পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের প্রসারে FAITHএর সঙ্গে মউ স্বাক্ষর, একযোগে কাজ করবে TAFI, TAAI

Main দেশ বিদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুন ৫, ২০২২ @ ১৭:৫২
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৫ জুন: বাংলায় পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা আছে। এবার সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গতকাল কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলে পর্যটন জগতের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এখানেই ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বা FAITH-এর সঙ্গে হয়ে গেল মউ স্বাক্ষর। যেখানে TAFI, TAAI- সহ ১০টি অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে FAITH-এর ব্যানারে কাজ করার শপথ নিয়েছে।

পর্যটন বিষয়ের বৈঠকে যারা ছিলেন

গতকাল শনিবার কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সৌমিত্র মোহন সহ রাজ্যের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বা FAITH-এর কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন দেশের দুই পর্যটন অ্যাসোসিয়েশন- ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা TAFI-র সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট অজয় প্রকাশ, পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এবং ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া বা TAAI- এর সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট জ্যোতি মায়াল, পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান মানব সোনি সহ অন্যান্যরা।

ফেইথ এর সঙ্গে মউ সাক্ষর করল রাজ্য

পর্যটনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রভূত সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে এবং তার প্রসার ঘটাতে ফেইথ এর সঙ্গে মউ সাক্ষর করল রাজ্য। ফেইথ এর অধীনে মোট ১০টি সংস্থা পর্যটনকে সহজতর ক্রতে এবং তার প্রচার করে এবং সেই সঙ্গে পূর্ব ভারতে একটি সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গরে তুলতে কাজ করবে।

এ রাজ্যে পর্যটনের নানা দিক আছে। এখানে হিমালয়ান পর্যটন, বন পর্যটন, হেরিটেজ পর্যটন, কালচারাল পর্যটন, রিলিজিয়াস পর্যটন সহ নানা ধরনের পর্যটন আছে। এমন বৈচিত্র্য আর কোথাও নেই। তাই এই রাজ্যের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। সেদিকে খেয়াল রেখে টাফি, টাই সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি এক যোগে কাজ করে যাবে। যাতে ভ্রমণপিপাসু মানুষরা কোথায় গিয়ে সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখারও কথা আলোচনা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যাতে এ রাজ্যের পর্যটনকে তুলে ধরা যায় সেদিকটাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেদিকে মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশেও যাতে রোড শো করা যায় তার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলিকে। এর ফলে বাংলার পর্যটন বিশ্বের দরবারেও উন্মোচিত হবে।

কলকাতা থেকে বেশি করে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোর প্রস্তাব

একই সঙ্গে কলকাতা থেকে বেশি করে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইন সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও সেটা নির্ভর করছে যাত্রী সংখ্যার উপর। পাশাপাশি, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হয়েছে দিনের বৈঠকে। দেখা গিয়েছে- চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রতিদিন বহু যাত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। কিন্তু তারা এখান থেকে কেউ চলে যায় সিকিমের দিকে, কেউ যায় বিহারের দিকে আবার কেউ বা চলে যায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। অর্থাৎ সেখানে বৌদ্ধ মন্দির সহ সেখানকার কৃষী-সংস্কৃতি দেখতে তারা চলে যায়। এখন যদি এদের দিকে নজর দেওয়া হয়, অর্থাৎ এদের কথা মাথায় রেখে আমাদের বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি সহ বৌদ্ধ স্থাপত্যের বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা যায় এবং আকর্ষণ করা যায় তাহলে এখানকার পর্যটনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। প্রসার ও প্রচার দুটোই হবে।

বাংলায় পর্যটনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী টাফি

টাফির পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেন- দেখুন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি বাংলার পর্যটনের সম্ভাবনা সম্পর্কে। এ নিয়ে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছে ফেইথ-এর সঙ্গে। আমরা সকলেই ফেইথ-এর অধীনে। তাই আমরাও চেষ্টা করবো। এখন সব যদি ঠিকঠাক হয় আর কাজ যদি সুসম্পন্ন হয় তাহলে আগামাঈ এক বছরের মধ্যেই এর ফল মিলবে। এখন আমাদের সামনে শুধু কাজ আর কাজ। লক্ষ্য একটাই- বাংলার পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া।

Published on: জুন ৫, ২০২২ @ ১৭:৫২


শেয়ার করুন