ সাল থেকে সেরা মুখ্যমন্ত্রীর সমীক্ষা চালাচ্ছে এই সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল।যেখানে গত দুই বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের গ্রাফ ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। ২০১৭ সালে যেখানে মমতাকে মাত্র ৯ শতাংশ দেশবাসী সেরা মানতেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সেটা বেড়ে যায় ১২ শতাংশে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তা আরও লাফিয়ে চলে যায় ১৪ শতাংশে। যা বিজেপি, কংগ্রেস থেকে শুরু করে অন্য সব দলের মুখ্যমন্ত্রীদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন দেশবাসী। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছেন সেরা মুখ্যমন্ত্রী। এটা তৃণমূল শিবিরের কাছে যেমন খুশির খবর ঠিক তেমনই রাজ্যবাসীর কাছেও এটা একটা বড় খবর নিঃসন্দেহে।

দেশের কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার বলে মনে করে থাকেন। তারা ভাবেন যে তাদের রাজ্যে তারা খুব ভাল কাজ করছে -যা রাজ্যবাসী দেখে সন্তুষ্ট। এজন্য তিনি অধিক জনপ্রিয়। চলতি মাসে “আজতক” এক বিশেষ সংস্থাকে দিয়ে “কে-সেরা মুখ্যমন্ত্রী” এই বিষয়ে এক সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষায় দেশ এবং রাজ্য স্তর পর মুখ্যমন্ত্রীদের কাজকর্ম নিয়ে লোকজনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে প্রথম প্রশ্ন রাখা হয়েছিল- দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কাজ করছে কোন মুখ্যমন্ত্রী?যা নিয়ে সকলের আগ্রহ ছিল। আর এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গিয়ে দেখা গেছে দেশের ১৪ শতাংশ মানুষ “সেরা মুখ্যমন্ত্রী” হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলেছে। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে ১১-১১ শতাংশ মানুষ বলেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম।

এই সমীক্ষায় দেশের ১০ শতাংশ মানুষ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুগত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নাম বলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুকে সমর্থন করেছে ৯ শতাংশ মানুষ। এরপর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে সমর্থন জানিয়েছে ৪ শতাংশ মানুষ। যেখানে মহারাষ্ট্রে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমথন করেছে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ।

দেখা গেছে, গত দুই বছরে নিজেদের জনপ্রিয়তার গ্রাফ বাড়িয়ে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখুমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রথমজন ৯ থেকে ১৪ শতাংশ করেছেন। দ্বিতীয়জন ৭ থেকে ১১ শতাংশ করেছেন। সেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১০ শতাংশে।

সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে এই মুখ্যমন্ত্রীদের নিজের রাজ্যে জনপ্রিয়তা কতটা। দেখা গেছে সেক্ষেত্রে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-কে তাঁর রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন-৭৮ শতাংশ। এরপর দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের ৬৪ শতাংশ মানুষ তাদের মুখ্যমন্ত্রীকে পছন্দ করেন। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ তাদের মুখ্যমন্ত্রীকে পছন্দ করেন। বিহারে মাত্র ৫৫ শতাংশ মানুষ পছন্দ করেন তাদের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাফল্যের পিছনে আছে তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা, মানুষের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করে নেওয়ার ক্ষমতা, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলা, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তাদের সমস্যার সমাধান করা এবং একরোখা মনোভাব আর অদম্য জেদ এবং সাহস। এসব কারণই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের “সেরা মুখ্যমন্ত্রী” করার পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Published on: জানু ২৫, ২০১৯ @ ২০:৫৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + = 19