অসম্মানিত হয়েছি, আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, তবু ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি- বললেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য
শেয়ার করুন

“দু’দিন টাইম দিলাম। কাল ও আজ। তারা এল না কথা বলতে। আমি সকলের কাছে আবেদন করেছিলাম। আপনারা কাজে যোগদান করুন। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৫জুন:  এনআরএস কান্ড নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে তাঁকে কিভাবে অসম্মানিত ও অপমানিত হতে হয়েছে সেকথাও তুলে ধরলেন। একই সঙ্গে জানালানে ওরা ছোট, তাই ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে অন্য কোথাও এমনটা হলে কিন্তু কড়া পদক্ষেপ নিত।

কবে কোথায় কিভাবে অসম্মানিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী

1) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন- গত ১০ তারিখ এনআরএস হাসপাতালে একটা ঘটনা ঘটে। আমরা কিন্তু চেষ্টা চালিয়েছি কিভাবে এর সুষ্ঠূ সমাধান হয়। ঘটনার পদিন আমার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচারর সেখানে যায়। আমি তখন ওকে বলি তোমার ফোনটা জুনিয়র ডাক্তারদের কাউকে দাও আমি কথা বলব ওদের সঙ্গে।তখন চন্দ্রিমা বলল- ওরা কথা বলতে চাইছে না। এই অসম্মানের ব্যাপারটা আমি আপনাদের কাউকে বলিনি। আপনারা জানেন না। তারপর দিন আমরা আবেদন জানালাম। আবেদনেও কাজ হল না। আমরা গরিব মানুষের স্বার্থে আবেদন করলাম। আজকে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসাহীন হয়ে পড়ছে।

2) “আপনারা জানেন আমি পিজি হাসপাতালে গেছিলাম। আমি যেতাম না নবান্নে আসছিলাম। এক পেশেন্টের কাছ থেকে খবর এল ছটফট করছে মরে যাবে যেকোনও মুহূর্তে। তার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না। এমারজেন্সি চালু করার জন্য। আমি দেখতে গেছিলাম এমারজেন্সি চালু আছে কিনা। যারা অবরোধ করে বসেছিল আমি তাদের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আপনারা অনেক বড় বড় কথা লিখেছেন। সত্যিটা মানুষকে জানতে দেননি। আমি যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম- একটি কথাও বলিনি। কিন্তু আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে উল্টো-পাল্টা মন্তব্য করা হয়েছে। চিৎকার-চেঁচামেচি অশ্রাব্য আচরণ করা হয়েছে। তাও কিন্তু পুলিশকে আমি বলেছি কাউকে গ্রেফতার করবে না। ওরা ছোট ওরা ভুল করেছে। ওদের ছেড়ে দাও, ক্ষমা করে দিলাম। এই জিনিস যদি অন্য কোথাও ঘটত তাহলে কিন্তু অনেক অ্যাকশন হত।”

মুখ্যমন্ত্রী চান পরিষেবা চালু হোক

“আমি কিন্তু এখনও মনে করি, সিনিয়র ডাক্তাররা কাল এসছিলেন ডা. সুকুমার মুখার্জি, ডা. অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল খুবই সম্মানীয় ডাক্তার তারা। আমি পাঁচ ঘণ্টা বসে থাকলাম। জুনিয়র ডাক্তাররা আসছে। আমি তাদের ডেকেছি। আমি কিন্তু সেন্টিমেন্টে নিই নি, এত বাজে ব্যবহার করা সত্ত্বেও। আমি মনে করি পরিষেবাটা চালু হোক। কাল আমি পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। সুকুমারদারাও অপেক্ষা করেছেন। শেষে তারা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা কাল আসতে পারবে না আজ আসবেন। আমার সব কাজ বন্ধ করে ছুটে এলাম। আমরা তো দেখা করতে চেয়েছিলাম। তারা আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার। প্রতিনিধি দল তো এলই না। দু’দিন টাইম দিলাম। কাল ও আজ। তারা এল না কথা বলতে। আমি সকলের কাছে আবেদন করেছিলাম। আপনারা কাজে যোগদান করুন। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 1