ছট পুজোয় সেজে ওঠে ঔরঙ্গাবাদের এই প্রাচীন সূর্য মন্দির, যাকে ঘিরে আছে পৌরানিক ইতিহাস

Main দেশ ধর্ম
শেয়ার করুন

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ১৭:০৩

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ দেশে ভগবান সূর্যের অনেক মন্দির আছে। কিন্তু তারমধ্যে বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় অবস্থিত সূর্য মন্দিরের নিজস্ব ইতিহাস আছে। এই মন্দির ঘিরে অনেক কিংবদন্তী কথা প্রচলিত আছে।বলা হয় এই সূর্য মন্দির ধ্বংস করতে এক সময় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে গেছিল। ঔরঙ্গাবাদ থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দির প্রায় একশো ফুট উঁচু। প্রচলিত আছে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল ত্রেতা যুগে, স্বয়ং ভগবান বিশ্বকর্মা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।এমনটাই বিশ্বাস। এই মন্দির দেশের ঐতিহ্য। প্রতি বছর এখানে ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ অনেক রাজ্য থেকে বহু ভক্ত ছট পরব পালন করতে আসেন। লোকের বিশ্বাস, যে ভক্ত এই মন্দিরে ভগবান সূর্দেবের পুজো করেন ভগবান সূর্যদেব তার মনোকামনা পূর্ণ করে থাকেন।

আবার কেউ আবার মনে করেন এই মন্দির ত্রেতা সত্যযুগে স্থাপন হয়েছিল। তা নিয়েও এক কাহিনি শোনা যায়। তখন সত্যযুগ। অযোধ্যার নির্বাসিত রাজা এল একবার দেব জঙ্গলে শিকার করেত গেছিলেন। তিনি কোনও দ্বারা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি দেব বনে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েন। ঘুরতে ঘুরতে রাজার খিদে পেয়ে যায়। জল তৃষ্ণাও লাগে। এইসময় রাজা এক সরোবর দেখতে পান। রাজা সেই সরোবরের দিকে এগিয়ে যান। হাতের অঞ্জলিতে করে জল তুলে রাজা সেই জল পান করেন। দেখেন তার কুষ্ঠ সেরে গেছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি মনে করেন এই সরোবরে ভগবান সূর্যদেবের আশীর্বাদ আছে। তাই এই সরোবরকে তিনি সূর্যকুণ্ড বলে মনে করেন। তিনি রাতে বিশ্রামে যান। সবে মাত্র ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছেন ঠিক তখন তিনি এক স্বপ্ন দেখেন- তাতে বলা হয়ে, আজ যে কুণ্ডের জল পান করে তিনি সুস্থ হয়েছেন সেই কুণ্ডে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের তিন মূর্তি আছে। এরপর রাজা সেই কুণ্ড থেকে তিন মূর্তি তুলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দির স্থাপন করেন।

এই মন্দির ধ্বংস করতে এসে শেষে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব।প্রচলিত কথা অনুসারে শোনা যায় যে- মুঘল সম্রাট লোকবল -সিপাহী নিয়ে আসেন এই সূর্য মন্দির ধ্বংস করতে। সেইসময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তারা সম্রাটকে অনুরোধ করেন তিনি যেন এই মন্দির ধ্বংস না করেন। তখন ঔরঙ্গজেব তাদের একটি শর্ত দেন। তিনি বলেন-তোমাদের দেবতার যদি এতই ক্ষমতা থাকে তবে তিনি মন্দিরের প্রবেশদ্বার পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে করে দিক। তবেই বুঝব তাঁর ক্ষমতা। তখন আমি ফিরে যাব। মন্দিরও তোমাদের অক্ষত থাকবে। সবাই ফিরে যায় ঘরে। পরদিন সকাল হতেই লোকজন মন্দিরে এসে অবাক হয়ে যান। তারা দেখেন সত্যি মন্দিরের প্রবেশ দ্বার পূর্ব দিক থকে পশ্চিম দিকে হয়ে গেছে। ঔরঙ্গজেব তখন ভগবান সূর্যদেবের ক্ষমতার কাছে হার স্বীকার করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই থেকে আজও মন্দির অক্ষতই আছে।ছট পুজোয় এই মন্দির আজ নব সাজে সেজে উঠেছে। সূত্র- জাগরন, ছবি-গুগল

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ১৭:০৩   


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 42 = 47