দেশনায়ক নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এভাবেই গোটা দার্জিলিংবাসীকে ঐক্যবদ্ধ্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ২৩, ২০১৯ @ ২১:০০

এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ২৩ জানুয়ারিঃ যিনি সকলকে নিয়ে চলতে পারেন যিনি সকলের পাশে দাঁড়াতে পারেন যিনি বিপদের সময় ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যান না যিনি সারা বছর মানুষের পাশে থেকে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন তাদের সমস্যার সমাধান করে দেন তিনিই হলেন প্রকৃত দেশনেতা। দার্জিলিং-এর ম্যালে দাঁড়িয়ে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে এই কথা বলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি যেভাবে গোটা দার্জিলিং-এর মানুষকে একতাবদ্ধ করলেন জয় হিন্দ, জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, বন্দেমাতরম স্লোগান তুলে তা কেবল তাঁর পক্ষেই সম্ভব।

নিজের ভাষণে দেশনায়ক নেতাজির কথা বলতে গিয়ে বলেন- “আমার খুব দুঃখ হয় যে যে মানুষটি একতার দি্ক তুলে ধরেছিলেন, যে মানুষটি সকলকে নিয়ে চলার কথা বলেছিলেন, যার সহযোগী ছিলেন শাহনওয়াজ খান, যিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করবার জন্য সেইরকম একজন দেশনায়কের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত যোগ্য সম্মান দিল না। তাঁকে দেশনায়ক হিসেবে আজও মানা হয় না। আজও তাঁর জন্মদিনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয় না। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু ছুটি ঘোষণা করেছি। আমরা কিন্তু তাঁকে আমাদের মতো করে সম্মান জানাই। কলকাতায় যেমন তাঁর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে ঠিক তেমনই আমি দার্জিলিং-এও উদাযাপন করছি।দার্জিলিং-এর সঙ্গে নেতাজির সম্পর্ক ছিল খুব মধুর। তিনি পাহাড়কে ভালবাসতেন। তাই আমরা পাঁচ বছর দার্জিলিং-এ উদযাপন করেছি।”

এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে কাজটি করে দেখালেন তার জন্য কোনও বিশেষনই তাঁর পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে সাহস করে এভাবে বাংলার জয়গান শুধু নয় কিছু সময়ের জন্য গোটা দার্জিলিংবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে বাংলার ইতিহাস ভারতের ইতিহাস। বাংলার মানুষ ভারতের গৌরব। মঞ্চে উপস্থিত জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং থেকে শুরু করে মোর্চা নেতৃত্ব  সহ গোটা পাহাড়ের নেতৃত্ব হাজির। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন-” জয় হিন্দ স্লোগান কার দেওয়া -নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। বন্দেমাতরম কে লিখেছিলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। জনগণমন অধিনায়ক জয় হে গানের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার অবদান অনেক।”

একথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন- যিনি সকলকে নিয়ে চলেন তাকে দেশনায়ক মানা হয়।মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সকলকে নিয়ে চলতেন।নেতাজি সারা ভারতের মানুষকে নিয়ে চলতেন। ভানু সিং সকলের জন্য লিখেছেন। এরা সকলেই খুব ভাল মানুষ। কিন্তু আজ যে দেশ নেতা তিনি দেশকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে।এরপর তিনি উপস্থিত পাহাড়বাসীকে উদ্বুদ্ধ করেন স্লোগান দেন জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলান। এভাবেই তিনি এদিন পাহাড়বাসীদের ঐক্যবদ্ধ করেন।

Published on: জানু ২৩, ২০১৯ @ ২১:০০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 6 =