কোভিড পরিস্থিতি বাড়তে থাকায় সতর্ক TAFI- রাখলো এই গুরুত্বপূর্ণ আবেদন

Main কোভিড-১৯ দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ৭, ২০২১ @ ২০:১৩

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৭ এপ্রিল:   সারা দেশজুড়ে কোভিড পরিস্থিতি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানে নতুন করে ফের লকডাউনের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।এই অবস্থায় ট্রাভেল এজেন্টদের যাতে অফিসে এসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ অব্যাহত রাখা অনেক সহজ হবে। ট্রাভেল এজেন্টরা কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহকারী হিসাবেই কাজ করে আসছে।ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি এমনই গুরুত্বপূর্ণ আবেদন জানিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গকে ধন্যবাদ জানিয়েছে টাফি

টাফি’র চেয়ারম্যান (পূর্বাঞ্চল) অনিল পাঞ্জাবি সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে জানিয়েছেন- “দেশে কোভিড পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। একথা ঠিক যে সারা দেশে বেশ কিছু রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালায় কোভিড পরিস্থিতি বেড়েছে সেখানে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ এখনও ঠিক আছে। এজন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গের জনগন, স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরকে ধ্যবাদ জানাবো। এ রাজ্যে মানুষ ভোটের মধ্যেও যেভাবে এখনও পর্যন্ত নিজেদের ঠিক রেখেছে বিশেষ করে রাস্তাঘাটে মুখে মাস্ক প্রার সচেতনতা ঠিক রেখেছে তা একটা ইতিবাচক দিক বহন করে।

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি তুলে ধরলেন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

এর পাশাপাশি অনিল পাঞ্জাবি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন- ” একটা কথা আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে ট্রাভেল এজেন্টরা হল প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহকারী। তাই তাদেরকে আর পাঁচজন সাধারণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে ফেলে দেওয়াটা ঠিক হবে না। আর সেটাই আমাদের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ লুল্লা বলেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরেকে লেখা এক চিঠিতে সেকথা উল্লেখ করে বলেছেন যে আমরা এপ্রিল মাসের লকডাউন ও বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশাবলী গ্রহণ করেছি। তবে ট্রাভেল এজেন্টদের তাদের গ্রাহকদের ট্র্যাভেল সার্ভিস সরবরাহ করতে এবং প্রয়োজনমতো পরিবর্তন / বাতিলকরণে সহায়তা করার জন্য অফিসে থাকার অনুমতি দিন। সমস্ত কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করা কঠিন, কারণ তারা নিয়মিত আপডেট আপডেট না করে এবং গ্রাহককে সেবা দিতে অক্ষম।”

জরুরী পরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রেও একজন ট্রাভেল এজেন্টের বড় ভূমিকা

টাফি’র কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ লুল্লা বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে তাদের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন-” এই পরিস্থিতিতে এখন তাই প্রশ্ন উঠেছে যে ট্রাভেল এজেন্টরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারবে? কারণ, মনে রাখতে হবে যে একজন ট্রাভেল এজেন্টের কাজ কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করা। যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে। যেমন-বিমান, রেল, অন্যান্য পরিবহন সহ আরও অনেক কিছু। অনেক জরুরী পরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রেও একজন ট্রাভেল এজেন্টের বড় ভূমিকা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের অন্তত অফিসে এসে কাজ কররা অনুমতি দেওয়াটা অনেক বেশি জরুরী।”

  • “তাছাড়া, বিদেশি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায়ীদেরও ভ্রমণকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় মুদ্রা সরবরাহ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য কাজ করতে দিতে হবে।”
  • “আরও, কনস্যুলেটগুলি উন্মুক্ত, এবং ট্রাভেল এজেন্টদের ক্রু ট্র্যাভেল, ব্যবসায়িক ভ্রমণ, শিক্ষার্থী ভ্রমণ এবং অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনের জন্য ভিসা প্রসেসিং পরিচালনা করতে হবে।”
  • “কার্গো এজেন্টগুলির অনুরূপ, এবং ট্র্যাভেল এজেন্টস এবং আনুষঙ্গিক সংস্থাগুলি কর্মীদের কমপক্ষে 50% ক্ষমতা থেকে অফিস থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক।”
  • “আমরা আরও অনুরোধ করব যে কমপক্ষে 25% কর্মী শক্তিটিকে শনি ও রবিবারেও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক।”

“আর এখন যদি মহারাষ্ট্র সরকার এই অনুমতি দিয়ে দেয় তা হলে পরবর্তীকালে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে। এই উদাহরণ টেনে আমরা তাহলে বাকি রাজ্যগুলি থেকেও অনুমতি আদায় করতে সচেষ্ট হব।” বলেন টাফির চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি।

Published on: এপ্রি ৭, ২০২১ @ ২০:১৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 4 =