
সংবাদদাতা-দিব্যেন্দু সিনহা
Published on: জানু ৯, ২০১৮ @ ২১:৫০
এসপিটি নিউজ, মেখলিগঞ্জ, ৯ জানুয়ারিঃ বিগত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় চিতা বাঘের দেখা পাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে চিতা বাঘ-না, কেউ মনে করতে পারছেন না। তারা মনে না করলেও একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতা বাঘ অতর্কিতে ঢুকে পড়ে পার মেখলিগঞ্জে। বাঘের হানায় জখম হয় প্রায় সাতজন।
সোমবার রাত থেকে হামলা চালায় চিতা বাঘটি। হলদিবাড়ির পার মেখলিগঞ্জে অতর্কিতে হানা দেয় পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতা বাঘটি। এলাকায় ঢুকে লোকজনকে দেখে ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। সেইসময় বাঘের হানায় আক্রান্ত হয় ৩১ বছরের পার্থ সেন নামে এক গ্রামবাসী। চিতা বাঘের দাপিয়ে বেড়ানোর খবর পেয়ে ছুটে আসে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। তারা কি করবে, পুলিশ নিজেই বাঘের ভয়ে তটস্থ। এরপর খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের।তারা এসে চিতা বাঘটিকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে। এইসময় বনকর্মীদের সঙ্গে বাঘের খঁজে বেরিয়ে ঝোপের মধ্যে থেকে লাফিয়ে পড়ে আরও দু’জনকে জখম করে বাঘটি। তাদের নাম অতুল চন্দ্র রায় (৩২), রফিকুল হক সরকার (২৭্)। মঙ্গলবার দুপুরে আরো একজন আক্রান্ত হয়। এরপর বন কর্মীরা বাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করার চেষ্টা করে। ডেকে আনা হয় গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মীদেরকেও।অবশেষে বাঘটিকে গুলি করা হয়। কিন্তু অচেতন হওয়ার আগেই ফের উৎসাহী গ্রামবাসীরা গিয়ে বাঘের কাছে চলে যায়। লোকজনের কোলাহলে অতিষ্ট হয়ে ফের চিতা বাঘটি হামলে পড়ে।তাতে আরো বেশ কয়েকজন জখম হন।তখন ট্র্যাঙ্কুলাইজ করা বাঘটির উপর হামলে পড়ে গ্রামবাসীরা।সবাই মিলে বাঘটিকে মারধর করে।তাতে বাঘটিও জখম হয়।
কোচবিহার বনবিভাগের বনাধিকারিক বিমান বিশ্বাস জানান,চিতা বাঘটি সামান্য আহত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিতা বাঘটিকে গরুমারা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সেখান থেকে গরুমারার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে কিভাবে চিতা বাঘটি মেখলিগঞ্জে এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
Published on: জানু ৯, ২০১৮ @ ২১:৫০