‘ভিসা-অন-অ্যারাইভাল’ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চালু হওয়া খুব দরকার, মনে করেন TTF কর্তা

Main দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

“বাংলাদেশেও ভিসা অন অ্যারাইভাল দিচ্ছে না। আবার আমরাও এটা ওদের দিচ্ছি না। এই প্রবণতা ভাঙতে হবে। এটা করলে দু’জনেরই খুব লাভ। এটা এক নম্বর মার্কেট- বাংলাদেশের জন্য ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ার জন্য বাংলাদেশ।”-সঞ্জীব আগরওয়াল, সিইও ও চেয়ারম্যান, ফেয়ারফেস্ট মিডিয়া লিমিটেড

সংবাদদাতা– অনিরুদ্ধ পাল

Published on: জুলা ১৩, ২০১৯ @ ০১:০৬

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১২জুলাই: আগের চেয়ে ভারতে পর্যটনের বাণিজ্য অনেকখানি বেড়েছে।ঠিক একইভাবে প্রসার ঘটেছে বাংলাদেশের পর্যটনেরও।আর এইসব মাথায় রেখে দু’দেশের মধ্যে পর্যটকদের যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল শুরু হওয়া খুবই দরকার। এতে দুই দেশই লাভবান হবে বলে মনে করেন টিটিএফ কর্তা ফেয়ারফেস্ট মিডিয়া লিমিটেডের সিইও ও চেয়ারম্যান সঞ্জীব আগরওয়াল।

কি সুবিধা ভিসা-অন-অ্যারাইভালে

ভিসা-অন-অ্যারাইভাল চালু হয়ে গেলে সেই নির্দিষ্ট দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সহজ হয়ে যাবে। যা ইতিমধ্যে পৃথিবীর বহু দেশ এই সুবিধা উপভোগ করছে। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে টিটিএফ কর্তা সঞ্জীব আগরওয়াল জানান-“আমাদের দেশ এখন বিশ্বের বেশ কিছু দেশে এই ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধা পেতে শুরু করেছে। বিজেপি সরকার আসার পর এই প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে।আগে কিছু দেশে ভ্রমণের সময় একটা ইলেকট্রনিক ই-মেল করে আবেদন করতে হয়। এরপর একটা ইলেকট্রনিক ভিসা পাওয়া যায়। সেটা নিয়ে সেই দেশে ভ্রমণের আগমনের সময় ভিসাটায় স্ট্যাম্পিং করা হয়। এটাতে অনেক তাড়াতাড়ি ভিসার সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু ভিসা-অন-অ্যারাইভাল এখনও সেভাবে আমাদের দেশে চালু হয়নি। কারণ নিরাপত্তাজনিত ব্যাপার একটা থাকে। তবে পিওর ভিসা-অন-অ্যারাইভাল চালু হয়ে যাবে।”

একজনকে তো শুরু করতেই হবে

এরপরই সঞ্জীববাবু মনে করেন-” তবে কিছু কিছু দেশের জন্য এটা করা যেতে পারে। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাঙলাদেশের ক্ষেত্রে তা এখনও চালু হয়নি। নেপাল-ভুটানের ক্ষেত্রে তো এসব কিছু লাগেই না। বাংলাদেশ দিয়ে যদি শুরু করা যায়। বাংলাদেশেও ভিসা অন অ্যারাইভাল দিচ্ছে না। আবার আমরাও এটা ওদের দিচ্ছি না। এই প্রবণতা ভাঙতে হবে। এটা করলে দু’জনেরই খুব লাভ। এটা এক নম্বর মার্কেট- বাংলাদেশের জন্য ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ার জন্য বাংলাদেশ। যারা পাসপোর্ট নিয়ে যাচ্ছে ডলার নিয়ে যাচ্ছে ওকে আটকালে কি লাভ। আরও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এটা করা খুব দরকার। আমরা নানা চর্চার মাধ্যমে এটা নিয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি। এটা আগে একজনকে শুরু করতেই হবে।”

নন-স্টপ না হলেও ইউরোপে সরাসরি উড়ানের তেমন একটা চাহিদা নেই

কলকাতা থেকে এই মুহূর্তে সরাসরি নন-স্টপ কোনও উড়ান নেই ইউরোপে যাওয়ার। এই বিষয়টি নিয়ে টিটিএফ কর্তা এক ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। তিনি মনে করেন- “সরাসরি উড়ান এখন আর জরুরী নয়। কারণ, আপনি যদি আমিরশাহী কিংবা কাতারে কিংবা থাই এয়ারওয়েজে চাপেন তাতে ওই বিমান সংস্থাগুলির যা সংযোগ আছে সেগুলো কমবেশি সরাসরি বলতে পারেন। যারা ইউরোপ যেতে চায় তারা আমিরাশাহীর উড়ান ধরতে চায়। হয়তো এক ঘন্টা-দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।বিমান বদলের ব্যাপার থাকে ওই সময়। মাত্র দু’এক ঘণ্টার তফাত থাকে। নন-স্টপ খুব বেশি ফ্যাক্টর নয়। কারণ, এই বিমানগুলি সমানভাবেই গ্রহণযোগ্য। ধরুন, এগুলি ভায়া দুবাই যাচ্ছে। কিংবা ভায়া কাতার যাচ্ছে। কারণ, খরচের মধ্যেই থাকছে। খুব বেশি লম্বা উড়ান আপনাকে ধরতে হচ্ছে না। অনেক সময় আপনি সেখানে নেমে ঘোরাঘুরিও করতে পারেন। একটা দেশ ফ্রিতে ঘোরা হয়ে গেল। সেইজন্য খুব একটা নন-স্টপ সরাসরি বিমানের চাহিদা নেই। সরাসরি উড়ানের চাহিদা হয় যখন বিজনেস ট্রাভেল হয়। ব্রেক না নিলেও মার্কেটিং করে নিতে পারলেন। এর মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজ দিচ্ছে বিশেষ এক সুবিধা।অনেক সময় যদি দুটো ফ্লাইটের গ্যাপ থাকে তাহলে আপনাকে ফ্রিতে হোটেল দিয়ে দেবে কাতার এয়ারওয়েজ, এটাই বা কম কিসের তাই না।”

Published on: জুলা ১৩, ২০১৯ @ ০১:০৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 3 = 2