মিয়ানমারের বৌদ্ধ মন্দির এখন “সাপের মন্দির” হয়ে উঠেছে

Main ধর্ম বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: অক্টো ১৮, ২০১৮ @ ২২:৩১

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ হিন্দুদের কাছে সর্পদেবী হিসেবে পরিচিত মা মনসা। ঠিক তেমনই বৌদ্ধরাও সাপকে দেবতা জ্ঞানে মান্য করে। তাদের বিশ্বাস ভগবান বৌদ্ধ নির্বান লাভের সময় সাপের দেখা পেয়েছিলেন। তাই এই সাপ তাদেরও মোক্ষলাভের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। তাই মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের একটি হৃদের মাঝখানে অবস্থিত সেই বৌদ্ধ মন্দির আজ এক দজন পাইথন সাপের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তারা জানলায় থাকে। কাউকে কিছু করে না।

বাঙ্গদ্যাওয়াজোক প্যাগোডার বাসিন্দা সন্দর থিরী বলেন-“লোকেরা এখানে আসে কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তারা যখন কিছু চায় তখন তাদের প্রার্থণা পূর্ণ হবে।” স্থানীয়রা একে সাপের মন্দির বলেই চেনে।তিনি আরও বলেন, তবে নিয়ম অনুযায়ী মানুষ একটি জিনিস চাইতে পারে, একাধিক নয়। কখনও লোভী হয়ো না।

অনেকেই প্যাগোডোর ক্ষমতার চিহ্ন হিসাবে কয়েক ডজন পাইথন উপস্থিতির কথা বিবেচনা করেন। ৪৫ বছর বয়সী উইন মিন্ট বলেন, তিনি বাল্যকাল থেকেই বাঙ্গদ্যাওয়াজোকে আসছেন।মন্দিরের প্রধান ঘরে একটি বুদ্ধ মূর্তির চারপাশে গাছ আছে। সাপগুলি আস্তে আস্তে গাছটির শাখাগুলির মধ্য দিয়ে চলে যায়। উপাসনাকারীরা যখন উপাসনা করে্ন তখন সাপগুলি বেরিয়ে আসে বাইরে। তবে এখনও তারা কাউকে আঘাত করেনি।

এক সন্ন্যাসীর কাছে ছিল দুটি পাইথন। মন্দিরে আসা এক মহিলার গা ঘেঁষে ছিলে আরও একটি সাপ।মহিলার বিশ্বাস ও কারও ক্ষতি করে না।

৩০ বছর বয়সী কৃষক নে মায়ু থু বিশ্বাস করেন যে,  সাপগুলিকে হত্যা করার পরিবর্তে মন্দিরের কাছে পাওয়া সাপগুলিকে নিয়ে আসায় সৌভাগ্য লাভ করবে,  বৌদ্ধ বিশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে তিনি বলেন, যে সমস্ত প্রাণীই আধ্যাত্মিক প্রাণী, যাদের পুনরুত্থিত করা যায় মানুষ হিসাবে। তিনি বলেন, “আমি একটি প্রাণী হত্যা করে কোনও দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে চাই না। সাপগুলি ধরার ও দান করার জন্য আমার ভাগ্য ভাল হয়েছে।” ছবি-এএফপি

Published on: অক্টো ১৮, ২০১৮ @ ২২:৩১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 3