ফের দলমার দাঁতালদের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে মেদিনীপুর বনবিভাগ, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

Main দেশ বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– বাপ্প মণ্ডল                                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ২১:১৪

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৩ অক্টোবরঃ ফের দলমার দাঁতালের দল ঢুকে পড়েছে মেদিনীপুর। সেইসঙ্গে তারা শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে মেদিনীপুর বনবিভাগকে। তারা অবশ্য এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে অন্যান্যবারের মতো। এর আগেও বন বিভাগের উপর ভরসা করে গ্রামবাসীরা দেখেছে কি হাল হয়েছে তাই অন্যাবারের মতো এবারও গ্রামবাসীরাই যথারীতি নিজেরাই হাতি তাড়ানো আর রাত জেগে পাহাড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে যাতে করে ফসলের জমিতে ক্ষতি না করতে পারে দলমার দামালরা।

হাতি তাড়াতে যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে মেদিনীপুর বনবিভাগ।দলমা থেকে আসা প্রায় ৮০টি দাঁতাল হাতি মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী, মনিদহ, চাঁদড়া ও শালবনী ব্লকের গড়মাল, সাতপাটি, কর্ণগড় ও কাশিজোড়া অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ফসলেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

এভাবে হাতির দল তাদের কে যে চ্যালেঞ্জ জানাবে তা বুঝে উঠতেই পারেনি বনবিভাগের কর্মীরা। আসলে দিনের পর দিন এখানে হাতির তান্ডব চলার পরও যে বন বিভাগের কর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তা এই মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম এলাকার বনকর্মীদের কাজেই জানতে পেরে গেছে গ্রামের মানুষ। তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করে চলেছেন গ্রামের মানুষ। ডুয়ার্সে হাতি তাড়ানো ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রেসিডেন্সিয়াল হাতি আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মেদিনীপুর কিংবা ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের হাতে সম্ভবত একটিও রেসিডেন্সিয়াল হাতি নেই। যার ফলে এই সমস্যা থেকেই গেছে।

বন দফতর যে তাদের রক্ষা করতে পারবে না সেকথা অচিরেই বুঝে গেছে গ্রামের মানুষ। তাই তারা এবার নিজেরাই এখন নিজেদের ফসল রক্ষা করতে হুলা জ্বালিয়ে রাত পাহারার কাজে নেমেছেন।

Published on: নভে ১৩, ২০১৮ @ ২১:১৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

79 − 78 =