প্রশাসনকে বলেও শিশুদের কষ্ট লাঘব হয়নি, আট বছর ধরে এভাবে ঘর ছাড়াই চলছে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– বাপ্পা মণ্ডল                                                                 ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ২০:৩২

এসপিটি নিউজ, লালগড়, ১৩ অক্টোবরঃ সরকার বদলালেও বদলায়নি ওদের অবস্থা। বাম সরকারের আমলে যেভাবে খোলা আকাশের নীচে তাদের লেখাপড়া করতে হতে রাজ্যের বর্তমান সরাকের আমলেও ওই শিশুদের একই অবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ করতে হচ্ছে। খাবার রান্না করা হচ্ছে এখন টিনের ছাউনির তলায় যার চারপাশ খোলা। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গত আট বছর চলে আসছে লালগড়ের চাঁদাবিলা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র। সব জানার পর স্থানীয় বিডিও বললেন, খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

সত্যি, কী করুন অবস্থা এই শিশুগুলির।২০১০ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। লালগড়ের ধরমপুর অঞ্চলের চাঁদাবিলা গ্রামে এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি সেইসময় রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচে শুরু হলেও আজও সেই খোলা আকাশের নীচেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের স্কুলের পঠনপাঠন। গ্রামের ভিতর একটি বটগাছের তলাতেই ২৮জন শিশুকে নিয়ে চলছে এই অভিনব শিক্ষাগ্রহণ। একই সঙ্গে এই কেন্দ্রটি গ্রামের ছ’জন প্রসূতি মায়ের খাওয়ার ও দেখাশুনা করে।

এই শিশুদের জন্য শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছেন গীতা মাইতি। তিনি জানালেন, ২০১০ সাল থেকে তিনি এভাবেই শিশুদের পঠনপাঠন করিয়ে চলেছেন। বহুবার বলার পর গত বছর স্থানীয় প্রশাসন ছটি সিমেন্টের পিলারের উপর টিনের শেড দিয়ে রান্নার জায়গা করে দিয়েছে। পানীয় জলের নলকূপটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। তা আজও মেরামত করা হয়নি। এব্যাপারে তিনি বিনপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও ধরমপুর পঞ্চায়েতকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এই শিক্ষিকার আক্ষেপ-সবচেয়ে সমস্যা হয় ঝড়-বৃষ্টি আর গরমের সময়। শিশুরা খুব কষ্ট ভোগ করে। কিন্তু কিছু তো করার নেই।

কষ্টের কথা তুলে ধরেন এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের রাঁধুনি ফুলমনি মুরমু। তিনি জানান, কিভাবে তাকে রান্না করতে হয়। স্কুলের নলকূপ খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় তাকে বহু দূর থেকে জল টেনে এনে রান্না করতে হয়। তার উপর আবার চারপাশ খোলা থাকায় খাবারে ময়লা পড়ার ভয়ে শিশুদের রান্নার পরই খাইয়ে বাড়ি যেতে হয় তাকে। বলছিলেন ফুলমনি।

গ্রামের বাসিন্দা অশোক মাহাতো জানান, গত আট বছর ধরে এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি এভাবেই খোলা আকাশের নীচে বটগাছের তলায় চলছে।যা শুনে বিডিও মহম্মদ ফৈজান আসরফ আনসারির জবাব- খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ২০:৩২

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

87 + = 89