- মোদির কটাক্ষ- “এখানে একটা স্পিড ব্রেকার আছে। যাকে এখানকার মানুষ দিদি নামে জানে।”
- “চোট লেগেছে পাকিস্তানে আর ব্যাথা লেগেছে দিদির।”
- “সেনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি। আপনারা খুশি, গর্বিত, কিন্তু দিদির তা পছন্দ হয়নি।”
Published on: এপ্রি ৩, ২০১৯ @ ১৬:৩২
এসপিটি নিউজ, শিলিগুড়ি, ৩ এপ্রিলঃ বুধবার শিলিগুড়িতে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন এখানে এই জনসমাগম না দেখলেই জানতেই পারতাম না দিদির নৌকা ডুবে গেছে।
“গরিবদের লুঠেছে দিদির ভাই, সঙ্গীরা”
1) “গত পাঁচ বছরে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে গেছে। কিন্তু সেই গতিতে এখানে কাজ হয়নি। এর কারণ কি জানেন? এখানে একটা স্পিড ব্রেকার আছে। যাকে এখানকার মানুষ দিদি নামে জানে। সেই দিদি হলেন আপনাদের উন্নয়নের স্পিড ব্রেকার।”
2) “দিদি গরিবদের কথা ভাবেন না। গরিবদের নিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত। তিনি কিভাবে গরিবদের জন্য কাজ করবেন? দারিদ্র না থাকলে রাজনীতিই তো শেষ হয়ে যাবে। গরিবদের টাকা চিটফান্ডে গেছে। কংগ্রেস ও বামেদেরও একই হাল। ষড়যন্ত্র করে তারা গরিবদের উন্নয়ন রুখতে চাইছে। গরিবদের লুঠেছে দিদির ভাই, সঙ্গীরা।”
3) “গরিবরা যাতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন সেই চেষ্টা করেছি। চালু করেছি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। গরিবরা ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিনা মূল্যে করাতে পারবেন। তাদের এক টাকাও খরচ হবে না। স্পিড ব্রেকার দিদি সেই প্রকল্প আটকে দিয়েছেন। গোটা দেশে পিএম বিকাশ কিষান সম্মান যোজনায় কৃষকদের ব্যাঙ্ককাতায় সোজা টাকা পাঠানো হচ্ছে। সেই প্রকল্পেও ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছে দিদিও।”
4) “মধ্যবিত্তরা বাড়ি কিনতে গেলে যাতে অসুবিধায় না পড়েন বিল্ডাররা যাতে কোনও অপরাধ না করতে পারে তার জন্য রেরা আইন এনেছি। এখানে দিদি সেটাও লাগু করতে দেননিও। এগে এটাই করে এসেছে বামেরা। এখন ওদের হাতিয়ার দখল করে নিয়ে সেই কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন না, তা আরও ধারালো করে তুলেছেন।”
5) এখানেই থেমে না থেকে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে নিশানা করে মোদি বলেন- এখানে স্পিড ব্রেকার না থাকলে আরও কাজ করতে পারতাম। চা-বাগানের সমস্যা নিয়েও যে তিনি ওয়াকিবহাল সেটা জানিয়ে ফের মোদি বলেন- “স্পিড ব্রেকারকে সরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। দ্রুত গতির উন্নয়নে বাধা পাচ্ছি।”
“সৎ চৌকিদারের সঙ্গে দুর্নীতিবাজদের লড়াই”
6) “সৎ চৌকিদারের সঙ্গে দুর্নীতিবাজদের লড়াই। ইমানদার চৌকিদারের সঙ্গে দাগীদের লড়াই। একদিকে সন্ত্রাসকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া আর এক দিকে পাকিস্তানের সমর্থকরা। বালাকোটে আমাদের ছেলেরা ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মেরে আসছে, আপনারা খুশি হয়েছেন তো? আপনাদের মাথা উঁচু হয়নি? কিন্তু আমাদের জওয়ানরা ফিরে আসতেই কারা কাঁদা শুরু করল? চোট লেগেছে পাকিস্তানে আর ব্যাথা পাচ্ছেন এখানে দিদি। রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের চেয়ে ব্যথিত হয়েছেন কলকাতার দিদি। মোদি প্রমাণ দিন। জঙ্গিদের সঙ্গে এমনটা করা উচিত নয়। কত কথা তাঁর। আমাদের দেশের সেনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। আপনারা খুশি, গর্বিত, কিন্তু দিদির তা পছন্দ হয়নি। তাঁর মহাজোটের সঙ্গীদেরও তা পছন্দ হয়নি।”
7) এরপর মোদি কংরেসের বিরুদ্ধে তোপা দাগেন। বলেন-“দেশের সেনাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে কংগ্রেসের ইস্তাহার। জম্মু-কাশ্মীর ওসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাদের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা তারা প্রত্যাহার করে নেবে বলেছে। পাথরবাজ ও সন্ত্রাসবাদীদের সামনে সেনাদের দুর্বল করতে চাইছে। আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্রকে ভেস্তে দিতে হবে আপনাদের।”
Published on: এপ্রি ৩, ২০১৯ @ ১৬:৩২